দুইটা পেন্ডিং চিন্তা ছিল। মানে, ভাবছি কিছুদিন, কিন্তু পুরাটা ভাবা হয় নাই। মনে হইলো, জিনিসগুলি জাস্ট বইলা রাখি।
পয়লা ইস্যুটা গণতন্ত্র বা ডেমোক্রেসি নিয়া। এই জিনিসটা কেমনে পারফর্ম করে। ধরেন, অফিসে ৫ জন আছেন, আপনারা। ৪ জনের সিংগারা-সমুচা পছন্দ, ১ জন তেলে-ভাজা জিনিস পছন্দ করেন না; কিন্তু খাওয়ার জিনিস একটাই আনতে হইবো। তো, ব্যাপারটা কখনোই এইরকম ঘটে না যে, আপনারা যেহেতু ৪ জন, ১ জনরে ইগনোর কইরা বা না-খাইতে দিয়া সিংগারাই খাবেন। আপনারা যদি মানবিক হন, সোশ্যাল হন তাইলে ওই ১ জনরেও কন্সিডার করবেন। বাদ দিয়া দিবেন না। পরে করবেন কি, ওই একজনরে নিয়া মস্করা করবেন, বেশি হইলে হিউমিলেট করবেন। গণতন্ত্র বা ডেমোক্রেসি জিনিসটা এইভাবে পারফর্ম করা লাগে; দেখাইতে হয় যে, আপনি মাইনরিটিরেও কেয়ার করেন; তা না নাইলে ডেমোক্রেসি হয় না আসলে। তো, এই ডেমোক্রেসি অনেক সময় মেজরিটির একটা অস্বস্তি’র কারণ। নট দ্য্যাট উনারা গণতন্ত্র চান না, উনারা চান যে, গণতন্ত্র থাকবে, উনাদের অবজেক্টিভ ফুলফিল করা যাবে, মোস্ট ইর্ম্পটেন্টলি কোন গিল্টি ফিলিংস থাকবে না। এইজন্য একটা বাজে অথরিটি ভালো, যারে এই গিল্টি ফিলিংসটার লাইগা গালিগালাজ করা যাবে। আমাদের ‘গণতন্ত্র’ ভাবনাটা তখনই এগজিস্ট করে যখন কাউরে ব্লেইম করা যায়, গণতন্ত্র না থাকার লাইগা। ‘সবাই’ – এই জিনিসটা কখনো ঘটে না; ‘ম্যাক্সিমাম’ জিনিসটাও না; গণতন্ত্র হইলো, যে মিনিমাম জিনিসটারেও ইনক্লুড করে। যেহেতু মেজরিটিই ডিসিশানটা নিতেছে মনে হইতে পারে যে, এইটা নাই।
এইটা মনে হইতেছিল, ভাষা নিয়া ভাবতে গিয়া। [এতবেশি রিলিভেন্টও না, কিন্তু একটা চিন্তা তো আরেকটারে উসকাইয়া দেয়।] ভাবতেছিলাম, জিন্নাহ কিন্তু ইংলিশেই কইছিলেন – “উর্দু’রে স্টেট ল্যাঙ্গুয়েজ করার কথা; উর্দুতে কন নাই। আর যেই স্টুডেন্ট এইটার প্রতিবাদ করছিলো, সে কিন্তু ‘না’ কয় নাই; ‘নো’-ই কইছিলো! ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং না? যেই দুইটা ভাষা’র লাইগা ফাইটটা চলতেছে, সেই দু্ইটা নাই; এইটা নিয়া কথা হইতেছে অন্য আরেকটা ভাষাতেই। [এইখানে Mehboob Rehman Khan’রে মেনশন করা যায়, উনার সাথে একটু কথা হইছিল এইটা নিয়া।] হোয়াই? (মানে, হোয়াই তো বাংলা-ই, তারপরে ব্র্যাকেটে লিইখা দিলাম, কেনোও?) আরেকটা ঘটনার কথা বলি, দার্জিলিংয়ে ঘুরতে গেছি, ২০১০-এ। দার্জিলিংয়ের আদিবাসীরা বাংলা কওয়ার ট্রাই করলেও, শিলিগুড়ি’র বাঙ্গালীরা দেখি বাংলাদেশি বাংলা কইলে আমরার লগে হিন্দিতেই কথা কয়। (মানে, এইরকমই মনে হইছিল আমার।) তো, আমরাও ইংরেজিতেই কথা কইলাম। অফিসের মিটিংয়ে একজন অ-বাংলাদেশি থাকলেই দেখবেন ইংরেজি কওয়া লাগে, ইভেন সব বাংলা জানা লোক থাকলেও। জিন্নাহও আসলে ইংরেজি জানা লোকদেরকেই শুনাইতে চাইতেছিলেন (উনার উর্দু না বলতে পারা’র কথা মনে রাইখাই বলতেছি)। যারা খালি বাংলা জানে, ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়া উনারা কিছু কইতে পারবে এইরকম গণতন্ত্রে উনি বিলিভই করেন নাই আসলে। যিনি রিভোল্ট করলেন, উনি জিন্নাহরে জানাইতে চাইছিলেন, বাংলা তো আমরা জানি, ইংরেজির ভিতর দিয়াই। উনি খালি জিন্নাহরেই প্রটেস্টই করছেন, অথরিটি’টারে যে উনি চিনেন এইটাই জানাইছেন। মজার ব্যাপার হইলো, “অরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়…” গানটা নিয়া; ‘কাইড়া’, কি রকম অদ্ভূত বাংলা! লিখতে গেলেও ফানি লাগে, ব্যাপারটা! এই বাংলা-ভাষা ভাষা আন্দোলনের ‘নো’ বেঙ্গলিরা চাইছিলেন বইলা মনে হয় না। এইখানে আরো কিছু জিনিস আছে আসলে।…
আরেকটা ইস্যু’র কথা মনে হইছিল বেশ কিছুদিন আগে, বনশ্রীতে মনেহয় একটা এনজিও’র ইয়াং পোলারে ধরলো পুলিশ বাচ্চা চুরি করার মামলায়। পরে জামিনে ছাড়া পাইছিলেন উনি। এখনকার টাইমে ধরা পড়লে আর ছাড়া পাইতেন না আর মনেহয়। কারণ উনার পদ্ধতিটা ট্রাডিশন্যাল ফ্যামিলি আইডিয়াটার একটা ভায়োলেশন। ঘটনাটা সম্ভবত এই কারণে ঘটছিল, যখন বাসা থিকা হারাইয়া যাওয়া একটা পোলার চাচা মামলা করছিলো। পরে বাচ্চা পোলাটা মনেহয় কইছিলো, বাসায় মাইর-ধর করে, এইখানে সেইম এইজের অনেকে, মজা কইরা থাকা যায়, বকাবকি নাই, এইসব। মানে, এই ন্যারেটিভ’টারে যদি মাইনা নেই তাইলে বাপ-মা, চাচা-মামা এইসব রিলেশনের বাইরেও ফ্যামিলি’র একটা ধারণা থাকতেছে, ওই বাচ্চা পোলার কাছে। এইরকম একটা ‘ফ্যামিলি’ যদি ইর্মাজ করে সোসাইটিতে তাইলে ঘটনাটা কী রকম হইবো? ধরেন, আফটার ৫ বা ৭ বা ১০ বছর পরে পোলাপাইন ডিসাইড করতে পারবে বাপ-মা’র লগে থাকবে নাকি সেইম এইজের ফ্রেন্ডদের লগে? আদার দ্যান অ্যানি থিঙ্ক এলস, ফ্যামিলি একটা ইকোনমিক্যাল ইন্সটিটিউশন, এইটাই এর কোর ফাংশন, সোসাইটিতে। এর বাইরে অন্য ফাংশন যে নাই তা না। কিন্তু এইটাই প্রাইমারি। (কিন্তু সোসাইটি’র ইকোনমিক সিস্টেমের সাথে এইটা আর অ্যালাইনড হইতে পারতেছে না, ইকোনমিক সিস্টেমটা রিকোয়ার করে একজন ইন্ডিভিজ্যুয়াল, কিন্তু মালিকানা’র ব্যাপারটা ফয়সালা করতে গেলে লাগে এখনো ফ্যামিলি ইন্সিটিটিউশনটা।) এইটা যে আমরা জানি না, তা না; যে কোন আলাপে এইটারে রিকগনাইজ করাটা মনেহয় জরুরি।
Leave a Reply