ফান কইরাই লিখতেছিলাম মনেহয়, এইরকম একটা ফরম্যাটে। যেহেতু ফান, সিরিয়াসও হয়া যাইতেছিলো মনেহয় একটা সময়। এরপরে একইরকম, ক্লান্তিকর। তারপরে মেবি, জঘন্য। মনে হইলেও লিখতে ইচ্ছা হয় না আর। মাঝে-মধ্যে মনে হয়। এরপরে মনে হইলে, খারাপই লাগে। মনেহয়, লেখালেখি শেষ হইছে একরকম। ইচ্ছা হইলে পরে আবার কোন সময় লিখবো নে। লেইখা আর কি হয়, বাল! লেখার ভিতর কিছুই থাকে না।
২.
তো, লেখছিলাম যেহেতু, থাকলো একসাথে। একটা ব্যক্তিগত এপিটাফ।
৩.
মুশকিল হইলো লাইফটা লেখার মতো না যে, চাইলেই থামায়া দেয়া যায়। লেখাগুলিও লাইফের মতো না যে, চালায়া নেয়া যায়। যে যার মতো শুরু হয়, শেষ হয়। কিন্তু একটা মানুষের লাইফ বা লেখালেখিও কারো মেমোরি’তে আটকাইয়া থাকা কোন জিনিস না।
যে কোন তুমি আর যে কোন আমি থিকা যে কোন আমরা শুরু হইতে পারে তো, যে কোন সময়।
…………………………………………………………..
১.
তুমি মঙ্গোলিয়া, আমি উলানবাটোর
২.
তুমি U, আমি I
৩.
তুমি রিয়ালিটি, আমি ইমাজিনেশন
৪.
তুমি কোশ্চেন-মার্ক, আমি এক্সক্লামেটারি
৫.
তুমি বাচ্চা, আমি পুতুল
৬.
তুমি ইয়েলো, আমি ডার্ক
৭.
তুমি লাইফ, আমি টেক্সট
৮.
তুমি ল্যাক্সোটনিল, আমি নাপা
৯.
তুমি ইগো, আমি এগজিসটেন্স
১০.
তুমি বিলের পাড়, আমি তালগাছ
১১.
তুমি এক্সপেরিয়েন্স, আমি ইমাজিনেশন
১২.
তুমি আত্মা, আমি শরীর
১৩.
তুমি ইমেজ, আমি টেক্সট
১৪.
তুমি বিলা, আমি উদাস
১৫.
তুমি রিয়ালিটি, আমি সম্ভাবনা
১৬.
তুমি ডিপ্রেশন, আমি অবসেশন
১৭.
তুমি নিমফো, আমি ওথেলো
১৮.
তুমি ইমাজিনেশন, সে রিয়ালিটি, আমি ইল্যুশন
১৯.
তুমি দেশ, সে রাজধানী, আমি গ্রাম
২০.
তুমি ব্ল্যাকহোল, সে ইনফিনিটি, আমি টাইম
২১.
তুমি প্রেজেন্ট, সে ফিউচার, আমি পাস্ট
২২.
তুমি দুনিয়া, সে বেহেশত, আমি দোজখ
২৩.
তুমি শেখ হাসিনা, সে নরেন্দ্র মোদী, আমি খালেদা জিয়া
২৪.
তুমি মানুষ, সে দেবতা, আমি তেলাপোকা
২৫.
তুমি রাখাল, সে বাঘ, আমি ভেড়া
২৬.
তুমি খেলা, সে জিতা, আমি হারা
২৭.
তুমি ট্রাম্প, সে পুতিন, আমি থেরেসা মে
২৮.
তুমি ঘুরতে থাকা বাতাস
আমি দাঁড়ায়া থাকা গাছ
২৯.
I am the paranoia of the history.
U r the melancholy of it’s silence.
৩০.
I always want to be the opposite of U.
৩১.
: I don’t know U.
: U were not known to me.
(লেখার সময় – ডিসেম্বর, ২০১৬ টু মে,২০১৮)
Leave a Reply