ইভিল

[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]ইভিল যে, সে পুরুষ এবং একটু মোটা। ইভিল যেহেতু ভাবছিলাম ডার্ক নাইটের জোকারের মতো হবে; পরে দেখি চেহারাটা অনেকটা ম্যান ভার্সেস ফুড-এর লোকটার মতো। কিন্তু চেহারায় কোন হিউমার নাই, মৃদু-হাসি, ভালোবাসি, এইরকমের জিনিসটাই জাস্ট অ্যাবসেন্ট। দাঁড়াইয়া ছিল সে একটা কোণায়। উঁচা কোন বিল্ডিংয়ের কাঁচের দেয়ালের পাশে। সাথে তার বডির সমান হাইটের রডের মতো একটা কি জানি! যে তারে চিনে না, ভাববে কোন মেইনটেন্সের কাজ করতে আসছে। আমি ভাবতেছিলাম এই উইপেন সে কেমনে ইউজ করে? নাকি খালি ডর দেখানোর লাইগাই লগে রাখে? একটু দূরে দাঁড়াইয়া আমার আর হুজুরের কথা শুনতেছিল সে। হুজুর ইয়াং, প্রফেশনাল কারণেই হয়তো দাড়ি রাখছেন। কথা কইলে বোঝা যায় র‌্যাশনাল দুনিয়ার খোঁজ-খবরও রাখেন তিনি। ইভিলের চোখ দুইটা পিটপিট করতেছিল। হুজুরের দিকে তাকাইয়া ছিল সে। এতদিন সে আমার ভিতরেই ছিল; এখন আর থাকতে না করতে পাইরা বাইর হয়া আসছে। বুঝতেছে এই হুজুরের সাথে আমি কথা কইতে থাকলে সে আর থাকতে পারবো না, আমার সাথে। তার চোখের দিকে তাকাইয়া আমি আমার ভবিষ্যত দেখতে পাইতেছিলাম।

আমি আমার রুমে শুইয়া আছি। ইভিল আর নাই আমার সাথে। সে একটা বেড়ার ঘরে, হুজুরের বিছানার একটা কোণায় বইসা আছে। শুকাইয়া গেছে সে। হুজুরেরও বয়স হইছে। উনার তিনজন মুরিদ উনার দুই হাত ধইরা উনারে বিছনা থিকা তুলতেছে। করুণ একটা মুখ নিয়া ইভিল হুজুরের দিকে তাকাইয়া আছে। হুজুর তারে দেখেও না। এই দুঃখে সে তার শরীরের ভিতর আরো কুঁকড়াইয়া যায়। আমি একটা শাদা দেয়ালের রুমের ভিতর বইসা ফিল করতে পারি ইভিল আর ফিরতে পারতেছে না আমার কাছে, এমনকি হয়তো নিজের কাছেই। আমার ইভিলনেস ছাড়া আমি কি করবো আর বুঝতে পারি না। আমি আরেকটা রুমে যাই। কেমন একটা ভ্যাকুয়াম টাইপের ফ্রিডম ফিলিংস আসে। মনে হয় আমার শরীরের ওজন কইমা গেছে। কিন্তু ইভিল আসলে কেডা? কি ছিল সে?

একজন দুঃখী মানুষ উইথ অ্যা ব্যাড ইনটেনশন ইজ দ্য ইভিল পারসন টু আস। হুজুর মনেহয় একবার বলছিলেন আমারে।

Leave a Reply