কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে বাংলা-কবিতার ঠাকুরদেরকে শুভেচ্ছা

 

মূল কবিতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বলাকা: ১৪

কত লক্ষ বরষের তপস্যার ফলে
ধরণীর তলে
ফুটিয়াছে আজি এ মাধবী ।
এ আনন্দচ্ছবি
যুগে যুগে ঢাকা ছিল অলক্ষ্যের বক্ষের আঁচলে ।
সেইমতো আমার স্বপনে
কোনো দূর যুগান্তরে বসন্তকাননে
কোনো এক কোণে
একবেলাকার মুখে একটুকু হাসি
উঠিবে বিকাশি—
এই আশা গভীর গোপনে
আছে মোর মনে । Continue reading

I Do Not Love You Except Because I Love You – Pablo Neruda.

I Do Not Love You Except Because I Love You

I do not love you except because I love you;
I go from loving to not loving you,
From waiting to not waiting for you
My heart moves from cold to fire.

I love you only because it’s you the one I love;
I hate you deeply, and hating you
Bend to you, and the measure of my changing love for you
Is that I do not see you but love you blindly. Continue reading

মিউজিক নিয়া | স্টিভ জবস

অনুবাদটা বিডিআর্টসে (http://arts.bdnews24.com/?p=4074)প্রচারিত হইছিল, অক্টোবর, ২০১১ তে। ফটো ক্রেডিট সম্পাদকের।

কেন এই অনুবাদ?

স্টিভ জবস-এর এই প্রেসনোটটা প্রথম অনুবাদ করতে শুরু করছিলাম, ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে তে। এখন স্টিভ জবস মরার পর মনে হইলো, উনার প্রতি সম্মান দেখাইয়া হইলেও শেষ করাটা দরকার!

‘কালচার’ ত আসলে কর্পোরেটরাই তৈরি করতেছে। বানাইতেছে, কন্ট্রোল করতেছে, সমাজের ভিতর ছড়াইয়া দিতেছে এবং ডিফাইন করতেছে কীভাবে সেইটা ‘কালচার’। এর বাইরে, কর্পোরেট কালচারের সাথে খাপ খাওয়ানোর মতো কালচার তৈরি করে শহরের মধ্যবিত্তরা, পুরানোরে/অন্যান্য পক্ষরে মিলাইতে চায় এর সাথে, কুস্তাকুস্তি করে, যাচাই-বাছাই করে এবং শেষে না-পাইরা কর্পোরেট কালচারের অংশ হয়া যায়। যেমন রবীন্দ্রনাথের নাটক নতুনভাবে করা, লালনরে নতুনভাবে আবিষ্কার করা, সমাজের খাড়াইয়া-থাকা আইকনদের জন্মবার্ষিকী, মৃত্যুবার্ষিকী করা, ইত্যাদি (মধ্যবিত্তের ত আসলে নিজস্ব কিছু নাই, সবই ধার করা)। মফস্বল করে শহরের অনুকরণ যদ্দূর পর্যন্ত পারে; আর গ্রাম-গঞ্জে (যেহেতু যোগাযোগটা খুব বেশি নাই শহরের সাথে) যা হয়, সেইটা ত ‘লোক-সংস্কৃতি’ বা ‘ফোকলোর’; একশ বছর আগে হোক বা এখনই হোক। সবসময় দূরবর্তী একটা ব্যাপার, ‘কালচার’-এ! [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote] এই ‘কালচার’ তৈরি হয়, স্বীকৃতি লাভ করে বা অনুমোদন পায় দুইটা জায়গা থিকা – ব্যবসায়িক এবং বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান – এই দুইটা আসলে আলাদা জিনিস না, একই; বেশিরভাগ সময়ই পরিপূরক টাইপের। আর এই কালচার প্রচার এবং প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালায় বিভিন্ন মিডিয়া, এনজিও এবং সোশ্যাল নেটওর্য়াকগুলা। এদের বিভিন্ন রকমের অ্যাক্টিভিটির ভিতর দিয়াই সমাজে ‘কালচার’ প্রতিষ্ঠা হয়। এখন যারা কালচার করেন, তাদের ভিন্ন মতামত থাকে; তারা যে এই ‘ব্যবস্থা’রে স্বীকার বা অস্বীকার করেন, সেইখানে তাদের একটা গুরুত্ব আছে। কিন্তু এই স্বীকার বা অস্বীকারটা এই ‘ব্যবস্থা’টারে ঘিরাই। মানে, কেন্দ্রীয় একটা ‘ব্যবস্থা’ আছে; জনগণরে কালচারাল কইরা তোলার, কালচার শিক্ষা দেয়ার, এর ভিতরে নিয়া আসার এবং অপারেট করার। মোটা দাগে, সমাজের ভিতরে একটা কালচারাল ভ্যালু সিস্টেম চালু করার। কিন্তু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলা আসলে তাদের নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়াগুলা নিয়া তেমন কিছু বলেন না; কারণ ‘গোপনীয়তা’ই তাদের প্রধান অস্ত্র। আর বিদ্যালয়গুলা তাদের কোডিং-এর ভিতর দিয়া প্রক্রিয়াগুলারে ব্যাখ্যা করেন; এই ‘কোডিং-পদ্ধতি’টা উনাদের প্রধান অস্ত্র। এইভাবে উনারা নিজেদেরকে ‘সাধারণ’ থিকা আলাদা করেন এবং কালচারকে অনুমোদন দেয়ার একটা ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেন। এইভাবে কালচাররে দেখতে পারলে আমার ধারণা সুবিধা হয়, বুঝতে।

Continue reading

পিট সিগারের গান। সব ফুলগুলা কই গেলো।।

পিট সিগার

পিট সিগার

 

সব ফুলগুলা কই গেলো?

অনেক সময় পার হইলো

সব ফুলগুলা কই গেলো?

অনেক সময় আগের কথা

সব ফুলগুলা কই গেলো?

মেয়েগুলা তাদের প্রত্যেকটা তুলে নিলো

তারা আর কখন শিখবো?

তারা আর কখন শিখবো? [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

 

সব কিশোরী মেয়েগুলা কই গেলো?

অনেক সময় পার হইলো

সব কিশোরী মেয়েগুলা কই গেলো?

অনেক সময় আগের কথা

সব কিশোরী মেয়েগুলা কই গেলো?

প্রত্যেকে তারা স্বামী নিয়া নিলো

তারা আর কখন শিখবো?

তারা আর কখন শিখবো?

Continue reading

উচ্চ-প্রযুক্তির সমাজগুলিতে একজন ইন্টেলেকচুয়ালের কোনো দরকার নাই – ভি.এস.নাইপল

নাইপল এর কথা বলা

নাইপলের এই কথা-বার্তা অন্য কোন একটা জিনিস খুঁজতে গিয়া পাইছিলাম, তেহেলকা ওয়েব-এ।  কপি কইরা রাইখা দিছিলাম, পড়লাম কিছুদিন আগে। নোবেল পাওয়ার পর তার কিছু কথা এবং তার সম্পর্কে নানাজনের মন্তব্য দেখছিলাম, যেইটা পইড়া উনারে নিয়া আগ্রহ হয় নাই খুববেশি। কিন্তু এই ইন্টারভিউটা ইন্টারেস্টিং। তার ভাষা, এতোটাই সহজ যে,  এর অনুবাদ বাহুল্য মনে হয়। আর. কে. নারায়ন-এর ইংরেজীর মতোন। এইরকম ইন্ডিয়ান ইংরেজীর বাংলা করার তেমন দরকার আসলে নাই। তারপরও মনেহয় যেই লেখার উপর বেইজ কইরা আমি  বলতে চাইতেছি সেইটারে বাংলায় আইনা না কইলে একটা ফাঁক থাকে। আমি আলোচনা করতেছি বাংলাতে আর বাংলাতেই সেই লেখাটা নাই; থাকতেই হবে এইরকম কোন শর্ত নাই, কিন্তু থাকলে মনেহয় ভালোই।

সাক্ষাতকার যিনি নিছেন, ফারুক ধন্দী, একজন ইন্ডিয়ান রাইটার, ট্রান্সলেটর। নাইপল নিয়া বেশ উৎসাহী। নাইপলরে নিয়া উনার এক বিশাল লেখা আছে। তেহেলকাতেই ছাপা হইছে সেটা, বেশ কয়েকটা পর্বে।

নাইপল এর কথা বলায় শেষ দিকে আসছে, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। একটা জাতির ক্ষেত্রে বা জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে ‘সুখ’ হিসাবে যে জিনিসটারে উনি প্রাধান্য দিছেন, সেইটা মনে হইছে,  ইকোনমিক ডেভলাপমেন্টের একটা ব্যাপার। যেইখানে মোকাবিলার কিছু আছে, সেইটা ইন্টায়ারলি ইকোনমিক একটা ঘটনা। উদাহারণ হিসাবে, তিনি আঠারো শতকের ইউরোপের কথা বলছেন, যখন তারা গরিব আছিল আর তারা (ইউরোপিয়ানরা) এখন সুখী কারণ তারা এখন আর গরিব নাই। একইভাবে তিনি বাংলাদেশের প্রসঙ্গ আনছেন। কিন্তু এক ধরণের শ্লেষ আসলে এইটা, প্রান্তিকতার প্রতি উনার এই লোভ। মোকাবিলা করার মতো কিছুই যে আর উনি খুঁইজা পাইতেছেন না, এইটা পুরান শত্রুতার প্রতি উনার ভালোবাসাই। উনি এমন একটা জায়গা জায়গা থিকা ইস্যুগুলিরে ডিল করতেছেন, যেইটা আর এগজিস্ট করে না। তো, এইটা যে নাই তা না; বরং যা আছে, তারে নতুনভাবে লোকট করার একটা আর্জও হইতে পারে এইটা। যদিও সেই পসিবিলিটি বেশ কমই, উনার টেক্সটে।

এই কারণে নাইপলের কমেন্টগুলিরে ফাঁপা বুলি বইলাই মনে হইছে। কোনকিছু চিন্তা না করতে চাওয়ার একটা প্রবণতারে উনি হাইলাইট করছেন। উনার চিন্তার ভিত্তিটা পশ্চিমা ধরণের লিনিয়ার একটা রুচিবোধ। যেইটা সবসময়ই একটা ভ্যালু তৈরি করতে আগ্রহী। কিন্তু যেই জিনিসটা ইন্টারেস্টিং,  চিন্তার জায়গা থিকা নাইপলকে বাতিল কইরা দেয়া যায় এবং তাঁর সমালোচনাও করা যায়; কিন্তু যেভাবে উনি কথা বলেন, সেইটাতে চিন্তার চাইতেও তাঁর যে ভঙ্গিমা, ভাষা ও ভাবনা, তার একটা ব্যাপার থাইকা যায়।

এইখানে দ্বন্দ্বটা আসে – চিন্তার  আর বোধ বা ভাষার। কেউ একজন চিন্তাবিদ হইতে পারেন, এই অর্থে যে তিনি নতুন ভাবনাগুলিরে এক্সপ্লোর করতেছেন, কিন্তু তাঁর বলবার বিষয়টা সবসময়ই ‘সাহিত্য’ হয়া উঠতে পারে না। আবার বিপরীতভাবে, সব সাহিত্যকর্মই চিন্তার জায়গাটারে এক্সপ্লোর করতে পারে না বা এইটার কি কোন দরকার আছে কিনা? রণজিৎ দাশ একবার খুব চেইতা গিয়াই কইতেছিলেন, একমাত্র উৎকর্ষতা ছাড়া কবিতার আর অন্য কোন বিচার হইতে পারে না। [‘উৎকর্ষতা’ 🙂 ] অথচ ‘সাহিত্য’ সবসময় রাজনীতি, দর্শন আর সামাজিকতার সাথে রিলিটেড একটা ব্যাপার। হয়তো একজনের রাজনীতি’রে আপনি সার্পোট করতে পারতেছেন না, তাই বইলা ‘সাহিত্য’রেও কি ঠেলা দিয়া সরাইয়া দেয়া যায় কিনা?

নাইপল এর কথাগুলি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় নাই আমার কাছে, কিন্তু যেভাবে একটা অভিজ্ঞতার জায়গা তিনি বলেন তা খুবই আর্কষণীয় একটা ব্যাপার। তবে এইভাবে ফর্মের যে এক্সপ্লোরেশন, সেইটা নতুন চিন্তারেও জায়গা দিতে পারে – এইটারেও বাদ দিতে চাইলাম না।

২৪.০৩.২০০৮

——————————————

Continue reading