জুন ১১, ২০২২
বাংলা-কবিতার এন্থোলজি
বাংলা-কবিতার এন্থোলজি তো কমই। ১০-১২টার বেশি নাম শোনা যায় না। দশক-টশক ধরলেও ২৫-৩০টার বেশি হওয়ার কথা না। বলবার মতো ফার্স্ট এন্থোলজি ছাপাইছিলেন বুদ্ধদেব বসু ১৯৫৪ সালে “আধুনিক বাংলা কবিতা” নামে, পরে ১৯৬৩ সালে আপডেট করছিলেন শেষমেশ। ৫৭ জন কবি’র মধ্যে ফিমেইল কবি ছিলেন একজন – বাণী রায়, মুসলমান কবি ছিলেন তিনজন – নজরুল ইসলাম (কাজী লেখা হয় নাই, মানে, কবি’র নামই চেইঞ্জ কইরা দিছে) জসীম উদ্দীন (জন্মের জায়গায় লেখা হইছে “তারিখ জানাননি” 🙂 মানে, কবি’র দোষ এইটা) আর হুমায়ূন কবির। মানে, এইটা ছিল বেটা-মানুশ এবং হিন্দু-কবিদের কবিতার একটা এন্থোলজি আসলে।
সেকেন্ড যেই এন্থোলজির কথা শুনবেন সেইটা হইতেছে হুমায়ূন আজাদের “আধুনিক বাঙলা কবিতা” নামে, ১৯৯৩ সালে ছাপা হইছিল সেইটা। এইখানেও ৪৪ জন কবি’র মধ্যে ফিমেইল-পোয়েট আছেন একজন – সাধনা মুখোপাধ্যায়। আর ৪৪ জনের মধ্যে বাংলাদেশের কবি আছেন ১৫ জন। কাজী নজরুল ইসলাম, জসীম উদ্দিন তো বাদ গেছেনই ফররুখ আহমদ, আল মাহমুদও ইনক্লুড হইতে পারেন নাই। মানে, কারা কারা বাদ পড়ছেন, সেইটাই ছিল এই এন্থোলজির মেইন সিগনিফিকেন্স।
থার্ড যেই এন্থোলজি’টা, অইটা পুরাটাই বাংলাদেশের কবিদের 🙂 [কিন্তু ব্রিটিশ-পিরিয়ডের বা তার আগের কবি’রা সব ইন্ডিয়ার হয়া গেছেন, বাংলাদেশের থাকতে পারেন নাই]। এই এন্থোলজি’টা কাগজে-কলমে বানাইছেন ইন্ডিয়ান-বাংলার কবি রণজিৎ দাশ, ছাপাও হইছে ইন্ডিয়া থিকা, কিন্তু রণজিৎ দাশ বলছেন যে, উনারে “গাইড” করছেন বাংলাদেশের কবি সাজ্জাদ শরিফ। নাম হইতেছে “বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কবিতা”। ২০১০ সালে এইটার সেকেন্ড এডিশনে ৮৫ জন কবি’র কবিতা রাখা হইছিল। ফার্স্ট এডিশনে ৬০জন কবি’র কবিতা ছিল, পরে ২৫ জনের কবিতা অ্যাড করা হইছিল। এইখানে জেন্ডার হিসাবে ফিমেইল আছেন ৬ জন – সুরাইয়া খানম, রুবী রহমান, নাসিমা সুলতানা, তসলিমা নাসরিন, রোকসানা আফরীন ও শাহনাজ মুন্নী। এই এন্থোলজিও শিক্ষিত-মধ্যবিত্ত-পুরুষ কবিদেরই একটা কম্পাইলেশন, যার মেইন পারপাস হইতেছে কলোনিয়াল-কলকাতার কবিতা-ধারণাটারে “বাংলাদেশের কবিতা” বইলা এস্টাবলিশ করতে চাওয়া।
এর বাইরে, আরেকটা ট্রেন্ড আছে দশক-অনুযায়ী এন্থোলজি ছাপানোর – আশির দশকে শুরু হইলেও নব্বই থিকা এই বাটপারিটা বেশ অর্গানাইজডভাবে শুরু হইছে। কবিতার সাথে এই এন্থোলজিগুলার লেন-দেন কমই, মেইন ঘটনা হইতেছে ১০০-২০০ কবি’র কবিতা ছাপায়া তাদের কাছে বইগুলা বেচা। (৫০% দামে বেচলেও লস নাই তেমন।) মানে, যাদের কবিতা ছাপা হইছে উনারা তো কিনবেনই, যদি ৫-৭জন ফ্রেন্ডদেরকেও কিনাইতে পারেন, ৪০০-৫০০ কপি বেচা হবে। এইরকম বিজনেস-প্রজেক্ট একটা।
এমনিতে যে কোন এন্থোলজি’তে অনেক এভারেজ কবিদের কবিতাই পাইবেন। দুই-একজন গ্রেট-কবিদের কবিতা যে থাকে না – তা না, কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই, কবিতার এন্থোলজি মানে হইতেছে একটা সময়ের এভারেজ কবিদের এসোসিয়েশনের একটা দলিল।
তাই বইলা কবিতার কোন এন্থোলজি করা যাবে না – এইটা আমার পজিশন না, বরং বলতে চাইতেছি সবগুলা এন্থোলজিরই একটা উদ্দেশ্য থাকে, এবং সেইটা বেশিরভাগ সময়েই কবিতার বাইরেই ঘটনাই হয়া উঠে।
বাংলা-কবিতার ব্যাপারে ঘটনাগুলা আরো বাজে আর কি! মানে, রিকমেন্ড করার মতো কোন এন্থোলজি আমি পাই নাই।
জুন ১৩, ২০২২
মেনুফেকচারিং ফিলিংস ৩
একটা জুলুমের সমাজে বেশিরভাগ সময় কমিউনিকেশনের বেইজ হয়া উঠে হেইট্রেট। বাংলাদেশে এখনকার পলিটিক্যাল পরিস্থিতিতেও হেইট্রেট’টাই ইম্পর্টেন্ট, আপনার আইডেন্টিটি’র মেইন প্যারামিটার। মানে, আপনি কারে হেইট করতেছেন – সেইটাই হয়া উঠতেছে আপনার পরিচয়। বিএনপি-জামাত’রে হেইট না কইরা আপনি বাকশালি হইতে পারবেন না। একইভাবে, বাকশালরে হেইট করলেই “মৌলবাদী” “ইসলামিস্ট” বা এই টাইপের যেই আইডেন্টিটিগুলা আছে, সেইখানে জোড়া দেয়া’টা সহজ আপনার পজিশনটারে।
মানে, হেইট্রেট বা ঘৃণা হইতেছে আমাদের সমাজের এই সময়ের মেইন কারেন্সি।
এখন এইটারে আমরা “ভালোবাসা দিয়া ঠিক কইরা ফেলবো” – এইটা খালি ইনসাফিশিয়েন্ট না, বরং ভুয়া একটা পজিশন। কারণ এইটাও ফিলিংসরেই সেন্টার করে। আমাদেরকে সব ফিলিংস লুকায়া ফেলতে হবে বা ফিলিংসের জায়গাটাতে সৎ হইতে হবে – এইটা তেমন কিছুই মিন করে না আসলে। রাইট ইমোশন বইলা তো কিছু নাই! মানে, মানুশ হিসাবে ফিলিংস আমাদের আছে, থাকবেও; কিন্তু সোশ্যাল-কমিউনিকেশনের জায়গাটাতে আমাদের কাজ হইতেছে সবসময় একটা কনশাসনেস’রে তৈরি করা।
ফিলিংসের জায়গা থিকা সরতে হবে – এইটা আমার কথা না, কিন্তু এই যে ফিলিংসরে সেন্টার কইরা তোলা – এইটা বিচারের জায়গাটারে, কনশাসনেসের জায়গাটারে সবসময় রেস্ট্রিক্ট কইরা ফেলার কথা।
আমার ভাল্লাগতেছে, বা আমার খারাপ-লাগতেছে – এইটা স্বাধীন, সার্বভৌম কোন ঘটনা না, এইটার মেনুফাকচারিং পসিবল, এবং হইতেছেও সেইটাই। যখন এইটা মাস-লেভেলে কমিউনিকেশনের বেইজ হয়া উঠতেছে, সেইটা সোশ্যাল-জাস্টিসের জায়গাটারেও ন্যারো কইরা তুলতেছে। এবং জুলুমের সিস্টেমটারে সারভাইব করার ব্যাপারে হেল্প করতেছে।
***
“কেজিএফ” নিয়া কথা বলার সময় বলতেছিলাম যে, ইন্ডিয়ার এই রিজিওনাল মুভিগুলার লগে বাংলাদেশি সিনেমার একটা মিলের জায়গা আছে, সেইটা হইতেছে সাউন্ড।
এখনো দেখবেন, বাংলাদেশি সিনেমার মারামারি’র ঢিসুমা ঢিসুমা আওয়াজ নিয়া হাসে আর্ট-মারানি’রা। অথচ যারা পছন্দ করতো, তাদের পছন্দ করার একটা ফিচার ছিল যে, পুরা সিনেমা হল কাঁপায়া আওয়াজ হইতে হবে!
আমাদের এলাকার একটা সিনেমাহল ছিল গোরস্তানের কাছে। এইরকম একটা মিথ ছিল যে, নাগিনী সিনেমার ওঝা’র বাঁশির সুরে দুইটা সাপ নাচতে নাচতে পর্দার সামনে চইলা আসছিল! মানে, সাউন্ড নিয়া একটা ফেসিনেশন আছে।…
সিনেমা খালি সুন্দর সুন্দর ভিজ্যুয়াল না, বরং হেব্বি ডায়ালগ থাকতে হবে! সিনেমা হল থিকা বাইর হয়া যদি দুই-চাইরটা ডায়ালগ না বলা যায়, অইটা তো কোন সিনেমাই না!
বাংলাদেশের সো-কল্ড আর্ট-ফিল্ম এবং ‘বাণিজ্যিক-ধারা’র সিনেমার মেইন ডিফরেন্স দেখবেন এই সাউন্ডের জায়গায়। আর্ট-ফিল্মঅলারা মিহি সুরে কথা কয়, কেউ জোরে সাউন্ড করলে সেইটারে “যাত্রা” বানায়া দেয়। মান্না’র জোরে জোরে ডায়ালগ দেয়া নিয়া এই চুলকানি আছে উনাদের। এখন অবশ্য অরা “স্ল্যাং” বলা শিখতেছে, কিন্তু ডিপজলের স্টুডেন্ট হওয়ার যোগ্যতাও “অর্জন” করতে পারে নাই…
তো, এই সাউন্ডের জিনিসটার কথা মনে হইলো অনন্ত জলিলের “দিন – দ্য ডে”র সিনেমার পাবলিসিটি’তে সাউন্ড-কোয়ালিটির জায়গাটাতে জোর দেয়ার ঘটনা’টা দেইখা।
বাংলাদেশি সিনেমা’তে টেকনিক্যাল ইম্প্রুভমেন্টের জায়গাগুলা নাই-ই। এবং এইগুলারে সেকেন্ডারি জিনিসও বানায়া রাখা হইছে। যেন টেকনিক্যালি একটু “গরিবি-ভাব” না থাকলে সেইটা দেশি-সিনেমা হইতেই পারবে না!
তো, এইটা ঠিক না আর কি… ভালো-কাহিনি, সুন্দর ভিজ্যুয়াল অ-দরকারি জিনিস না, কিন্তু কেউ যদি টেকনিক্যাল ইম্প্রুভমেন্টগুলারে ইনকরপরেট করতে পারে, সেইটা দেইখা চ্যানেল-আই, প্র.আলো’র প্রেসস্ক্রিপশন মত হাসার দরকার নাই তো 🙂
এইগুলা খালি বেকুবের হাসি না, বাটপারির হাসিও…
***
একটা দেশের জন্য কোন গর্ভমেন্ট/শাসক ভালো আর কোন শাসক খারাপ – এই হিসাব এতো কঠিন কিছু না আসলে। দুই-চাইরটা লক্ষণ বা সাইন দিয়াই টের পাওয়া যায় বেশিরভাগ সময়।
যেমন, একটা ক্রুশিয়াল প্যারামিটার হইতেছে – খাজনা বা ট্যাক্স। কোন শাসক কার কাছ থিকা কতো টাকা ট্যাক্স নেয় আর সেই ট্যাক্সের টাকা কেমনে খরচ করে, এই জিনিসটা খেয়াল করলেও হয়।
আগের দিনে তারাই “অত্যাচারী রাজা” ছিল যারা গরিবদের কাছ থিকা বেশি ট্যাক্স নিতো আর সেইটা নিয়া নিজেদের লোকদের নিয়া আমোদ-ফূর্তি করতো। এইটা জালিমের একটা সাইন।
বাংলাদেশেও এখন সবচে বেশি ট্যাক্স দিতে হয় গরিবদেরকে, ভ্যাটের নামে ইন-ডাইরেক্ট ট্যাক্সের ভিতর দিয়া। ১০০ টাকার তেল কিনতে গেলে ঘাটে ঘাটে ভ্যাটের নামে ২০টাকাই দেয়া লাগে গর্ভমেন্টরে। ইম্পোর্টার বলেন আর ডিস্ট্রিবিউটর, পাইকার, দোকানদারের কথাই বলেন, সবার ভ্যাটের টাকা দেয়া লাগে গরিব কনজ্যুমাররেই। বাংলাদেশে সবচে বেশি খাজনা/ট্যাক্স কালেক্ট করা হয় গরিব লোকজনের কাছ থিকাই।
সেকেন্ড হইতেছে, যেই টাকা আদায় হয়, তার অর্ধেকই খরচ হয় শাসকের পাইক-পেয়াদাদের বেতনের পিছনে, লোনের টাকা শোধ করার পিছনে। যেই লোনের টাকা আসলে “উন্নয়ন”-এর নামে লুটপাট কইরা খাইতেছে এই গর্ভমেন্টের লোকজনই।
মানে, আমি বলতে চাইতেছি, এই যে একটা সিস্টেম দাঁড়াইছে, এইটারে “নরমাল” বইলা চালানো হইতেছে। কিন্তু এইটা “নরমাল” না। একটা জুলুমের সিস্টেম হাজার বছর ধইরা চললেও সেইটা নরমাল হইতে পারে না।
জুন ১৪, ২০২২
এখনকার দুনিয়ার এই যে নিও-ফ্যাসিস্ট সেন্টিমেন্টের আপ-রাইজিং এইটা তো লিবারাল-সেক্যুলার পলিটিক্যাল সাপ্রেশনেরই একটা আউটকাম।
ইন্ডিয়ার আজকের বিজেপিরে তৈরি করছে ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেসের ইর্মাজেন্সি’র শাসন! মিলিটারি, সরকারি-আমলা এবং সো-কল্ড সিভিল-সোসাইটির কন্টিনিউয়াস কন্সপিরেসির রেজাল্ট হইতেছে বাংলাদেশের আজকের বাকশাল।…
অথচ লিবারালদের হায়-হুতাশ দেখলে মনে হবে, এই নিও-ফ্যাসিস্ট আইডিওলজি যেন হঠাৎ কইরা গজাইতেছে হিস্ট্রিতে! এদের লগে যেন লিবারাল-সাপ্রেশনের কোন কানেকশনই নাই!
যেইটা লিবারালরা গোপনে করতো, সেই জুলুমগুলারে রাখ-ঢাক ছাড়া করার ভিতর দিয়া নিও-ফ্যাসিস্ট আইডিওলজি যেন এক ধরণের “ফ্রিডম” অফার করতেছে! এইরকমের একটা ইল্যুশনটারে তৈরি করতেছে ভিজ্যুয়াল-রিয়ালিটির ভিতর দিয়া।
যেই কারণে ভিজিবিলিটির কন্ট্রোল এস্টাবলিশ করাটা হয়া উঠতেছে ক্রুশিয়াল একটা ঘটনা। যেইখানে জুলুমের ঘটনাগুলা এবসেন্ট এবং ব্লার হয়া থাকতে পারে সবসময়।
কিন্তু এই জুলুমের মোকাবেলা কখনোই লিবারাল বদমাইশিগুলা দিয়া করা পসিবল না। নয়া বাকশালের শাসন চাই না বইলা আমরা কখনোই লিবারাল সাপ্রেশনের জায়গাগুলাতে ফিরা যাইতে পারি না। এইটা পসিবলও না।
মানে, নতুন কি চাই? এই কোশ্চেনের জবাব দেয়ার আগে, এই আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা একটা জরুরি ঘটনা আসলে।…
জুন ১৫, ২০২২
প্লে দ্য ফুল (fool)
Ethan Hawke’রে তো পছন্দ আমার। স্পেশালি “বিফোর ট্রিলজি”র কারণেই চিনছি তারে, পরে দেখলাম কয়েকটা ইন্ডিপেন্ডেড ঘরানার কাল্ট-মুভিও আছে তার (রিগ্রেশন, ওয়েকিং লাইফ, গ্রেট এক্সপেক্টশনস, বয়হুড) হিট মুভি নাই তেমন (ও, ডেড পোয়েট সোসাইটিতে আছে সে) । কিন্তু তার মুভিগুলা দেখার ব্যাপারে ইন্টারেস্টেড হইছি আসলে সে যে রিয়েল-লাইফেও একজন রাইটার – এই ইনফরমেশন জানার পরে। এই ভিডিও’তে তার কথাগুলা মোটামুটি এভারেজ জিনিসপাতিই, কিন্তু অই তো, পছন্দের মানুশের এভারেজ কথা-বার্তাও তো শুনতে ভাল্লাগে, বলার ভঙ্গি বা প্রেজেন্টেশনের কারণে।
স্টিভ জবসও কইছিলেন, বোকা হয়া থাকো! বা “কবি’রা আসলে জোকার” – এইরকমের কথা-বার্তাও অনেকদিন থিকাই চালু আছে, নতুন কিছু না এইগুলা। কিন্তু যেইটা ক্রুশিয়াল, বা অইরকম ক্লিয়ারলি বলা হয় না চালাক-হওয়া এবং কনশাস-হওয়ার মধ্যে যে ডিফরেন্সের জায়গাটা আছে, সেইটা নিয়া। ন্যাচারালি বেক্কল-হওয়া কঠিন কাজ, অই জায়গাটাতে যদি আপনি রিচ না করতে পারেন, তাইলে মুশকিলই হওয়ার কথা। সবাইরেই নিজের মতো কইরা অই স্পেইসটা আবিষ্কার করতে হয় আসলে।…
বোর্হেস একবার কইতেছিলেন, আমি তো দুই-চাইরটা টেকনিকের বাইরে তেমন কিছুই জানি না! (উনি আসলে খুবই জিনিয়াস-বেকুব একজন।) তো, এইরকম দুই-চাইরটা টেকনিক আবিষ্কার করাটা কখনোই সহজ জিনিস না। নিজেরে ছাইড়া দিতে হয়, কনশাসনেস পার হয়া তারপরে অ-জানা’তে ডুব দিতে হয়, আর নিজেরে ভাসায়া তুলতে হয় আবার। বেকুব হইতে পারা, সহজ কাজ নয়।
***
এইরকম একটা আওয়াজ উঠছে যে, নয়া বাকশাল এখন এবসুলেট পাওয়ার চাইতেছে। ব্যাপারটা এইরকম না আসলে যে, চাইতেছে; বরং এবসুলেট পাওয়ার ছাড়া এই জুলুমের সিস্টেম টিকায়া রাখা যাবে না আর! রাখ-ঢাক কইরা আর সামাল দেয়া যাইতেছে না!
বলা হইতেছে, ২০২৩-এর ইলেকশনের আগে আরো ফিউরিয়াস হয়া উঠবে, আরো গুম-খুন-মামলা দেয়া শুরু করবে! “করবে না” – এইটা আমার কথা না, বরং আমি বলতেছি যে, না কইরা আর কোন উপায় নাই! মিডিয়ার মিছা-কথা দিয়া, অনেক অনেক বিটিভি ও দৈনিক-বাংলা দিয়া মানুশরে ভুলায়া-ভালায়া রাখা যাইতেছে না। ডর দেখানো ছাড়া, ডরের মধ্যে রাখা ছাড়া আর কোন উপায় নাই!
জুলুম হইতেছে আগুনের মতন, এইটা নতুন নতুন এরিয়াতে ছড়ায়া পড়বে, আরো বড় হয়া উঠবে, যদি সেইটা না করতে পারে, তাইলে সাসটেইন করতে পারবে না আর, দমবন্ধ হয়া মারা যাবে। নয়া বাকশালেরও একইরকম জুলুমের আওতা বাড়াইতে থাকতে হবে। ২০২৩-এর ইলেকশন ২০১৮’র চাইতে আরো বাজে ও ভয়ংকর হবে। তখন তো “নিশি রাইতে” হইলেও ভোট দেয়া হইছিল। ২০২৩-এ এই রিস্কেও যাবে না। মানে, যাওয়াটা পসিবল না।…
জুন ১৬, ২০২২
রহমান হেনরী ভালো-কবি না খারাপ-কবি – এইটা আলাপের বিষয় না এইখানে, বরং বাকশালি-রিজিম যে কি জঘন্য রকমের খারাপ – এই আলাপ যারা এড়াইতে চান, তাদের একটা স্টান্টবাজিই এইটা (ভালো-কবি, খারাপ-কবি), এক রকমের।
কবিতা-লেখার মতো একটা “তুচ্ছ কারণে”ও আপনার “শাস্তি” হইতে পারে – এইরকমের ডর ঢুকায়া দেয়াই হইতেছে, এর মেইন এজেন্ডা। কবিতা দিয়া জুলুমের প্রতিবাদ করা যায় না – তা না, কিন্তু রাস্তায় মিছিল-মিটিং করার চাইতে কবিতা-লেইখা প্রতিবাদ করার ঘটনাটা অবশ্যই লেস-এফেক্টিভ একটা টুল, যেইখানে সব ধরণের প্রপাগান্ডা-মেশিনগুলা জালিমের দখলে।
মানে, এইটা কবিতা-লেখার দোষ না এতোটা, জালিমের নিজেরে পাওয়ারফুল দেখানোর প্রপাগান্ডাই একটা; যে, এই একস্ট্রিম পর্যন্তও যাইতে পারে তারা। বা এই সাজেশনও যে, প্রতিবাদী-কবিতা লেখতে পারেন বরং আপনারা! 🙂
জুন ১৭, ২০২২
– আল্লার গজব –
বেদের মেয়ে জোসনা সিনেমা’তে একটা ডায়ালগ আছে যে, রাজা যদি অত্যাচারী হন, তাহলে তাকে শাস্তি দেন স্বয়ং খোদা! “অশিক্ষিত” লোকজন এইটারে কয়, আল্লার গজব!
এখন আমরা যারা “আধুনিক” এবং “শিক্ষিত” লোকজন আছি আমরা “আল্লার গজব” জিনিসটারে একইভাবে বুঝবো না আসলে। কিন্তু ট্রাই করলে “বিজ্ঞান-মনস্কভাবে”ও বুঝা সম্ভব। অনেকে চেষ্টা-চরিত্র করেন দেখি, মাঝে-মধ্যে, যে এইগুলা হইতেছে ক্লাইমেট-ডিজাস্টার, উন্নয়নের কুফল…
মানে, খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন, সিলেটে বন্যা এবং সারাদেশে দুর্ভিক্ষ-অবস্থা হঠাৎ কইরা ঘটতে থাকা কোন ঘটনা না, বাংলাদেশের অত্যাচারী-রাজা বাকশালেরই কোন না কোন খারাপ-কাজের রেজাল্ট এইগুলা। আর আপনি-আমি চুপ কইরা থাকলে, কথা না কইলেই এই গজবগুলা নাই হয়া যাবে না।
***
কয়দিন আগে ভাড়া দেয়ার সময় এক রিকশার ড্রাইভার বলতেছিল, ভাই, কয়ডা টাকা বাড়ায়া দেন, টাকা জমাইতেছি, বাড়িত গিয়া ব্যাটারির রিশকা কিনবো, এই রিশকা আর টানতে পারি না!
তখন মনে হইলো ব্যাপার’টা। গত ৩০ বছরে বাংলাদেশের রিশকা না হইলেও ৩/৪টা টেকনিক্যাল চেইঞ্জের ভিতর দিয়া গেছে। সবশেষে, ব্যাটারির রিশকা নানান চেইঞ্জের ভিতর দিয়া এখন মোটামুটি একটা স্ট্যাবিলিটির দিকে যাইতেছে।
কিন্তু এই রিশকাগুলার টেকনিক্যাল ডিজাইন কে করছে? বুয়েট-পাশ কোন ইঞ্জিনিয়ার হইলে তারে তো এতোদিনে হিরো বানায়া দেয়া হইতো! কোন কোম্পানি বানায় রিশকাগুলা? নামি-দামি কোন কোম্পানি বানাইলে তো মান-ইজ্জত থাকতো ন!
মানে, আমি বলতে চাইতেছি, বাংলাদেশে সো-কল্ড শিক্ষিত-লোকজনের দেশের কাজ-কামে কোন কন্ট্রিবিউশন নাই। এইটা জাস্ট একটা উদাহারণ। রিশকা নিয়া যা করার “জিঞ্জিরা-ইঞ্জিনিয়াররা”-ই করার কথা। কারণ, এইটা তাদের রুটি-রুজির ব্যাপার, প্যাশনও হওয়ার কথা কারো কারো।
আমাদের “শিক্ষিত-সমাজে” সমাজ নিয়া, সমাজের মানুশের ভালো-মন্দ নিয়া চিন্তা-ভাবনা করাটারে “ক্ষ্যাত” হিসাবে ভাবা হয়। মানুশ-জনরে গালি-গালাজ করতে পারা, “আদার” হিসাবে দেখতে পারাটাই বরং হইতেছে “শিক্ষিত” হওয়ার লক্ষণ। এইটাই হইতেছে আসলে কলোনিয়ালিজমের রিয়েল কুফল।
কেউ যদি ধরেন, সুন্দর, ইকো-ফ্রেন্ডলি এবং বাজারে বিজনেস করা পসিবল (অনেক স্যুভেনির-প্রজেক্ট আছে, এওয়ার্ড জিতার জন্য বানানো হয়, সেইটা ভাইবা বলতেছি) এইরকম রিশকা যদি কেউ ডিজাইন করেন, দেখবেন তার গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ডই তারে নিয়া “ফান” করবো যে, রিশকা-ডিজাইনার!
রিশকাই বানাইতে হবে – এইটা জরুরি না, হাওরে কোন সলিউশন বানান বন্যার সময়ে প্রটেকশনের জন্য, আগে আমাদের এলাকায় শীতকালে “চক্ষু-শিবির” হইতো, গরিব এবং বুড়া লোকদের চোখের চিকিৎসা হইতো, তাঁবু টানায়া স্কুলের মাঠে, মানে, “সমাজ-সেবা” বইলা একটা জিনিস ছিল, সেইটা এখন খালি পলিটিক্যাল ঘটনা হয়া উঠে নাই, নাইও হয়া গেছে।
বাকশালের কারণেই হইছে। করোনার সময় কেউ খাবার-দাবার ডিস্ট্রিবিউশন করতে গেলে থানা-পুলিশের মাধ্যমে করতে হইতো। ইফতারও ফ্রি ডিস্ট্রিবিউট করা যায় নাই। অথচ মোটামুটি সব বছরই যাকাতের কাপড় আনতে গিয়া মানুশ মারা যায় “পদদলিত” হয়া।…
তো, আমাদের আশ-পাশ নিয়া চিন্তার করার সময় যদি নিজেরাই ব্যারিকেড বসায়া দেই, কোন বিদেশি টেকনোলজির জন্য ওয়েট করি; সমাজে যদি পলিটিক্যাল কন্ট্রোলের বাইরে কোন স্পেইসরে না রাখি, সেইটা একটা দমবন্ধ অবস্থার দিকেই যাইতে থাকবে… আমি জানি না, কিন্তু আমার মনেহয় অই রিশকার ড্রাইভার কোনদিন ব্যাটারির রিশকা (কিনবে-না না) কিনতে পারবে না… যদি সমাজের ভিতরের এই জায়গাগুলা চেইঞ্জ না হয়, বা এটলিস্ট অই জায়গাগুলা নিয়া চিন্তা করার জায়গাতে যাইতে পারি আমরা…
***
গত ১৫ বছরের বাকশালি-শাসনে সবগুলা সরকারি-প্রতিষ্ঠানরে (থানা-পুলিশ, আইন-আদালত, সরকারি-অফিসগুলারে) ধ্বংস কইরা বাকশালের “কমিশন এজেন্ট” হিসাবে তৈরি করা হইছে, পাবলিকের টাকা-মারার মেশিন বানানো হইছে।
যে কোন পলিটিক্যাল এক্টিভিটিরে (মিছিল-মিটিং, সভা-সমিতি, এমনকি পলিটিক্যাল কথা-বলারেও) বাতিল করা হইছে, নিউজ-মিডিয়ার দালালগুলারে দিয়া “সন্দেহজনক” ট্যাগ লাগানো হইছে, বুলিং করা হইছে!
খালি তা-ই না, সব ধরণের সামাজিক-সংগঠনগুলারেও নাই কইরা দেয়া হইছে। পলিটিক্যাল কন্ট্রোল এস্টাবলিশ করার জন্যে।
এই কারণে দেশের কোন ক্রাইসিস মোমেন্টে কোন সামাজিক-সংগঠনের দেখা আমরা পাই না, কারণ এইগুলা করতে “মানা আছে”, এক রকমের। এর বদলে দেখবেন মিডিয়ার দূরবীন দিয়া “হিরো” বাইর করার প্রজেক্ট নেয়া হয়। প্রতিটা ঘটনায় একজন-দুইজন “হিরো” বানানো হয়। সরকারি-খুনগুলারে গায়েব কইরা দেয়ার জন্যই এইটা করা হয় মেইনলি।…
একটা মিনিমাম লেভেলের সামাজিক-সংগঠন, পলিটিক্যাল এক্টিভিটি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়া একটা দেশে ডেমোক্রেসি কেমনে সম্ভব! আর এই নন-ডেমোক্রেটিক বাকশালি-শাসনের খেসারত যে কোন ক্রাইসিস মোমেন্টেই বেশি কইরাই দিতে হইতেছে আমাদেরকে। দিতে থাকতে হবে আসলে…
জুন ১৮, ২০২২
গত ১৫ বছরে বাকশালের ‘এচিভমেন্ট’ হইতেছে দুইটা:
১. বাংলাদেশরে পলিটিক্যালি ইন্ডিয়ার গোলাম হিসাবে এস্টাবলিশ করা
২. “উন্নয়ন”-এর নামে পিপলের টাকা-পয়সা লুটপাট কইরা খাওয়া
এই দুইটা কাজের কুফল আরো অনেকদিন ভোগ করতে হবে আমাদেরকে। ইভেন, বাকশালি-শাসন শেষ হয়া গেলেও এর এফেক্ট থাইকা যাবে। যে কোন ক্রুশিয়াল মোমেন্টেই খুব ভালোভাবে ফিল করতে পারবো আমরা এই জিনিস দুইটা।
(খালি একটু খোঁজ নিয়া দেখেন, করোনার সময় যে এতো মাতামাতি হইলো, এর পরে দেশে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা কয়টা বাড়ছে? বরং কমা’র কথা কিছু… দুই-চাইর বছর পরে পরে যে এডুকেশন-সিস্টেমে চেইঞ্জ আসে, এইটা শিক্ষা-ব্যবস্থারে ভালো করার লাইগা ঘটে না, বরং কোটি কোটি টাকা মাইরা খাওয়ার কারণে ঘটে এইগুলা, ফ্যান্সি প্রজেক্টগুলা… )
দুই.
বাকশাল মানে খালি আওয়ামী-লীগ না, বরং সিপিবি, জাসদ, প্রথমআলো-ডেইলিস্টার, এরাও ইনক্লুডেড। এই কারণে দেখবেন উনারা “বাকশাল” নামটা মুখে নিতে চায় না। এই প্যাক্ট’টা একলগে মিইলা একটা “প্রগতিশীলতার ন্যারেটিভ” তৈরি কইরা রাখছে, যেইটা হইতেছে আসলে “বাকশালি বয়ান”। এই বাকশালি-শাসনরে বাতিল করতে হইলে আগে এই বাকশালি-বয়ানের বাইরে যাইতে পারতে হবে।
এই বাকশালি-বয়ানগুলা কি রকম? দুইটা উদাহারণ দেই।
কয়দিন আগে কুমিল্লার ইলেকশন নিয়া আলাপে দেখবেন, অরা (বাকশালিরা, যেমন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, আরো হাবিজাবি যারা আছে) বলা শুরু করছে যে, বিএনপি’র আরেক ক্যান্ডিডেটের কারণে হারছে আগের মেয়র; বা ভোট ঠিকঠাকই হইছে শেষের দিকে একটা ফোনকলের কারণে ঝামেলা হইছে; বা তিনটা কেন্দ্রে খালি ভোট-জালিয়াতি করছে।… মানে, এইটা যেন মোটামুটি ঠিকই আছে, খালি ছোটখাট কিছু ভুল আছে।… তো, না। এইটা ঘটনা না। এইটা হইতেছে, বাকশালি-বয়ান। ইলেকশন-সিস্টেমের টোটাল কন্ট্রোল হাতে নিয়া বইসা রইছে বাকশাল। খালি মিডিয়ারে দিয়া “কবুল” বলানোর কাজটা করানোর বাকি, “বিশ্বাসযোগ্য” কইরা তোলা হবে খালি। এইটা একলা আওয়ামী-লীগের কাজ না, বাম-বাটপার এবং মিডিয়া-দালালগুলা এর ইন্ট্রিগ্রাল পার্ট।
সেকেন্ড হইতেছে, সিলেটের বন্যা। “মানবিক সাহায্যের” পিকনিক করবে এখন। হাওরের রাস্তার কথাও কইতেছে, কিন্তু এর পরে আর যাবে না, ভাশুরের নাম মুখে নিবে না, গরিবের বউ হয়া থাকবে এরা। বাংলাদেশের ‘ভালো-মানুশ’ হওয়ার লাইসেন্স এদের কাছে। যে কোন মূল্যে এরা বাকশালরে প্রটেক্ট করবে। আর সেইটা করবে “প্রগতিশীলতা” নামে একটা “কুসংস্কারের” ভিতর দিয়া।
তিন.
আমার কথা এইটা না যে, সেক্যুলার, লিবারাল হওয়া খারাপ কাজ, কিন্তু হিস্ট্রিক্যালি কি রোল প্লে করতেছে এই আইডিওলজির লোকজন, সেইটা খেয়াল করা দরকার আমাদের। দুনিয়ার সবচে খারাপ-কমিউনিস্ট’টার পক্ষেও নর্থ-কোরিয়ারে সার্পোট করা পসিবল না। কিন্তু নর্থ-কোরিয়ার পক্ষে কমিউনিজমের দোহাই না দিয়া এই জুলুম তো কন্টিনিউ করা পসিবল না। বাংলাদেশের প্রগতিশীলতা, লিবারাল, সেক্যুলার হইতেছে সিমিলার ঘটনা।
বাংলাদেশের এখনকার অবস্থায় “নন-প্রগতিশীল” না হয়া আপনি বাকশাল-বিরোধী হইতে পারবেন না। কারণ বাকশালের এগেনেস্টে কথা কইলেই আপনারে বিএনপি, জামাত, ইসলামিস্ট বানায়া দিবে এই সো-কল্ড প্রগতিশীল মিডিয়ার দালাল ও সোশ্যাল-বটগুলা।
তো, এইটা উনারা (বাকশালিরা) বুঝেন না – এইটা আমার মনেহয় না। শয়তান নিজে জানে সে শয়তান, এই কারণেই শয়তানিগুলা সে কন্টিনিউ করতে পারে সবসময়। এই জায়গায় কোন ডাউটের কিছু নাই আর কি!
***
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার দায় খালি বাকশালি-সরকারের না, বাকশালি-মিডিয়ারও। উনারা ঘুম থিকা উইঠা দেখছেন “হঠাৎ” কইরা বন্যা শুরু হয়া গেছে! এবং শুরু থিকা এখনো পর্যন্ত ইনফরমেশন হাইড করতেছে।
যে কোন বন্যা, ঝড়, সাইক্লোনে, যত আগে “পূর্বাভাস” জানা যায়, যত বেশি জানানো যায় মানুশ-জনরে, তত বেশি ক্ষতি এড়ানো যায়, মানুশ-জন প্রিপেয়ার্ড হইতে পারে।
কিন্তু এই বন্যা আসলেই “হঠাৎ” কইরা হইছে! সরকারি-লোকজন কিছু জানে না, সরকারি-মিডিয়াও জানে না (?) কিছুই।
বন্যা হওয়ারও ২-৩ দিন পরে বাকশালি-মিডিয়ার ঘুম ভাঙছে। আগে-ভাগে বলা, সাবধান করা দূরে থাক, এমনো কথা হইছে যে, বাড়ায়া বলা হইতেছে সোশ্যাল-মিডিয়ায়!
আর কোন কোন গজব’রে এরা লুকাইতেছে আমাদের কাছ থিকা আল্লাহই জানে!
জুন ২০, ২০২২
অন্য অনেক অভ্যাসের মতোই মিছা-কথা কওয়া একটা অভ্যাস। যারা মিছা-কথা কইতে থাকে, একটা সময়ের পরে এইটা থিকা বাইর হইতে পারে না – তা না, মিছা-কথাগুলারেই সত্যি মনে করতে থাকে; যেইভাবে আমাদের অনেক অভ্যাসরে আমরা “সত্যি” বইলা মনে করতে থাকি।
এইটা মনে হইতেছিল, বাংলাদেশি বাকশালি নিউজ-মিডিয়ার কথা মনে কইরা। গত ১৫ বছরে মিছা-কথা কওয়া, মানে, কোনভাবেই কোন সত্যি-কথা না কওয়া, ইস্যু-ঘুরানো, বাকশালরে বিরক্ত না করাটারে যেইভাবে “নিউজ” হিসাবে প্রাকটিস করছে। এইটা থিকা সহজে বাইর হইতে পারবে না। কারণ, জিনিসটারে অরা মিছা-কথা কওয়া মনেই করে না! মনে করে, নিউজ তো এইরকমই!
তো, জিনিসটা ট্রাজিক উনাদের জন্য, স্যাডও; কিন্তু সব মিলায়া বিশ্রী জিনিসই একটা 🙁
Leave a Reply