উল্লুকরে কেমনে কবিতা লেখা শিখাইবেন – জেমস টেইট।

এইটা ওদের লাইগা কঠিন কিছু না

উল্লুকটারে কবিতা লিখা শিখানোটা:

পয়লা তারে ওরা চেয়ারে বাইন্ধা ফেলে,

এরপরে পেন্সিলটা গিঁট দেয় তার হাতে

(কাগজটা অলরেডি পেরেক দিয়া লাগানো ছিলো নিচে)। Continue reading

গার্লফ্রেন্ডের জন্য কিছু কথা – সিজার পাভিজি।

একটা মেয়ের সাথে হেঁটে যাই আমি কোন কথা না বলেই
রাস্তায় শে আমারে দেখছিল। এখন সন্ধ্যা,
প্রশস্ত পথের পাশে গাছ আর আলোদের সারি।
থার্ড টাইম দেখা করতেছি আমরা।
অস্বস্তিকর ডিসিশানটারে আরো কঠিন কইরা তোললো মেয়েটা:
ক্যাফেতে বসাটা বাদ হয়ে গেছিল কারণ মানুষের ভীড় আমাদের ভালো লাগে না,
আর সিনেমাহলের অপশনটাও, কারণ প্রথমবার আমরা গেছিলাম
সেইখানে… ওইখানে আবার যাওয়াটা ঠিক হইবো না
কারণ আমরা তো আর প্রেমে পড়ি নাই।
এইজন্য চলো হাঁটতেই থাকি
পো পর্যন্ত, ব্রীজটার কাছে যাই, আর তাকায়া থাকবো নে প্রাসাদের আলোগুলির দিকে
যেইখানে স্ট্রীটল্যাম্পের আলোগুলি পড়ে পানিতে।
থার্ডটাইম ডেইটের ডেডনেস আমাদের।
একজন অপরিচিত মানুষরে যদ্দূর জানা দরকার তার সম্পর্কে আমি ততটুকই জানি,
যে তারে একটা অন্ধকার রুমে জড়ায়া ধরছিল আর চুমা খাইছিল
যেইখানে অন্য কাপলরাও জড়াজড়ি করতেছিল,
যেইখানে ছিল অর্কেষ্ট্রা – একটা সিঙ্গেল পিয়ানো – বাজাইতেছিল আইডা
এভিনিউ দিয়া হাঁইটা যাই আমরা, আর অন্য সবার মতো।
এইখানেও একটা অর্কেস্ট্রা, ক্যাড়ক্যাড়ানি আর গান-গাওয়া,
একটা যান্ত্রিক গোলযোগ, ট্রামের ঝাঁকুনিগুলির মতোন।
তারে আমি আমার দিকে টানি আর তাকাই তার চোখের দিকে:
নিরবে শে তাকায় আমার চোখের দিকের আর হাসে।
আমি জানি তারে, যেমনটা আমি সবসময় জানি সব মেয়েদের সম্পর্কে:
যে শে চাকরি করে, শে দুঃখী, আর যদি আমি তারে জিগাই,
“আজকে রাতে তুমি কি মরতে চাও?” শে হ্যাঁ বলবে।
“আর আমাদের এই এইটুক প্রেম?” “আমাদের প্রেম তো অন্যরকম কিছু,
এইটা শুধু এই মুহূর্তের।” (ওর একটা বয়ফ্রেন্ড আছে।)

Continue reading

বসন্তের দিনে মাতলামি থিকা জাইগা উঠার পরে – লি বাই।

এই দুনিয়ায় বাঁইচা থাকাটা কিছুই না, একটা বিশাল স্বপ্ন খালি;
তারে আমি খুব কষ্ট বা যত্ন কইরা নষ্ট করবো না
এর লাইগাই, সারাদিন ধইরা মদ খাইছিলাম আমি,
পইড়া ছিলাম আমার দরজার বাইরে, উঠানে, চিৎ হইয়া।

জাইগা উইঠা, বাগানের ঘাসের দিকে তাকাইছিলাম আমি
একলা একটা পাখি গান গাইতেছিল ফুলগুলির মধ্যে।
নিজেরে জিগাইলাম আমি, দিনটা কি গোমড়া ছিল নাকি ঠিকঠাক?
বসন্তের বাতাস বলতেছিল সেইকথা ম্যাংগো-বার্ডটার সাথে। Continue reading

একটা আর্ট – এলিজাবেদ বিশপ।

হারায়া ফেলার আর্ট শিখাটা কঠিন কিছু না,
ইচ্ছার ভিতরে মনেহয় কতো জিনিস আটকাইয়া আছে
তাদের হারায়া ফেলাটা হারানোর ভিতর, বাজে কিছু না।

প্রতিদিন কিছু না কিছু হারায়া ফেলো। মাইনা নাও হতভম্ব হওয়াটা
দরজার চাবি হারায়া ফেলা, একটা ঘণ্টা বাজে কাটানোটা।
হারায়া ফেলার আর্ট শিখাটা কঠিন কিছু না।

তারপরে প্রাকটিস করো আরো বেশিকিছু হারায়া ফেলার, আরো তাড়াতাড়ি কইরা:
জায়গাগুলি, আর নামগুলি আর যেইখানে যেইখানে তুমি
যাইতে চাইছিলা। এইগুলির কোনটাই বাজে কিছু না। Continue reading

মি. কফি আর মি. ফিক্সিট – রেমন্ড কার্ভার।

 

আমি কিছু দেইখা ফেলছিলাম। আমি আমার মা’র বাড়িতে গেছিলাম কয়েকদিন থাকার লাইগা। কিন্তু যখন আমি সিঁড়ির উপ্রে উঠলাম, আমি তাকাইলাম আর শে সোফাতে বইসা একটা লোকরে কিস করতেছিল। এইটা ছিল গরমের সময়। দরজাটা খোলা ছিল। টিভি চলতেছিল। এইটা এইরকম একটা জিনিস যা আমি দেইখা ফেলছিলাম।

আমার মা’র বয়স পয়ষট্টি। শে সিঙ্গেলস ক্লাবের লোক। তারপরও, এইটা ছিল বেশ কঠিন। রেলিংয়ে একহাত দিয়া আমি দাঁড়ায়া ছিলাম আর দেখতেছিলাম লোকটা তারে কিস করতেছে। শেও তারে পাল্টা কিস করতেছিল, আর টিভিটা চলতেছিল তখন।

জিনিসগুলি এখন বেটার। কিন্তু আগের দিনে, যখন মা আমার খোঁজ-খবর নিতো না, আমার চাকরি ছিল না। আমার বাচ্চাগুলি ছিল বদমাইশ, আর আমার বউটা বদমাইশ আছিলো। শেও আমার কোন খোঁজ-খবর নিতো না। শে যেই বেটার খোঁজ-খবর রাখতো সে আছিলো একটা বেকার অ্যারো-স্পেইস ইঞ্জিনিয়ার। ওই বেটার সাথে বউয়ের দেখা হইছিল AA’র  মিটিংয়ে। সে ছিলো আরেকটা বদমাইশ। Continue reading