যিনি মারা গেছেন তারে নিয়া সমালোচনার কিছু নাই। যারা বাঁইচা আছেন তাদেরকেও মরণ জিনিসটারে মাইনা নিয়াই বাঁইচা থাকতে হয়। রফিক আজাদের কবিতা বাঁইচা আছে বা থাকবে – এইরকম কথাবার্তা দেখছি, আরো দেখবো – এইরকম আশাও আছে। তো, উনার কবিতা নিয়া বলা যাইতে পারে।
খালি সোসাইটিতে অনেকের কাছে পরিচিত বইলাই একটা কবিতা বা যে কোন ধরণের টেক্সট বা চিন্তা বা আর্ট বাঁইচা থাকে না। মানে, একটা বা অনেকগুলি পারসোনাল এসোসিয়েশন ক্রিয়েট করতে পারাটা তো একটা পদ্ধতি তো অবশ্যই। সোসাইটিতে যারা কবিতা লিখেন এবং পড়েন তারা সবাই আমারে চিনলেন, আর/অথবা যেইসব ইন্সটিটিউশনগুলি এনডোর্স করে আর্ট-কালচারের ঘটনাগুলারে তারা রিকগনাইজ করলেন – এইরকম যোগাযোগের ভিতর দিয়াই জানাশোনার ঘটনাগুলি ঘটে। এইটাই চালু তরিকা। (এই ধরণের ভ্যালু সিস্টেমের এগেনেস্টে আমি না। কোন না কোনভাবে কানেক্টেট তো থাকতেই হয়।) কিন্তু মুশকিল হইলো যে, আপনার বন্ধু-শত্রু বা প্রেমিক-প্রেমিকারা তাঁদের ফিজিক্যাল এগজিসটেন্সের ভিতর দিয়া আপনার আর্টরে বেশিদিন বাঁচায়া রাখতে পারেন না। (মন-খারাপ করার মতো ব্যাপারই আসলে এইটা।) এইভাবে, পারসোনাল ইমোশনের ভিতর দিয়া করা আর্টের বিচার একটা জেনারেশনের কাছে অনেক কাছের জিনিস হিসাবে থাকে, কারণ ওই আর্টের ভিতর দিয়া যতোটা না আর্ট তার চাইতে বেশি নিজেদের এক্সপেরিয়েন্সগুলারে ফিল করা যায়। এখন আর্ট বইলা যদি কিছু থাকে সেইটা এই পারসোনাল এক্সপেরিয়েন্সের বাইরের কোন ঘটনাই হওয়ার কথা।
আপনারে চিনি (ডায়াবেটিস আরো একটা সমস্যা) বইলাই আপনার কবিতা আমি ভালোবাসি না; আপনারে না চিইনাও আপনার কবিতা আমি ভালোবাসতে পারতেছি – এইটা আর পসিবল হইতে পারে না তখন। আপনারে চিনা’টা জরুরি। আপনার লেখা দিয়া আপনারে চিনতে পারতেছি না আমি। টেক্সট দিয়া লাইফটা ক্রিয়েট হইতেছে না, বরং আপনার লাইফ দিয়া আপনার কবিতারে বোঝা লাগতেছে আমার। এই বিচার জরুরি রফিক আজাদের কবিতার লাইগা। কিন্তু লাইফের আসলে এত ঠেকা পড়ে না। এই কারণে এখন বা বেশকিছু বছর পরে উনার কবিতা না পড়লেও কেউ তেমন কোনকিছু মিস করবেন বইলা মনেহয় না। অবশ্য উনারে তো ঢাকার কবি-সমাজ মিস করতেছেন, সাকুরার টেবিল চেয়ারগুলিও মিস করবো বইলাই ভাবা যায়।
Leave a Reply