এইটা নিয়া ভাবছিলাম কয়দিন আগে ছাত্রলীগের (ছাত্র শিবিরের চাইতেও বাজে একটা নাম হইতে যাইতেছে এইটা…) পোলামাইয়া’রা যখন ঢাকা ইউনির্ভাসিটি’র ভিসি’রে বাঁচাইতে গেলো। তখন মেবি একটা নিউজে আইছিলো যে, ছাত্রলীগের কেউ একজন কইতেছে, কেন তারা (চন্দ্রবিন্দু দেয়া যাইতো, দিলাম না) ‘বাম ছাত্র-সংগঠনের’ (বালের বাংলা-ভাষা) পোলাদেরকে পছন্দ করে না; কারণ, তারা মাইয়াদের সাথে মিশতে পারে, আড্ডা দিতে পারে… মানে, শোয়া বা ফ্রি-সেক্সের কথাই বলতে চাইছে আসলে। মানে, সলিড পোলা হইয়াও অরা এই বেনিফিট পায় না, কিন্তু বেইট্টা টাইপ পোলাগুলি এইটা পায় আর পাইতেই থাকে!
২.
এইটার পয়লা ‘দোষ’ আমি অস্কার ওয়াইল্ড’রে দিতে চাই। উনার একটা ডায়ালগ আছে যে, ‘যারে ভালোবাসে কেউ, সে গরিব কেমনে হয়!’ মানে, ট্যান্জিবল টাকা-পয়সা বা পাওয়ার’রে ইন-ট্যান্জিবল রিলেশনশীপের কম্পিটিটর বানায়া ফেলেন উনি, এইভাবে। অবশ্য রিলেশনও এতোটা ইন-ট্যান্জিবল না আসলে বা টাকা-পয়সা বা পাওয়ার’রে যতোটা টান্জিবল ভাবা যায়। এই ইন্টার-সেকশনটা রিভিল করার লাইগা উনারে মাফ কইরা দেয়া যায়।
কিন্তু যেইভাবে জিনিসগুলি ইন্টার-অ্যাক্ট করে একটা আরেকটার সাথে, সেই জায়গাগুলি ইন্টারেস্টিং। এক তো হইলো পাওয়ার থাকলে এইসব রিলেশন আপনে পাইতেই পারেন; দ্যান আগেরদিনের বাংলা-সিনেমার করুণ ভিলেনদের কথা ভাবেন, যাঁরা (চন্দ্রবিন্দু দিলাম ছদকা হিসাবে) নায়িকা’র শরীর পাইতে গিয়া মন যে আর পাইতে পারতেছেন না, সেইখানে গিয়া তব্দা লাইগা যাইতেন।
এই ‘পাওয়া’র জিনিসটা রিলেশনশীপের জায়গাটাতে আইসা কল্পাস করতেছে না, কিন্তু আরেকটা রুলস অফ গেইমের মধ্যে চইলা আসতে হইতেছে তারে। পাওয়ার সরাসরি অপারেট করতে পারে না আর, রিলেশনশীপে। এই না পারা’টা এক ধরণের ফেইলওর হিসাবে পারসিভ করা লাগে তখন। যার ফলে পাওয়ার এক ধরণের ‘অ্যাক্টিভ উইমেন’-এর ধারণা’রে প্রমোট করতে হেল্প করার কথা। যেইখানে পাওয়ারের নিজেরে আর সিডিউস করতে হইতেছে না, বরং এতোটাই পাওয়ারফুল হয়া উঠতে পারতেছে যে, পাওয়ার’রে সিডিউস করা লাগতেছে। কিন্তু আফসোসের জায়গাটা মেবি এইখানে যে, এনাফ ‘অ্যাক্টিভ উইমেন’ ক্রিয়েট করা যাইতেছে না যারা পাওয়ার’রে সিডিউস করতে আগায়া আসবে; দেহ দিবে কিন্তু মন দিবে না। 🙂
তো, এই ধারণা’র মুশকিলটা হইতেছে যে, অ্যাক্টিভ উইমেন জিনিসটা উইমেনই বানায়া রাখে; যে, সাবমিসিভ টু পাওয়ার না হইলেও সিডাক্টিভ টুওয়ার্ডস পাওয়ার। রাষ্ট্রে যেইরকম পোষা বিরোধীদল দরকার, এইরকমভাবে ‘অ্যাক্টিভ উইমেন’-এর ধারণাটা আরেকটা ট্রাপই মনেহয় আমার। উইথ-ইন দ্য প্রসেস, উইথ-ইন দ্য স্ট্রাকচার।
৩.
একটা এগজিসটিং ধারণা তো আছে অবজেক্টিফিকেশন-এর; যে, রেইপের ঘটনা’টা একটা ফ্যান্টাসি বা অবজেক্টিফিকেশনের ভিতর দিয়া ঘটে। মানে, চলতে-ফিরতে-বলতে পারা মানুষ’রে আপনে একটা অবজেক্ট হিসাবে ইউজ করার কথা ভাবতে পারলেন, দ্যান ওই রিডিউসড ভাবনা’র ভিতর দিয়া আপনে আপনার অ্যাক্ট’টা করলেন।
————————————————————–
‘As my boss says’ said my husband one day. ‘The cooperative movement has failed, but cooperative movement must succeed.” I thought that I would burst out in laughing. ‘Who is your boss?’ I asked him. ‘It is Venkatappalgh, formerly of ICS. Have you not heard of him?’
My husband was furious. He felt that I was not up to date with the happenings in the field of cooperative. ‘You have not once touch the prestigious report of the Rural Credit Survey Committee.’ He said. ‘But I let you make love to me every night.’ I said ‘isn’t that enough?’
Kamala Das, My Story
কমলা দাসের এই জিনিসটা খুব আছে। কোন থটরে উইমেনিক্যাল থট বইলা ইনফিরিয়র ভাইবা না-বলার ভিতর আটকাইয়া রাখেন নাই। এইখানেই দেখেন, উনি এগজিস্টটেন্সরে (উইমেন বডিরে) একটা আইডিয়া (কো-অপারেটিভ রিপোর্ট) দিয়া রিপ্লেস করতে রাজি হইতেছেন। এই থটটা তো আছে, এমনকি বাউল-টাউল এইসবেও। যে, বডি বাইয়া আল্টিমেট আইডিয়াটাতে রিচ কইরা ফেললাম, ওই সাধন-সঙ্গী টাইপ ঘটনা। কিন্তু গে, লেসবিয়ানরা এইসব পারে বইলা কোথাও দেখি নাই, স্ট্রেইট হইতে হয় সেক্সুয়াল প্রাকটিসে তখন।
তো, কমলা দাস যে রাজি আছেন এই রোলটা প্লে করতে খালি সেইটাই না, উনার হাজবেন্ড অ্যান্ড রিডাররাও রাজি আছেন বইলাই উনি অ্যাজিউম করতে পারতেছেন। উনার এই অ্যাজামশন ভুল – এইরকমটাও মনে হয় নাই।
/নভেম্বর ১৮, ২০১৫
—————————————————————————–
কিন্তু গ্রাউন্ড হিসাবে উল্টাটা বরং ব্রডার এরিয়া কাভার করতে পারে বইলা মনেহয়। যে, কোন না কোন অ্যাক্ট বা অ্যাক্টিভিটির ভিতর দিয়া আপনারে প্রমাণ দেয়া লাগে যে, আপনি সাবজেক্ট। এক একটা সময় একেকটা জিনিস লাগে ধারণা’রে প্রমাণ করতে। যে এই এই জিনিস করা’র ভিতর দিয়া আপনে হয়া উঠেন, মানুষ বা বেটা বা বেটি। অ্যাজ অ্যান এগজিসটেন্স একটা ধারণা’রেই রিপ্রেজেন্ট করতে পারেন আসলে। কখনো মলেস্টেশনের ভিতর দিয়া, কখনো ফ্লার্ট করার ভিতর, কখনো উইমেন এমপাওয়ারমেন্টের ভিতর দিয়াই বেটাগিরি দেখাইতে হইতে পারে। সেইম টু সেইম অন্য সব আইডেন্টিটি’র ব্যাপারেও ভাবা যাইতে পারে।
মানে, ধারণাগুলি ফিক্সড কিছু না তো। কিন্তু ধারণা’র ভিতর দিয়া যখন এগজিসটেন্সটারে দেখতে চাইতেছি তখন সেই ধারণা’টা কেমনে নিজেরে বানাইতেছে, সেইটাতে কনসানট্রেট করতে পারাটা হয়তো বেটার, এগজিসটেন্সের চাইতে।
৪.
যেইরকম আমরা ইমাজিন করি আগের দিনে ছোট ছোট ট্রাইব আছিলো, এইরকম ছোট ছোট গ্রুপে যখন অ্যালিনেটেট হইতে পারতেছি, তখন মনে হইতে পারে নিজেদের ভিতরে, রিলেশনশীপের জায়গাগুলিতে পাওয়ার স্ট্রাকচার’টারে এড়াইতে পারতেছি আমরা। এইটা একটা ইল্যুশন বইলাই মনে হয় আমার কাছে। বরং পাওয়ারটারে এইভাবে ক্লোজড গ্রুপের ভিতরে আরো ইনটেন্স কইরা তুলতেছি মেবি।…
Leave a Reply