দুইজন ঈশ্বর: মাতিস এবং পিকাসো

“আমাদের একজনের আরেকজনের সাথে যত বেশি সম্ভব কথা বলা দরকার। যখন আমাদের মধ্যে কেউ মারা যাবে, তখন এমনকিছু বিষয় থেকে যাবে যা অন্যজন আর কারো সাথেই তা বলতে পারবে না।”
– পাবলো পিকাসোর প্রতি অঁরি মাতিস।

“মাতিস এবং আমি যা করেছি তার সবকিছুই তুমি পাশাপাশি রেখে দেখতে পারো… আমার মতো করে কেউ আর এতোটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মাতিসের ছবি দেখে নাই; আমার ছবিগুলিও তার মতো করে আর কেউ দেখে নাই।”
– পাবলো পিকাসো।

mnp 2

মাতিস এর সাথে পিকাসোর যখন প্রথম দেখা হয়, প্যারিসে তখন মাতিসের বয়স ৩৭ আর পিকাসোর ২৫। সেইটা ১৯০৬ বা ১৯০৭ সালের কথা। মাতিস প্যারিসের সেরা আর্টিস্ট  আর পিকাসো নতুন শিল্পী। তারা একসাথে ষ্টুডিও শেয়ার করতে শুরু করেন।

mnp 3

Continue reading

দর্শন ও রাজনীতি – অ্যালান বাদিউ

 

সাময়িকী.নেট এ এই অনুবাদটা প্রচারিত হইছিল, ২০১০ এ।

___________

(ফরাসি দার্শনিক অ্যালান বাদিউ তাঁর এই লেখাটা পরে আরো বড় এবং বিস্তারিত করছেন ‌’ইনফিনিট থট’ নামে একটা বইয়ে। এই লেখাটা খুবই সহজ এবং সরাসরি। একটা সময় ইন্টারনেটে খুঁজে খুঁজে তাঁর লেখা পড়তাম, ২০০৬/২০০৭ এর দিকে হবে। তখন এই লেখাটার অনুবাদ করে রাখছিলাম।) [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

প্লেটো থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত, একটা শব্দ আছে যা রাজনীতি সর্ম্পকে দার্শনিকদের সংশ্লিষ্টতাকে সংক্ষেপে বলতে পারে। এই শব্দটা হচ্ছে “ন্যায়বিচার” (Justice)। রাজনীতির দিকে দার্শনিকের প্রশ্নটা এইরকম: একটা ন্যায়সঙ্গত রাজনৈতিক ওরিয়েন্টেশন কী সম্ভব? এমন একটা ওরিয়েন্টেশন যা চিন্তার প্রতি ন্যায়বিচার করবে? আমরা যা দিয়ে শুরু করতে পারি, তা হচ্ছে: অবিচার পরিষ্কার, ন্যায়বিচার অস্পষ্ট। যার প্রতি অবিচার হয়, সে কারণ ছাড়াই তার প্রত্যক্ষদর্শী। কিন্তু কে এই ন্যায়বিচারকে যাচাই করবে? এখানে অবিচার এর একটা প্রভাব আছে, আছে একটা যন্ত্রণা, একটা বিদ্রোহ। কিন্তু আবার, কোনকিছুই নাই যা ন্যায়বিচারকে নির্দেশ করে, যাকে একটি জাঁকজমকপূর্ণভাবে বা একটি হৃদয়াবেগের মাধ্যমে প্রদর্শন করা সম্ভব।

Continue reading