ব্যাপারটা এইরকম না যে, সাহিত্য কইরা সাকসেসফুল হওয়া যায় না; কিন্তু সাকসেসফুল হওয়াটা কখনো সাহিত্যের লক্ষ্য হইতে পারে না আর কি!
সাকসেস ইন এভরি সেন্স!
সাহিত্য কইরা টাকা-পয়সা কামানো’টা যে সাকসেস না – তা তো না; তবে কমদামি সাকসেস। :p সোসাইটি’তে লোকজন আপনারে রাইটার হিসাবে চিনলো, লেখা না পড়লেও নামে চিনে, সেলিব্রেটি না হইতে পারলেও কাল্ট এক রকমের; পপুলার মিডিয়া আর আন্ডারগ্রাউন্ড সাহিত্য-গ্রুপগুলা আপনারে চিনে; ‘সাহিত্য সমঝদার’রা’, প্রবীণ ও নবীন 🙂 রাইটার’রা আপনার লেখা নিয়া কথা কয় – এইটাও তো সাকসেস! বা প্রাইজ-টাইজ পাওয়া, বাংলা একাডেমি কিছুটা গ্রাম্য হইতে পারে 🙂 , কিন্তু ধরেন, বুকার-টুকার বাদেও, নেপাল-নিকারাগুয়ার প্রাইজ পাইলেও তো সাকসেস মনে হইতে পারে। আরো কিছু রকম হয়তো আছে, সাহিত্যে সাকসেসফুল হওয়ার।
মানে, সাহিত্য কইরা সোশ্যালি সাকসেসফুল হওয়ার কোন ঘটনা যে নাই – তা তো না! সাকসেসের প্যারামিটারগুলা একটু ডিফরেন্ট। তো, এইরকম সাকসেসফুল হওয়ার লাইগা সাহিত্য করা যায় নাকি! আমার মত হইলো, যায় না। আপনি লিখতে পারেন, আর সেইটা করেন বইলা পাবলিক বা সাহিত্য-সমাজের লোকজন যদি আপনারে চিনে, আপনার লেখা যদি ওয়েল-একসেপ্টেড হয়, কমিউনিকেট করে, প্রাইজ-টাইজ পান, ব্যাপার’টা ভালো তো! কিন্তু এইসব পাওয়ার লাইগা কি কেউ লেখে নাকি? মানে তখন লেখার পুরা পারপাসটাই ডাইলুট হয়া যাওয়ার কথা না? লিটারেচার আর এন্টারটেইনমেন্ট তো একই জিনিস না!…
আবার, লেখকের অউন সাকসেসের ঘটনা’টাও ইনক্লুডেড এইখানে। আপনি যেইভাবে, যেই জিনিস লিখতে চান একদম সেই জিনিসটাই লিখতে পারলেন; তো, সেইটা কি সাকসেসফুল একটা লেখা হয়? আমরা, যারা রাইটার’রা আছি, আমরা তো মেবি জানি ও বুঝি যে, লেখার ভিতর দিয়া জিনিসগুলা একভাবে পাল্টায়, অদল-বদল হয়, আইডিয়াগুলার এক রকমের রি-ক্রিয়েশন হয়… মানে, রাইটার’রে তো ফেইলওর হইতে হয়! নিজে জাইনা-বুইঝা তো খুব কমই অই জায়গাটাতে যাওয়া যায় মেবি। মানে, ঘটনা’টারে যদি সাকসেস আর ফেইলওরের পারসপেক্টিভে দেখতে চান, রাইটার হিসাবে নিজেরে ফেইলওরের অই জায়গাটাতে কোন না কোনভাবে রিচ করতে পারতে হয়। তো, এইভাবেও সাকসেস বা ফেইলওরের ক্রাইটেরিয়া দিয়া লেখালেখির ঘটনা’টারে দেখতে যাওয়া’টা মুশকিলেরই। এইটা সম্ভব না আর কি! ‘
””
Leave a Reply