[তর্ক করা আমার অনেক দিনের স্বভাব। বাজে স্বভাব-ই একটা। 🙁 যদিও চুপ কইরা থাকার প্রাকটিস করতে চাই এখন, কিন্তু পারি বইলা মনেহয় না।
তো, নানান সময়ে তর্ক করতে গিয়া কিছু জিনিস অবজার্ভ করছি। ভাবলাম, বইলা রাখা যাইতে পারে তো, এইসব নিয়া! 🙂 ]
১. রেটরিক করতে (মানে, ঠেস মারতে) পারটারে যুক্তি দেয়া হিসাবে ভাইবেন না। দুইটা মোস্টলি আলাদা আলাদা জিনিস।
২. কোন আর্গুমেন্টরে ন্যারোড ডাউন কইরা ফেইলেন না। যেমন ধরেন, কেউ কইলো ক্রিকেট খেলার লগে পলিটিকসের রিলেশন আছে; তখন এইভাবে আর্গুমেন্টটারে মোকাবেলা কইরেন না যে, ক্রিকেট খেলার পুরাটাই পলিটিকসের ঘটনা। 🙁
৩. পাবলিকরে খুশি করার লাইগা বা খালি জিতার লাইগা তর্ক কইরেন না। কোন তর্ক যদি সার্টেন ইস্যুরে এক্সপ্লোর করতে না পারে, ব্যাপারটা আসলে খামাখা।
৪. কোন মানুষরে অপমান কইরেন না। ব্যাপারটা তখন তর্ক থাকে না।
৫. সবার লগে তর্ক করার দরকার নাই। সবার লগে তর্ক করলে প্রেম, ভালোবাসা, শত্রুতা, ঘৃণা, এইসব কার লগে করবেন! 🙂
৬. সবচে ভালো হইতেছে, নিজের লগে তর্ক করা।কিন্তু এই কারণে নিজেরে অপছন্দ করার দরকার নাই। মানে, তর্ক করার লগে কাউরে পছন্দ করা বা অপছন্দ করার রিলেশন কমই। তবে যাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে তেমন কোন পরিচয় নাই, তাদের সাথে তর্ক করতে যাওয়াটা কিছুটা রিস্কি, কথাগুলা মিসলিডিং হওয়ার চান্স বেশি থাকে।
৭. কোন তর্কে কে আপনারে সার্পোট করতেছে বা অপোজ করতেছে, তার চাইতে ইর্ম্পটেন্ট হইতেছে কে কোন জায়গা থিকা আপনারে সার্পোট করতেছে বা অপোজ করতেছে।
৮. যে তর্ক করতে চায় না, তারে জোর কইরেন না।
৯. আর নিজেও জোর কইরা তর্ক কইরেন না। ইচ্ছা হইলে খামাখা তর্কও করতে পারেন, আর ইচ্ছা না হইলে ইর্ম্পটেন্ট তর্কেও কথা কইবেন না। এইটা পুরাটাই আপনার ইচ্ছা। জীবনের মতোই তর্কও এতো জরুরি কিছু না, বরং কিছুটা আজাইরাই।
Leave a Reply