পরদেশি মেঘ
আমাদের বুদ্ধিগুলা ভালো,
আমাদেরকে আইসা বলে, বুঝছো?
আমরা মাথা নাড়ি, হাসি
হাসির ভিতর দিয়া বুদ্ধিগুলা ঝইরা পড়ে
বর্ষাকালের ঝুম ঝুম বৃষ্টির মতো
ঝরঝর ঝর ঝর ঝরো ঝরো…
দুপুরের ঘুম
দুপুরবেলা জানালার পর্দা সরায়া ঘুমাইলে, চোখ বন্ধ করার পরে একটা ফিলিংস বা ইল্যুশন হয়। মনেহয় কোন এক্টা নদীর পাড়ে বটগাছের ছায়ার নিচে শুইয়া আছি। ছায়ার বাইরে অনেক রইদ। আর বাতাসও আছে; বাতাসের কারণে রইদের গরমটা গায়ে লাগতেছে না। একটু দূরে গরুগুলা ঘাস খাইতেছে। অন্যদিকে নদীর পানি চিক চিক করতেছে। দেখতে দেখতে আমি ঘুমায়া পড়তেছি।
Mo Chuisle
আমি ধূলাতে মিশে,
বাতাসে ভেসে
জীবাণুর মতো ছড়ায়া যাবো
একদিন শ্বাসে, নাক দিয়া ঢুকে
ফাগুন নাইলে চৈত্র মাসে
রক্তের ভিতরে তোমার
ঘর বানায়া বসবো
তুমি শুনবা, নজরুল-গীতি
‘আমারে দিবো না ভুলিতে…’
এই গান শোনার আগে
একটা ‘তবু’ শব্দ ভাবারও আগে
আমরা বইসা থাকবো
জীবাণু হয়া, রক্ত হয়া,
আমাদের শরীরে…
শরৎ
নতুন ঘাসের উপর দিয়া
বয়ে যাওয়া বাতাসের মতন
মরণ সুন্দর!
কুত্তার বাচ্চার প্রেম
ডাস্টবিনের ড্রাম’টার বাইরে
একটা পলিথিনের ভিতর
জমানো সন্ধ্যার অন্ধকার
– তুুমি আমার।
ভালো কবিতা
অনেকগুলা বাজে কবিতা লেখার পরে,
মনে হইলো, একটা ভালো কবিতাও তো
লেখা দরকার!
এই মনো-বাসনা টের পাইয়া,
ভালো কবিতা’টা হো হো কইরা হাসতে হাসতে
পাদ দিয়া দিলো একটা
সেই গন্ধে বাজে কবিতাগুলা আরো বাজে
হয়া উঠলো; ভালো কবিতাটাও আমার
লেখা হইলো না আর!
কুত্তার বাচ্চার নিরবতা
এই যে নিরবতা বানাইতেছে
প্রশ্ন এতগুলা;
নিজেই নিজেরে বলতেছে
কাটাকুটি করতেছে,
তাদেরকে
তুমি দেখতেছো,
চুপ কইরা থাক্তে থাক্তে
অন্য আরো কতগুলা ভুল
আবিষ্কার করে ফেলতেছো;
আর আমি ভাবতেছি
এইটার কার নিরবতা –
হিটলার নাকি
মহাত্মা গান্ধীর?
নিরবতার পরে
ফাটবে
কোন বোমা’টা – হিরোশিমা,
নাগাসাকির?
নাকি আরো বড় কোন নিরবতা আইসা গিইলা ফেলবে
ছোট ছোট এইসব দুইদিনের নিরবতা?
রাতে, গলির রাস্তায়
কয়েকটা কুত্তার মতন
হা কইরা দাঁড়ায়া আছে
আমাদের নিরবতা
যে কোন সময় ঘেউ ঘেউ কইরা উঠবে
এখনো পারতেছে না…
রইদ
রাংতা কাগজে,
হেরোইনের ধোঁয়া
টাইনা নেয়ার মতন
এই রইদের ঘ্রাণ
গাছগুলা
তার নেশায়
জ্বল জ্বল করতেছে,
বলতেছে, দেখছো, এই দুনিয়া
কি রকম ক্লিয়ার!
ভুল
সবাই তো ভুল-ই
ইভেন আমি
আর আমার এই
ভুল বলা’টাও ভুল
এক্টা বিকালের মেঘ
উড়ে উড়ে চলে যাইতেছে
বাতাসে বাজতেছে বাজনা
‘ভুইলো না আমায়…’ ভুল,
ভুল না?
Leave a Reply