বৃষ্টির কবিতা
বৃষ্টি তো পড়তে পড়তে শেষ,
বৃষ্টি গান গাইতে গাইতে শেষ
গাছের পাতা, রোড-ঘাট, বিল্ডিংগুলা ভিজতে ভিজতে শেষ
বৃষ্টির কবিতা – তুমি কই?
এখনো ঘুমাইতেছো?
বৃষ্টি তোমারে ঘুম পাড়ায়া দিতেছে?
একটা ঘুম-পাড়ানি গানের মতো,
বৃষ্টি তোমারে জাগায়া রাখতেছে,
একটা আবছা ড্রিমের মতো?
নাকি উইঠা পড়তে হবে, অফিস যাইতে হবে
রাস্তায় বাস নাই, সিএনজি, রিকশা নাই, আর
বৃষ্টি বাড়তেই আছে,
যেইভাবে একটা ডিপ প্রেম যাইতে থাকে একটা কঠিন হেইট্রেটের দিকে
এইরকম বৃষ্টি পড়তেছে, কিন্তু
বৃষ্টির কবিতা নাই
যারা বৃষ্টিতে ভিজে, অদের বৃষ্টির কবিতা লাগে না গো সই!
বৃষ্টি পড়তেছে, বৃষ্টি বলতেছে
একটা বৃষ্টির কবিতারে।
বর্ষা
একটা ফুল
একলা
ফুটে আছে
আর
ভিজতেছে
বৃষ্টির পানিতে
শব্দগুলা
“আহ্
যদি আমরাও
শিখতে পারতাম
চুপ কইরা থাকা!”
সব কিছু উল্টা-পাল্টা
করার পরে,
মাফ চাওয়ার মতন
শব্দগুলা বলে আমারে,
বাটপারগুলা
দুপুরের ঘুম
জীবন,
একটা ড্রিমের মতন
ধীরে ধীরে দূরে চলে যাইতেছে,
আমার ঘুম ভেঙ্গে যাইতেছে
একটা কুত্তা কুন্ডলী পাকায়া শুইয়া আছে রাস্তায়,
অর চোখের পাতার ভিতর নড়তেছি আমরা,
আমাদের ঘুম ভাঙতেছে না
দিওতিমা
দিওতিমা,
ভেসে যাইতেছে আমাদের মন
বৃষ্টির পানিতে চিড়া-চ্যাপ্টা হওয়া
কাগজের ফুলের মতন,
আর তুমি বলতেছো আমারে,
আর কতোক্ষণ! আর কতোক্ষণ পরে
মারা যাবো আমরা!
নয়া বাকশাল ১০১
শেয়াল পন্ডিতের পাঠশালায়
কুমিরের বাচ্চা’রা শিখতেছে,
“আগে ব্যাকরণ মাইনা কথা বলতে হবে!”
আমরা আমাদেরকে বলতেছি
উই আর দ্য নিউ ট্রি
উই আর ইয়েট টু বি
উই আর, উই আর…
আর কি কি-ই বা বলো
হইতে পারি?
এই জীবন দরিয়ার পানি
আর আমরা
পাড়ের বালুতেই দাঁড়ায়া আছি
কথা
কথাগুলা বলতে বলতেই
আমরা টের পাই
কথাগুলার কোন মানে নাই
আমি বলতেছি
আর ভাবতেছি তুমি শুনতেছো
কথার মানে এইটুকই,
এর বাইরে আর তেমন কোন
মিনিং তো নাই!
Leave a Reply