মাইগ্রেন
অনেকদিন পরে মাইগ্রেন আইসা বলে,
শোনো, আমি আছি তো!
আর সমস্ত দুনিয়া আন্ধার হয়া আসে, তারপরে…
গরু’র কান্না
তোমরা সবাই গরু হয়া যাও!
ছল ছল চোখে তাকায়া থাকো,
আর অল্প কয়টা টাকায় বেচা হয়া যাও!
তোমরা কেউ একটা মহেশ হইয়া থাকো!
শরৎচন্দ্র হইয়া আমরা গল্প লেখবো গরিব গফুরের,
যে কিনা তার গরুরেই শুধু ভালোবাসতো!
তোমাদের এই গরু-ভাব তুমরা ছাইড়া দিও না!
কাঁদো বাঙালি কাঁদো!
আর কিছুদিন, আরো কিছুদিন গরু হইয়াই থাকো!
ক্রিঞ্জ
দাঁতের চিপায় জইমা থাকা
গরুর মাংসের মতো,
থাকো!
আম ও আপেল
আম’টা ভাবলো,
আমি তো আপেল হবো!
আমি কখনোই পাকতে গিয়া নষ্ট হয়া যাবো না!
দুপুরের কবিতা
সূর্যের হাসি
আমাদের ভালো লাগতেছে না, এই দুপুরবেলা
তুমি হাসতেছো,
তোমার হাসি বাতাসের মতো
রইদের গায়ে হাত বুলায়া দিতেছে
রইদ, গোঁয়ার প্রেমিক
তার ইগো থিকা বাইর-ই হইতে পারতেছে না
সূর্যের হাসির এই দুপুর,
আমাদের ভালো লাগতেছে না
বিকাল
একটা বিকাল সুন্দর।
সুন্দর বলার পরে যতোটা সুন্দর মনে হয়
তার চাইতে একটু বেশি সুন্দর।
সময়ের কিনারায় যেমন থাইমা থাকে
আরেকটা সময়।
রাস্তায় সাঁতরাইতে সাঁতরাইতে ভেসে যাইতেছে কয়েকটা মারমেইড…
এই ভিজ্যুয়ালও মুছে যাবে;
বাতাস আকুল হয়া বলতেছে,
“আমারে বান্ধিয়া রাখো বন্ধু, তোমার আলুথালু কেশে”
একটি রবীন্দ্র-সঙ্গীত
(শ্রীচরণেষু হিরো আলম করমলে)
পাছা ফেটে
গান
বাইর হয়
রবীন্দ্র-সঙ্গীত
তার নাম
কিন্তু রবীন্দ্রনাথ
কি
পাদ দিতেন?
পশ্চাতদেশে বায়ুনির্গমন
হইতো কি তার?
সনজীদা খাতুন?
ওয়াহিদুল হক?
মিতা হক?
উনারা কি পাদিতেন?
যেই মানুশ পাদে
তার কি রবীন্দ্র-সঙ্গীত
গাওয়া মানায়?
পাদ দেয়ার পরে কি আবার
অজু কইরা নিতে হয়?
বলতে হয় – “মঙ্গল করো…”?
না কইলে,
আমাদের ব্যাকুল পাছার ভিতরে
রবীন্দ্র-সঙ্গীতই কি ভইরা দিবে
পুলিশ আবার?
মুখোশের অন্তরালে
মুখোশের অন্তরালে আরো অনেক মুখোশই আছে,
দেইখা একটা মুখ বলতেছে,
আমারে রাখো বন্ধু একটা মুখোশের মতো, তোমারই অন্তরে!
সকালের সূর্য
জীবনের দিকে
আমি একটু বাঁকা হয়া তাকায়া থাকি
যেইভাবে সকালের সূর্যের আলো
তেরছা হয়া পড়ে ঘাসেদের উপরে
কবিতার কথা
ভাবনার দোজখে থাকি
কথার আগুনে পুড়ি
অনেক অনেক নিরবতা
আনবিয়ারবেল হয়া উঠলে পরে বলি
“শোনো, তোমার জন্য আমি কবিতা লেখছি!”
এনিমেল ফার্ম ২০২২
শিয়াল’টা কইলো মুর্গিরে,
তুমি আমার বাসায় চা খাইতে আসতে পারো তো!
তার কয়েক দিন পরেই একটা লাশ পড়ল, ভোলা’তে
লেজ-কাটা শেয়ালগুলা কইলো,
না, না, ও তো মুর্গি ছিল,
বিএনপি একটি!
আগে যারা শিবির ছিল
যারা “সাম্প্রদায়িক”
যারা বাংলা-সাহিত্য বুঝে না
যারা রবীন্দ্র-সঙ্গীত গাইতে পারে না
“উন্নয়ন” মানে না!
তথাপি “বিদ্যুৎ অপচয়” করে
অরা ছাগল, কাঠাল-পাতা…
আর আমরা শিয়াল
আমরা বাকশাল
আমরা হাক্কা-হুয়া
মুর্গিরে দেই চায়ের দাওয়াত
মুর্গিগুলা এখনো কুসংস্করাচ্ছন্ন
“মানবিক” হইতে শিখে নাই!
Leave a Reply