বাজার
শসা আর চালকুমড়া আলাপ করতেছে।
চালকুমড়া বলতেছে, তুমি আরেকটু মোটা হইলেই তো আমার মতো হইতে পারতা।
শসা বলতেছে, তুমিও কি আরেকটু চিকন হইতে পারতা না?
শসা আর চালকুমড়া তারপরে
শসা আর চালকুমড়া হয়া-ই থাকতেছে।
বিকালবেলায়, পূর্বাচল তিনশ ফিটে
বিকাল হইতেছে।
কোকাকোলার বোতলের ভিতরে সূর্য ডুবে যাইতেছে।
কয়েকটা ফটো-অপারচুনেটিও শেষ হয়া আসতেছে, তার সাথে।
শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সবুজ টিনের ভিতরে
কয়েকটা গাছ মারা যাবে বইলা দাঁড়ায়া আছে।
“আমরা কি কেবলই ছবি?”
মোবাইলফোনের ক্যামেরারে জিগাইতেছে।
বিকালবেলায় বাতাস নিরব।
যেন সবগুলা কথার শেষে একটা দাড়ি বসায়া দিতেছে।
‘আর আমারে মারিস নে মা’
আমি যেন ১দিনের একটা বাচ্চা
আমারে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়া
চলে যাইতেছে আমার মা
আমি দেখতেছি তাঁর চলে-যাওয়া
আবছা ছায়াটা
আমি বলতে পারতেছি না
“আর আমারে মারিস নে মা!”
বৈশাখের বিস্টি
ব্যারা
উঠার
পরে
ড্রাগ-এডিক্টের
কান্দার
মতো
বিস্টি
নামলো
বৈশাখের
সুখ-দুক্খের কথা
আমার কোন দুক্খ নাই।
মানে, দুক্খের কথা কইতে গেলে
যতোটা দুক্খ থাকতে হয় মনে,
সেইটা তো রেয়ার-ই, মাঝে-মধ্যে
বানায়া নিতে হয়, আর যেই দুক্খ
আছে মনে, তারে ভুইলা থাকতে হয়, তখন
মনে হয়, মনে তেমন কোন দুক্খ নাই! অথবা
যা আছে, তা তো সামান্য, না-থাকার মতোই…
এইরকম না-থাকার দুক্খগুলার কথা যখন মনেহয়
তখন বিস্টি-শেষে গাছের পাতাগুলা ঝলমল করে,
বিকালের রাস্তা চুপচাপ, যেন ফ্রেমের সাথে এডজাস্ট করে নিতেছে নিজেরে,
নিজ বইলা আর কিছু নাই!
এইরকম সুন্দর দুক্খগুলা আমাদের, আছে,
নাইও তো তেমন একটা আর…
শৈবাল ও দীঘির গল্প
তোমার বয়স
গাছের পাতাগুলাতে জইমা থাকা বিস্টির পানি,
বাতাসের মতো প্রেমিকেরা আসে,
তোমারে দোলায়, তোমার হাসি
অনেক দূরের পথের মতো ছড়াইতে থাকে
আমি শৈবাল, তোমার বয়সে ভাসি
তুমি বলতেছো, আরে
শিশিরের গল্পটা আবার তুমি বলা
শুরু কইরা দিও না কিন্তু…
দুনিয়াদারির চিন্তা
মাথার ভিতরে, দুনিয়াটারে সেট কইরা নিলাম।
তারপরে কইলাম, হেই, খবরদার,
তুমি নড়াচড়া করবা না কিন্তু একদম!
সময়ের শেষে
সময়, শেষ তো হবে কোথাও না কোথাও গিয়া…
আমি অই থাইমা যাওয়া’টার কথা ভাবি –
একটা বিকালবেলার বাতাস যেন আসতে আসতে
আটকায়া গেলো ধানখেতে, মেগগুলাও চুপ
একটা সময় কোথাও না কোথাও গিয়া তো শেষ হয়
দাঁতের মর্যাদা
খামাখা
একটা দাঁতব্যথা
জাইগা উঠে
কয়, তুমি
ভুলে গেছো
আমারে!
দাঁত থাকতে
দাঁতের ব্যথা তুমি
ভুলে যেও না যে!
দুপুরের ঘুম
কতোদিন পরে আমার ঘুম আসলো
যেইরকম বটগাছের নিচে বাছুরটা ঘুমায়
শান্ত নদীর পানি, রইদ চিক চিক করে,
বাতাস বয়ে যায়…
এইরকম আমার ঘুম আসলো, দুপুরবেলায়, নদীর কিনার
আমি ঘুমাই,
আমার ঘুমের ভিতর আরেকটা ঘুমের স্রোত
আমারে ভাসায়
কতো কতো দিন পরে, আমার ঘুম যে আসলো আবার…
আমার মনের ময়লা
শরীরের
ময়লাগুলা
হইলো
কয়লা
সাবান দিয়া
ধুইলে
যাবে না
কয়লায়
জ্বালাইলে আগুন
নিজে নিজেই
জ্বলবে দ্বিগুণ
যেই আগুন
নিজেই জ্বলে
সেই আগুন তো
নিভবে
না
মানুশ-মানুশ খেলা
গ্রাভিটি আরেকটু বাড়লেই হয়তো
গাছ হয়া যাইতে পারবো আমরা
নড়তে-চড়তে পারবো না
গ্রাভিটি আরেকটু কমলেই হয়তো
ঠ্যাং দুইটা ডানা হয়া উঠবে
পাখি হয়া যাবো আমরা
তারপরে, কিছুদিন পার হইলে
মন উদাস হবে আমাদের,
বলবো, “মন, তুমি মানুশ হইলা না!”
কুক্কুরুকু
মুরগা’টা সারাদিনই ডাকে,
মুরগা’টা কানা
তার আর সকাল হইতেছে না
পরিবেশ-পরিচিতি
তোমাদের ফেইক-হাসি,
ড্রাগ-উইড্রলের ডামি-কান্দা,
কিন্তু হেইট্রেট এতো রিয়েল! এতো অরিজিনাল…
এভারেজ-কবিদের দুয়েক্টা এভারেজ সত্যি-কথার মতন
যারা শব্দের জেলখানায় আটকায়া থাকে
মিনিংয়ের সিলিংয়ের বাইরে যাইতে পারে না
অরা কয়, আমরা তো ভালোবাসি তোমারে!
তোমাদের ফেইক-হাসি, ড্রাগ-উইড্রলের ডামি-কান্দা
আমারে ঘিরা রাখে, তোমাদের আন-বিয়ারেবল ঘৃণার বেদনা…
উত্তরা মডেল টাউন
ঢাকার মতো হইতে গিয়া
উত্তরা কইলো, না,
আমি হবো উত্তরা!
দিস ইজ ওয়াটার
পুকুরের পানিতে থাকা কয়েকটা মাছ
কইতেছে, নদীর পানি তো আসলে ভালো না
কি রকম জানি, ময়লা ময়লা
স্রোতও বেশি,
তার উপরে জোয়ার-ভাটা…
আমরা শিক্ষিত-সমাজ, পুকুরের মাছ
নদীর পানিতে নামবো না
Leave a Reply