নোটস: অক্টোবর, ২০২১ [পার্ট ১]

অক্টোবর ১, ২০২১

এইরকম কিছু ক্রিটিক আছে, যার উদ্দেশ্য হইতেছে ক্রিটিক করার নাম দিয়া অসম্মান করা, অপমান করা, ‘ভদ্রভাবে’ গালি-গালাজ করা; তো, অই ক্রিটিক নামের গু নিজের গায়ে না মাখানোটা, অসম্মান নিতে রাজি না হওয়াটাও রাইটারের একটা কাজ।

ইশিগুরো রাইটার হিসাবে উনার এক্সপেরিয়েন্সটা বলতেছিলেন এইভাবে যে, যখন রাইটার হিসাবে উনি পপুলার/পরিচিত হইতে শুরু করলেন তখন উনার সবচে ক্রুশিয়াল লার্নিং ছিল হইতেছে যে, না বলতে পারতে হবে, সব কথার জবাব দেয়ার কিছু নাই। রিডারের সব কনসার্ন, আর্গুমেন্ট রাইটারের জন্য সবসময় জরুরি না। এইরকম।

মানে, এমন না যে, রাইটার হইলে আপনার একটা ইগো থাকতে হবে; বরং বেশিরভাগ সময় রিডারের বা ক্রিটিকের ইগোর সাথে রাইটার হিসাবে আপনার যে এনগেইজ হওয়ার কিছু করার নাই – এই বুঝ’টা থাকতে হবে।

আপনার লেখা ভালো হইছে বা খারাপ হইছে, ইম্পর্টেন্ট হইছে বা ট্রাশ হইছে… এইগুলা অবশ্যই সাহিত্যিক-বিচারের ঘটনা; কিন্তু নিন্দা (এবং একইভাবে প্রশংসা) নিয়া রাইটারের তেমন কিছু করার নাই আসলে।

নিজের লেখালেখির জায়গাতে এই ডিস-কানেকশনটা খুবই জরুরি একটা জিনিস। অবশ্য যারা ‘কবিযশোঃপ্রার্থী’ তাদের হিসাব তো সবসময় আলাদাই।
Continue reading

নোটস: সেপ্টেম্বর, ২০২১ [পার্ট ৩]

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১

ইভ্যালি নিয়া তো এই কয়দিনে অনেক কথা-বার্তা হইছে, অনেক এভারেজ আলাপ যেমন হইছে, আবার কিছু ইন্টারেস্টিং আলাপও চোখে পড়ছে; তবে ইভ্যালির ‘ভুল’ ধরতে গিয়া একটা জিনিস মনেহয় পুরাপুরি ইগনোর করা হইছে।

বাংলাদেশে এই পর্যন্ত যতগুলা কেইসে পাবলিকের টাকা ডাকাতি হইছে এবং ডাকাতেরা টাকা মাইরা সহি-সালামতে দেশে থাকতে পারছে, সবাই সরকারি দলের লোকজন, বা এর লগে কানেক্টেড। মানে, সরকারি লোকজন এবং সরকারি দলের লোকজনরে (এখন অবশ্য একই, আলাদা আর না) লুটের টাকার ভাগ না দিয়া কেউ টাকা হজম করতে পারে নাই।

ইভ্যালির বিজনেস কেইসে যদি সবচে বড় কোন ‘ভুল’ থাকে, সেইটা হইতেছে কোম্পানির ডিরেক্টর হিসাবে, শেয়ারের মালিকানায় ক্ষমতার আশেপাশের কোন লোকজনরে রাখে নাই। বাংলাদেশে বিজনেস করতে গেলে এর চে বড় কোন ‘ভুল’ আর কিছু হইতে পারে না।

এমনকি এইরকমও হইতে পারে, কেউ শেয়ার চাইছিল, দেয় নাই! এই কারণে ‘রিভেঞ্জ’ নিতেছে! মানে, ইভ্যালির যারা সার্পোটার তাদের কাছে এইরকম কন্সপিরেসি থিওরিও পাইতে পারেন। বা কেউ যদি এইরকম ছড়াইতে পারেন, দেখবেন, মার্কেট পাইতেছে এই খবর! কারণ, বাংলাদেশের এখনকার রিয়ালিটিতে এইগুলাই বিলিভেবল গুজব, যা কিছু সত্যি হইতে পারে তা সবসময়ই গোপন!…

এই পর্যন্ত বাংলাদেশে যতগুলা পাবলিক-ডাকাতি হইছে শেয়ার-মার্কেট, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা-পাচার, কোনটা কি সরকারি সার্পোট ছাড়া ঠিকঠাক মতো অর্গানাইজ করা গেছে? আর যেইগুলা ধরা খাইছে, অইগুলাও সরকারি লোকজনরে টাকা দিয়াই ম্যানেজ করা গেছে বা ঘুষ-টুষ দিয়া পালায়া যাওয়া গেছে। এমনকি ইঅরেঞ্জ নিয়াও দেখবেন কথা-বার্তা কম, কারণ অইখানে বাংলার টাইগার মাশরাফি আছেন! আরিফ হোসেইন, তাহসান, সুখনরে গাইল দেয়া যতো সহজ (গাইল দিবেন না – এই কথা আমি বলি না, গাইল্লান) মাশরাফিরে গাইল দেয়া এতো সহজ না; আর এর উপরে তো যাইতেই পারবেন না।

তো, ইভ্যালি ইস্যুতে আমার মনেহয়, বাংলাদেশি ‘তরুণ উদ্যোক্তা’ বা ‘ইয়াং এন্টারপ্রেইনারদের’ জন্য নয়া বাকশালের মেসেজ খুব ক্লিয়ার – বিজনেস করেন আর পাবলিকের টাকা মাইরা খান, যেইটাই করেন কোন সমস্যা নাই; কিন্তু যা-ই করেন, আগে আমাদের ভাগ দিয়া তারপরে আপনার যা করার তা করতে হবে!

৫%-১০% কমিশন দেয়ার দিন শেষ, কোম্পানির শেয়ার দিতে হবে, মালিকানা দিতে হবে! দেশটা যার বাপের, যার নানার, তারে আগে সালামি দিতে হবে! এর নাম হইছে – ডিজিটাল বাংলাদেশ!

Continue reading

নোটস: সেপ্টেম্বর, ২০২১ [পার্ট ২]

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১

আমাদের যে পারসোনাল ভালোলাগা-খারাপলাগা, রুচি-বোধ, সৌন্দর্য্য-চেতনা, এইসেই… এইগুলা পুরাপুরি হিস্ট্রোরিক্যাল ঘটনার ফলাফল না হইলেও, এর লগে কানেক্টেড একটা জিনিস।

এইটা মনে হইতেছিল, বেল-মাথা বা মাথা ন্যাড়া করার ঘটনা’টা ভাবতে গিয়া। এখনো জিনিসটা সোশ্যালি ইনফিরিয়র বা অকওয়ার্ড জিনিস তো! লোকজন খেপাবে, বা ধইরা নিবে মেডিক্যাল কোন সমস্যা, মাথায় চুল-টুল নাই মনেহয়, এই কারণে মাথা কামায়া ফেলছে। আর বেশিরভাগ কেইসে ঘটনা তো এইরকমই। তো, এই ইনফিরিয়টিরটার শুরু কই থিকা?

আমার ধারণা, বৌদ্ধধর্মের জায়গা থিকা এইটা শুরু হইছে; বৌদ্ধরা তো মাথা কামায়া ফেলে, বা এইটা একটা সময় আইডেন্টিটি বা রিচুয়াল হিসাবে ছিল এই অঞ্চলে; তো, বৌদ্ধদের তো পালাইতে হইছে এই অঞ্চল থিকা বা নিচু-জাত হিসাবে হিন্দু-ধর্মের আন্ডারে থাকতে হইছে; সেই থিকা একটা নিচু-জাতের ব্যাপার হিসাবে পারসিভ হইতে পারার কথা। আগের দিনে বা দুই-তিন জেনারেশন আগেও গ্রামে কোন চোর ধরা পড়লে তারে মাথা-কামায়া (পুরা না, উল্টা-পাল্টা কইরা চুল কাটায়া) গ্রাম থিকা বাইর কইরা দেয়ার ঘটনা ঘটতো; মানে, চুল যে কাটতে হইতেছে, এইটা হইতেছে একটা শাস্তি!

এই কারণে দেখবেন, বেটা-মানুশদের বড় চুল-দাড়ি দেখলেও রেসপেক্ট করার একটা ব্যাপারও অলমোস্ট অটোমেটিক্যালি চইলা আসে (সুট-কোটের মতোই, আরেকটা ভার্সন); এইটা হিন্দু-ধর্মের জায়গা থিকা আসে – এইটা আমার দাবি না; কিন্তু এইটারে সুপিরিয়র বা সুন্দর মনে করার পিছনে মুনি-ঋষিদের বেশ-ভূষার ইমপ্যাক্ট যে নাই – তা তো না।

মানে, আমি একটা ধারণার কথাই বলতেছি। বলতেছি যে, কোনটা সুন্দর, কেমনে সুন্দর – এইটার এসথেটিক্যাল একটা হিস্ট্রি আছে, প্রতি ৫০/১০০ বছর পর পর ড্রামাটিক্যালি চেইঞ্জ না হইলেও জায়গাগুলা সরতে থাকে একভাবে।

তো, বাংলার এসথেটিক্যাল হিস্ট্রিটাও তো লেখা দরকার আসলে 🙂

Continue reading

নোটস: সেপ্টেম্বর, ২০২১ [পার্ট ১]

সেপ্টেম্বর ১, ২০২১

আপনি কোন পক্ষ নিবেন, কার বিপক্ষে থাকবেন – এইগুলা ডিসাইড করা খুব কঠিন কোন জিনিস না; সবাই কম-বেশি ঠিক ডিসিশানই নিতে পারেন বইলা আমি মনে করি। কিন্তু মুশকিল হইতেছে, ‘ঠিক পক্ষ’ নিলেও দেখবেন তেমন কিছু যায়-আসে না। কারণ কাজ হইতেছে, অ্যাপ্রোপিয়েট ক্যাটাগরি ঠিক করা বা আসল প্রশ্নের জায়গাটাতে আসতে পারাটা। এইটাই বেশিরভাগ মানুশ মিস করেন বা ভাবতে চান না আসলে।…

একটা ভুল বা ইনসাফিশিয়েন্ট প্রশ্ন বা ক্যাটাগরির পক্ষে থাকেন আর বিপক্ষে থাকেন, দুইটাই সমান বাজে ঘটনা। কারণ সেইটা কোর ইস্যুটারেই এড্রেস করতে পারে না এবং এইভাবে প্রশ্ন না করার ভিতর দিয়া, এড়ায়া যাওয়ার ভিতর দিয়া জুলুমের জায়গাটারে সাসটেইন করতে একভাবে হেল্পই করে।

এই জায়গাগুলাও ধীরে ধীরে একটা সময়ে স্পষ্ট হইতে শুরু করে। যেমন ধরেন, যখন জামাত-শিবির মারা হইতেছিল, তখন অনেকেই ‘থ্যাংকিউ পিএম’ বলছিল; ২% লোক টিকা দিয়াও ‘থ্যাংকিউ পিএম’ বলছিল; পুলিশ কাস্টডিতে মুশতাক আহমেদের খুনের পরে সাংবাদিক রোজিনা আক্তারের জামিনের পরেও অনেকে কষ্ট কইরা হইলেও ‘থ্যাংকিউ পিএম’ বলতে পারছিল; কিন্তু এখন পরীমনির জামিনের পরে ‘থ্যাংকিউ পিএম’ বললে নিজেদের কাছেই উইয়ার্ড লাগার কথা!

কারণ এইটা কোনদিনই ‘থ্যাংকিউ পিএম’র কাজ ছিল না। বরং এইখানে কোন সিস্টেম যে ফাংশন করে না, এবং মিনিমাম কোন বিচার-ব্যবস্থা যে নাই – এই জায়গাটারে আন-কোশ্চেনড রাখা হইছে, হইতেছে দিনের পরে দিন, বছরের পর বছর। আর এই জিনিসটারে এড্রেস না করতে পারা, লুকায়া রাখাটা কোনদিনই সমস্যাটার সমাধান করতে পারে নাই, কোনদিন করতে পারবেও না!

তো, পক্ষ-বিপক্ষ নিয়া ‘তর্ক’ কইরেন না! এইটা মোটামুটি অদরকারি জিনিস। আসল প্রশ্নটা করেন! ঠিক ক্যাটাগরি’টারে ভিজিবল করেন! উত্তর আপনা-আপনি চইলা আসবে আপনার সামনে। প্রশ্ন ঠিক না হইলে, কোন উত্তরই সঠিক হবে না।

#########

ড্রাগস হইতেছে আসলে পুলিশের বিজনেস।

বাংলাদেশে যদি বলা হয়, ইচ্ছমতো কেউ ড্রাগস ইউজ করতে পারবেন, এইটা কোন ক্রাইম না; তাইলে লাখ লাখ লোক ড্রাগস নিতে শুরু করবে না; বরং ‘মাদক’ মামলায় হাজার হাজার লোকরে গ্রেফতার কইরা পুলিশের টাকা-খাওয়া বন্ধ হয়া যাবে। (ড্রাগস বিজনেসের কমিশনের কথা বাদ-ই দেন! মেইন কস্টিং তো আসলে অইটাই।)

ড্রাগ-এডিক্ট লোকের সংখ্যা সিগনিফিকেন্টলি বাড়বেও না, কমবেও না। যেহেতু ‘ভাব’ দেখানো যাবে না এবং কম-দামি জিনিস হয়া উঠবে, বিপ্লবী-ক্রেইজ হিসাবে এর সেক্স-অ্যাপিল বরং কমারই কথা কিছুটা, তখন।…

মাইকেল মুর উনার ডকুমেন্টারিতে (হোয়ার টু ইনভেড নেকস্ট) দেখাইতেছিলেন, আম্রিকাতে ড্রাগস হইতেছে ব্ল্যাক-অপ্রেশনের একটা মেজর উইপেন। পর্তুগালে ড্রাগস নিলে কোন পুলিশ আপনারে গ্রেফতার করবে না; ড্রাগস নেয়ার জন্য চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই করলে সেইটা ভিন্ন ঘটনা।…

মানে, এই জিনিসটা খেয়াল করাটা দরকার যে, কোনকিছুরে ‘বেআইনি’ ঘোষণা করার ভিতর দিয়া, সেইটারে বন্ধ করা বা কন্ট্রোল করা হইতেছে না, বরং একটা অপ্রেশনের টুল বা জুলুমের একটা হাতিয়ার হিসাবেই ইউজ করা হইতেছে বেশিরভাগ সময়।
ড্রাগস বা মাদক, এইরকমের একটা ঘটনা, বাংলাদেশে এখন।

#########

– সুলতানা’স ড্রিম ২ –

অফিসের পাশে কোজি একটা কনফেকশনারি আছে, মাঝে-মধ্যে স্ন্যাকস খাইতে যাই; ছোট্ট একটা দোকান, দুইজন মোটামুটি বসা যায়, এইরকম অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে। আজকে বিকালে কিছু জিনিস কিনতে গেছিলাম। আগে থিকা দুইজন ফিমেইল অফিস-কলিগ বইসা স্যান্ডউইচ খাইতেছিলেন। উনাদের কথা একটু ওভার-হিয়ার করা লাগলো। উনারা ইকনোমিক ড্রিম ফুলফিলের জায়গা নিয়া মোটামুটি একসাইটেড; একজন বলতেছিলেন, কোন গাড়ি কিনবেন, জামাই তো জিপ কিনতে চায়, উনি বলছেন সেডান-ই ভালো, পার্টস এভেইলেবল সবসময়। এইরকম। কিন্তু আমি আসাতে মনেহয় আলাপ একটু সংক্ষিপ্ত করা লাগলো। (মানে, নাও হইতে পারে, আমার জাস্ট মনে হইলো আর কি!) খাওয়াও শেষ যেহেতু, বিল-টিল দিয়া চইলা গেলেন।

সপ্তাহখানেক আগেও কাছাকাছি রকমের একটা ঘটনার কথা মনে হইলো। অফিস শেষে আমরা ১০/১২জন একটা রেস্টুরেন্টে বসছিলাম, সবাই বেটা-মানুশ। তখন অইখানে দুইজন নারী আসলেন, একজনরে চিনি আমি, আমার পরিচিত একজনের ওয়াইফ, আমার চে বড় পোস্টে চাকরি করেন। রেস্টুরেন্টে ঢুকতে ঢুকতেই মোবাইল ফোনে কথা বলতেছিলেন, তোমার একঘন্টার মধ্যে শেষ হবে তো? আমি …’রে নিয়া বসতেছি তাইলে…। কিন্তু ৪/৫ মিনিট পরে উইঠা চইলা গেলেন উনারা। হয়তো মেনু পছন্দ হয় নাই। কিন্তু আমরা এমনকিছু করি নাই যে, উনারা ডিস্টার্বড ফিল করবেন; কিন্তু অস্বস্তি লাগার কথা মেবি।

তখন আমার পুরান আইডিয়াটার কথা মনে হইলো। 🙂 কয়েকজনরে বলছি আমি এইটা।

যে, একটা ক্যাফে চালু করতে পারেন কেউ “সুলতানা’স ড্রিম” নামে। খালি ফিমেইলস আর এলাউড। দোকানের সবাইও নারী থাকবেন – বার্বুচি, ওয়েটার, ক্যাশিয়ার। চাইলে কেউ বেটামানুশ নিয়া আসতে পারেন, কিন্তু সাথে কোন ফিমেইল না থাকলে ঢুকতে পারবেন না। এইরকম। এখন লিগ্যালি তো ‘না’ করা যাবে না। এনভায়রনমেন্ট’টা ক্রিয়েট করতে হবে আর কি যেইখানে গেলে মনে হবে, আরে এইটা তো ‘নারীস্থান’! আমার ধারণা, বিজনেস হিসাবেও প্রফিটেবল হওয়ার কথা। যেই দুইটা ঘটনার কথা বললাম, উনারা মোর কমর্ফোটেবলি বসতে পারতেন এইরকম জায়গা থাকলে, আড্ডা দিতে পারতেন।

কিন্তু আমার ধারণা, এর একটা সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট তৈরি হইতে পারার কথা, এর ভিতর দিয়া। এমন না যে, ৮/১০টা সুলতানা’স ড্রিম চালু হইলে সব নারী’রা অইখানে চইলা আসবেন, আর অন্য কোথাও যাবেন না, বা কমন-স্পেইসটারে ছাইড়া দিবেন বেটা-মানুশদের দখলে। বরং উল্টাটা হবে বইলা আমার মনেহয়। এইরকম দুয়েক্টা স্পেইসে মেয়েরা ফ্রিলি বসতে শুরু করলে, উনাদের এই ফ্রিডমটারে উনারা কমন-স্পেসগুলাতেও এক্সারসাইজ করতে পারবেন।

তার চে বড় ইমপ্যাক্ট হইতে পারে যে, অইটার এফেক্ট হিসাবে কমন-স্পেইসগুলাতে ফিমেইল প্রেজেন্সটারে ‘নরমাল’ হিসাবে দেখতে পারবে সবাই। যে, কমন-স্পেইসগুলাতে যদি অই এনভায়রনমেন্টটা না থাকলে ফিমেইল কাস্টমাররা আসতে রাজি থাকবে না তখন! আর এইটা নরমাল রেস্টুরেন্টে ‘কেবিন’ বসায়া কাউন্টার দেয়া যাবে না আসলে। অই ‘প্রাইভেসি’র বেইল নাই আর! অইটা যে কমন-স্পেইস থিকা বরং সরায়া দেয়া সেইটা টের পাওয়া যায় বইলাই অইটা আর নাই।… কিন্তু এইখানে ঘটনাটা বরং একটা কাউন্টার কমন-স্পেইস তৈরি হওয়ার কথা, সুলতানা’স ড্রিমে।

এর বাইরে, স্মোকারদের জন্য তো অইটা হ্যাভেন হবে বইলা আমার ধারণা। ডেটিং-প্লেইস হয়া উঠলে, বুজিং-প্লেইস উঠলে একটু বিপদ হইতে পারে। কিন্তু সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং বা বিজনেস প্লেইস হিসাবে অ্যামেজিং একটা ব্যাপার হইতে পারে। মানে, যদি সোশ্যাল কনসার্নগুলারে মাথায় রাইখা ব্যাপারটা চালু করা যায়। এমনকি আমার ধারণা, অন্য শহরগুলাতেও ‘সুলতানা’স ড্রিম’ বইলা জায়গা তৈরি হইতে পারে! যেইটা কমন-স্পেইসগুলা, যেইখানে এনাফ ‘ফিমেইল-ফ্রেন্ডলি’ এনভায়রনমেন্ট নাই, সেইগুলারে কনভার্ট করতে একরকমের অল্টারনেটিভ হিসাবে কাজ করতে পারবে।…

জাস্ট আইডিয়া হিসাবেই বইলা রাখা। আইডিয়া টু ইমপ্লিমেন্টশন তো বড় একটা জার্নিই। তারপরও ব্যাপারটা আমার মনে হইছে, ট্রাই করতে পারেন কেউ। কিন্তু কোর অবজেক্টিভ হিসাবে বিজনেস হইতে হবে, প্রফিট থাকতে হবে; ‘এনজিও’ বা ‘সোশ্যাল-ওয়ার্ক’ হইলেই জিনিসটা আর হবে না!

Continue reading

নোটস: অগাস্ট, ২০২১ [পার্ট ৩]

অগাস্ট ২১, ২০২১

ট্রুথ এন্ড ফ্রিডম

একটা সত্য বা ঘটনা, আপনি কতোটা বলতে পারতেছেন বা পারতেছেন-না, বুঝতে পারতেছেন বা পারতেছেন-না, সেইটার উপরে ডিপেন্ড কইরা কখনোই ঘটে না বা রিভিল হয় না।

কিন্তু ফ্রিডম একই জিনিস না। আপনি যতক্ষণ না বলতে পারতেছেন, অ্যাক্ট হিসাবে প্রাকটিস করতে পারতেছেন, ততক্ষণ সেইটা ফ্রিডম না।

 

অগাস্ট ২২, ২০২১

“হোয়ার টু ইনভেড নেকস্ট”

তিউনিশিয়ার কাহিনি’টা ভাল্লাগছে। (“হোয়ার টু ইনভেড নেকস্ট” ডকুমেন্টারি’টাতে।) একটা মুসলিম দেশ, আফ্রিকার। এবরশন লিগ্যাল অই দেশে। আরো অনেক উইমেন-ফ্রেন্ডলি আইন-কানুন আছে। তো, স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরে পিপলের ভোটে যখন একটা ‘ইসলামি দল’ রাষ্ট্র-ক্ষমতায় আসলো, তখন দলের মুফতিদের লগে লিডারদের মত-বিরোধ দেখা দিল। মেয়েরা তো আন্দোলন শুরু করলো যে, ‘সমান অধিকার’ দিতে হবে। এইদিকে দলের লিডার’রাও কনভিন্স করতে পারতেছিল না নিজেদেরকে মুফতিদেরকে; তখন কইলো, ঠিকাছে আমরা তাইলে পদত্যাগ করি! কারণ আমরা তো পিপলের ভোটে ক্ষমতায় আসছি, এখন পিপলের দাবি-দাওয়া যদি মানতে না পারি, আমাদের তো ক্ষমতায় থাকা ঠিক না!

তো, সোশ্যাল অবস্থা যা-ই থাক, রাষ্ট্রীয়ভাবে এবরশন অই দেশে ক্রাইম না, হিজাব পরাও মেন্ডেটরি না। তিউনিসিয়ার যিনি রাষ্ট্র-প্রধান (২০১৪/১৫ সালে), উনি বলতেছিলেন, মানুশ তার নিজের ঘরের ভিতরে কি করবে – রাষ্ট্র তো সেই ব্যাপারে কথা বলতে পারে না। রাষ্ট্র হইতেছে পাবলিক ম্যাটারগুলা নিয়া ডিল করবে।… মানে, এইগুলা ওয়েস্টার্ন ডেমোক্রিসির ঘটনা না, বেসিক ডেমোক্রেটিক নর্মস।

আজকে সেক্যুলার বাটপারিগুলা যখন আমাদের সামনে এক্সপোজড হয়া যাইতেছে, আমরা ডরাইতেছি যে, খুব রিজিড ‘ইসলামি শাসন’ কায়েম হয়া যাইতে পারে বাংলাদেশে; কিন্তু এইটা আমার কাছে প্রব্লেমেটিক মনেহয় না, বরং এই নয়া বাকশালি আমলে পিপলস এজেন্সিগুলা যে পুরাপুরি ধ্বংস করা হইছে, সেইগুলা যেন কখনোই ফোর্স হিসাবে সমাজে এক্টিভ থাকতে পারবে না – সমস্যা হইতেছে এই চিন্তাটা। যদি পিপলের কথা-বলার, কাজ-করার স্পেইস না থাকলে তাইলে সেইটা সেক্যুলার নাকি ইসলামি নাকি কমিউনিস্ট সরকার – সেইটা দিয়া কিছু যায় আসে না, সবকিছু একইরকমের বাজে শাসন হওয়ার কথা।

২.
আরেকটা ইন্টারেস্টিং উদাহারণ হইতেছে, আইসল্যান্ড। দেখানো হইছে, উইমেন-এমপাওয়ারমেন্ট হইতেছে অইখানে হায়েস্ট লেভেলে আছে। আছে দুয়েক্টা আইনের কারণেই। যে, কোন কোম্পানিতে এটলিস্ট ৪০% নারী বা পুরুষ থাকতে হবে! খুবই অ্যামেজিং একটা জিনিস মনে হইছে এইটা। (বাংলাদেশে দেখেন, সরকারি চাকরিতেই কোটা-সিস্টেম বাতিল করা হইছে, বেসরকারি অফিসগুলাতে তো কোন নিয়মই নাই, এইসবের।)

এখন আইন কইরাই এইগুলা এস্টাবলিশড করা যায় না সবসময় (যেমন বাংলাদেশে উত্তরাধিকার আইনে বইনদেরকে এখনো বাপ-মায়ের সম্পত্তির ভাগ দেয়া হয় না, সোশ্যালি ‘লোভী’ ঘটনাও; আমার ধারণা, ‘যৌতুক’ জিনিসটাও টিইকা আছে, এই জায়গা থিকাই), কিন্তু আইন না থাকলে সোশ্যাল বিহেভিয়ারগুলারে ড্রাইভ করাটা মুশকিল হওয়ার কথা। পর্তুগালে যেমন, ড্রাগস নেয়া বা ড্রাগস রাখা ক্রাইম না কোন, বরং এরে ক্রাইম না-ভাবার ভিতর দিয়া ড্রাগস নেয়ার যে সেক্সিনেস, বিপ্লবী-পণা তারে খারিজ কইরা দেয়া হইছে। (আর বাংলাদেশে, ড্রাগস তো কাজে লাগে বিরোধীদলের লোকজনরে ক্রসফায়ারে দেয়ার লাইগা, বা কারো পকেটে ইয়াবা ঢুকায়া মামলা দেয়ার লাইগা।…) Continue reading