টিএসসি’র অপজিটে সোরওয়ারর্দী’র গেইটে দাঁড়াইয়া চা খাইতেছিলাম আমি আর আরেকজন। উনি ওই এলাকায় মোটামুটি পরিচিত। যাওয়া-আসা করেন মাঝে-মধ্যে। উনার পরিচিত আরো কয়েকজন ফ্রেন্ড আসার কথা। আমরা অপেক্ষা না কইরাই চা খাইতেছিলাম। কথাও কইতেছিলাম।
তারপর সিগ্রেট কিনতে টিএসসি’র ওয়ালের সাইডের দোকানে গেলাম। কিনলাম বেনসন। দিলো গোল্ডলীফের দশটার চ্যাপ্টা প্যাকেটে। গোল্ডলীফের আবার দশ’টার প্যাকেট বাইর হইছে নাকি – এইটা তো জানতাম না। চ্যাপ্টা প্যাকেটে ঢুকাইতে গিয়া সিগ্রেট কয়েকটা মোচড়াইয়া ফেললো। আমি খেইপা গেলাম সিগ্রেটওলার উপ্রে। আরে শালা, করে কি! সিগ্রেটওলাও খেইপা গেলো। কইলাম, বাল সিগ্রেটগুলা ভাঙলা ক্যান! দোকানদারও উল্টা গরম দেখায়। আমি কই, কাস্টমারের লগেও খারাপ বিহেভেয়ার করো! সিগ্রেটওলা কয়, কাস্টমারের লগে করুম না তো কি ঘরের বউ-এর লগে করুম! আমি অবাক। অপরিচিত লোকের সাথেই ভালো বিহেভেয়ার করতে হয়, পরিচিত লোক ত পরিচিত লোকই। কিন্তু এরা মনে হয় এইটা জানে না। আমরা অপরিচিত বইলাই বাজে বিহেভেয়ার করতেছে। আমি আমার অবাক হওয়াটা আর সামলাইতে পারি না। কোনরকম একটাকিছু কইয়া চইলা আসতে থাকি।[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
কিন্তু কোন এক কারণে পুরা এলাকা গরম হয়া গেছে। আর মনে হয় আমার এই অ্যাক্টের কারণেই। এমন ঘটনা যে, ওরা বাঁশ-টাশ, ইট-টিট নিয়া প্রিপারেশন নিতেছে যে, আমরারে মাইর দিবে। আমরা তাড়াতাড়ি হাঁটি। দৌড় দেই না তারপরও। ‘দৌড় কিন্তু দিতে পারি আমরা’, আমার সাথে যিনি আছিলেন, উনি কইলেন। আমারও ভয় করে একটু একটু। আবার মনেহয় ব্যাপারটা হয়তো আমরারে নিয়া না, আমরা আছিলাম বইলাই মনে হইতেছে খালি যে, আমরারে নিয়া খেপছে মানুষজন।
ততক্ষণে ইউনিভার্সিটির মসজিদের গেইটে চইলা আসছি। দৌড় আর দিবো না আসলে আমরা। যেই পথ হাঁইটাই যাওয়া যায়, সেইখানে দৌড়াদৌড়ি’র কি দরকার।
Leave a Reply