সেপ্টেম্বর ১, ২০২১
আপনি কোন পক্ষ নিবেন, কার বিপক্ষে থাকবেন – এইগুলা ডিসাইড করা খুব কঠিন কোন জিনিস না; সবাই কম-বেশি ঠিক ডিসিশানই নিতে পারেন বইলা আমি মনে করি। কিন্তু মুশকিল হইতেছে, ‘ঠিক পক্ষ’ নিলেও দেখবেন তেমন কিছু যায়-আসে না। কারণ কাজ হইতেছে, অ্যাপ্রোপিয়েট ক্যাটাগরি ঠিক করা বা আসল প্রশ্নের জায়গাটাতে আসতে পারাটা। এইটাই বেশিরভাগ মানুশ মিস করেন বা ভাবতে চান না আসলে।…
একটা ভুল বা ইনসাফিশিয়েন্ট প্রশ্ন বা ক্যাটাগরির পক্ষে থাকেন আর বিপক্ষে থাকেন, দুইটাই সমান বাজে ঘটনা। কারণ সেইটা কোর ইস্যুটারেই এড্রেস করতে পারে না এবং এইভাবে প্রশ্ন না করার ভিতর দিয়া, এড়ায়া যাওয়ার ভিতর দিয়া জুলুমের জায়গাটারে সাসটেইন করতে একভাবে হেল্পই করে।
এই জায়গাগুলাও ধীরে ধীরে একটা সময়ে স্পষ্ট হইতে শুরু করে। যেমন ধরেন, যখন জামাত-শিবির মারা হইতেছিল, তখন অনেকেই ‘থ্যাংকিউ পিএম’ বলছিল; ২% লোক টিকা দিয়াও ‘থ্যাংকিউ পিএম’ বলছিল; পুলিশ কাস্টডিতে মুশতাক আহমেদের খুনের পরে সাংবাদিক রোজিনা আক্তারের জামিনের পরেও অনেকে কষ্ট কইরা হইলেও ‘থ্যাংকিউ পিএম’ বলতে পারছিল; কিন্তু এখন পরীমনির জামিনের পরে ‘থ্যাংকিউ পিএম’ বললে নিজেদের কাছেই উইয়ার্ড লাগার কথা!
কারণ এইটা কোনদিনই ‘থ্যাংকিউ পিএম’র কাজ ছিল না। বরং এইখানে কোন সিস্টেম যে ফাংশন করে না, এবং মিনিমাম কোন বিচার-ব্যবস্থা যে নাই – এই জায়গাটারে আন-কোশ্চেনড রাখা হইছে, হইতেছে দিনের পরে দিন, বছরের পর বছর। আর এই জিনিসটারে এড্রেস না করতে পারা, লুকায়া রাখাটা কোনদিনই সমস্যাটার সমাধান করতে পারে নাই, কোনদিন করতে পারবেও না!
তো, পক্ষ-বিপক্ষ নিয়া ‘তর্ক’ কইরেন না! এইটা মোটামুটি অদরকারি জিনিস। আসল প্রশ্নটা করেন! ঠিক ক্যাটাগরি’টারে ভিজিবল করেন! উত্তর আপনা-আপনি চইলা আসবে আপনার সামনে। প্রশ্ন ঠিক না হইলে, কোন উত্তরই সঠিক হবে না।
#########
ড্রাগস হইতেছে আসলে পুলিশের বিজনেস।
বাংলাদেশে যদি বলা হয়, ইচ্ছমতো কেউ ড্রাগস ইউজ করতে পারবেন, এইটা কোন ক্রাইম না; তাইলে লাখ লাখ লোক ড্রাগস নিতে শুরু করবে না; বরং ‘মাদক’ মামলায় হাজার হাজার লোকরে গ্রেফতার কইরা পুলিশের টাকা-খাওয়া বন্ধ হয়া যাবে। (ড্রাগস বিজনেসের কমিশনের কথা বাদ-ই দেন! মেইন কস্টিং তো আসলে অইটাই।)
ড্রাগ-এডিক্ট লোকের সংখ্যা সিগনিফিকেন্টলি বাড়বেও না, কমবেও না। যেহেতু ‘ভাব’ দেখানো যাবে না এবং কম-দামি জিনিস হয়া উঠবে, বিপ্লবী-ক্রেইজ হিসাবে এর সেক্স-অ্যাপিল বরং কমারই কথা কিছুটা, তখন।…
মাইকেল মুর উনার ডকুমেন্টারিতে (হোয়ার টু ইনভেড নেকস্ট) দেখাইতেছিলেন, আম্রিকাতে ড্রাগস হইতেছে ব্ল্যাক-অপ্রেশনের একটা মেজর উইপেন। পর্তুগালে ড্রাগস নিলে কোন পুলিশ আপনারে গ্রেফতার করবে না; ড্রাগস নেয়ার জন্য চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই করলে সেইটা ভিন্ন ঘটনা।…
মানে, এই জিনিসটা খেয়াল করাটা দরকার যে, কোনকিছুরে ‘বেআইনি’ ঘোষণা করার ভিতর দিয়া, সেইটারে বন্ধ করা বা কন্ট্রোল করা হইতেছে না, বরং একটা অপ্রেশনের টুল বা জুলুমের একটা হাতিয়ার হিসাবেই ইউজ করা হইতেছে বেশিরভাগ সময়।
ড্রাগস বা মাদক, এইরকমের একটা ঘটনা, বাংলাদেশে এখন।
#########
– সুলতানা’স ড্রিম ২ –
অফিসের পাশে কোজি একটা কনফেকশনারি আছে, মাঝে-মধ্যে স্ন্যাকস খাইতে যাই; ছোট্ট একটা দোকান, দুইজন মোটামুটি বসা যায়, এইরকম অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে। আজকে বিকালে কিছু জিনিস কিনতে গেছিলাম। আগে থিকা দুইজন ফিমেইল অফিস-কলিগ বইসা স্যান্ডউইচ খাইতেছিলেন। উনাদের কথা একটু ওভার-হিয়ার করা লাগলো। উনারা ইকনোমিক ড্রিম ফুলফিলের জায়গা নিয়া মোটামুটি একসাইটেড; একজন বলতেছিলেন, কোন গাড়ি কিনবেন, জামাই তো জিপ কিনতে চায়, উনি বলছেন সেডান-ই ভালো, পার্টস এভেইলেবল সবসময়। এইরকম। কিন্তু আমি আসাতে মনেহয় আলাপ একটু সংক্ষিপ্ত করা লাগলো। (মানে, নাও হইতে পারে, আমার জাস্ট মনে হইলো আর কি!) খাওয়াও শেষ যেহেতু, বিল-টিল দিয়া চইলা গেলেন।
সপ্তাহখানেক আগেও কাছাকাছি রকমের একটা ঘটনার কথা মনে হইলো। অফিস শেষে আমরা ১০/১২জন একটা রেস্টুরেন্টে বসছিলাম, সবাই বেটা-মানুশ। তখন অইখানে দুইজন নারী আসলেন, একজনরে চিনি আমি, আমার পরিচিত একজনের ওয়াইফ, আমার চে বড় পোস্টে চাকরি করেন। রেস্টুরেন্টে ঢুকতে ঢুকতেই মোবাইল ফোনে কথা বলতেছিলেন, তোমার একঘন্টার মধ্যে শেষ হবে তো? আমি …’রে নিয়া বসতেছি তাইলে…। কিন্তু ৪/৫ মিনিট পরে উইঠা চইলা গেলেন উনারা। হয়তো মেনু পছন্দ হয় নাই। কিন্তু আমরা এমনকিছু করি নাই যে, উনারা ডিস্টার্বড ফিল করবেন; কিন্তু অস্বস্তি লাগার কথা মেবি।
তখন আমার পুরান আইডিয়াটার কথা মনে হইলো। 🙂 কয়েকজনরে বলছি আমি এইটা।
যে, একটা ক্যাফে চালু করতে পারেন কেউ “সুলতানা’স ড্রিম” নামে। খালি ফিমেইলস আর এলাউড। দোকানের সবাইও নারী থাকবেন – বার্বুচি, ওয়েটার, ক্যাশিয়ার। চাইলে কেউ বেটামানুশ নিয়া আসতে পারেন, কিন্তু সাথে কোন ফিমেইল না থাকলে ঢুকতে পারবেন না। এইরকম। এখন লিগ্যালি তো ‘না’ করা যাবে না। এনভায়রনমেন্ট’টা ক্রিয়েট করতে হবে আর কি যেইখানে গেলে মনে হবে, আরে এইটা তো ‘নারীস্থান’! আমার ধারণা, বিজনেস হিসাবেও প্রফিটেবল হওয়ার কথা। যেই দুইটা ঘটনার কথা বললাম, উনারা মোর কমর্ফোটেবলি বসতে পারতেন এইরকম জায়গা থাকলে, আড্ডা দিতে পারতেন।
কিন্তু আমার ধারণা, এর একটা সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট তৈরি হইতে পারার কথা, এর ভিতর দিয়া। এমন না যে, ৮/১০টা সুলতানা’স ড্রিম চালু হইলে সব নারী’রা অইখানে চইলা আসবেন, আর অন্য কোথাও যাবেন না, বা কমন-স্পেইসটারে ছাইড়া দিবেন বেটা-মানুশদের দখলে। বরং উল্টাটা হবে বইলা আমার মনেহয়। এইরকম দুয়েক্টা স্পেইসে মেয়েরা ফ্রিলি বসতে শুরু করলে, উনাদের এই ফ্রিডমটারে উনারা কমন-স্পেসগুলাতেও এক্সারসাইজ করতে পারবেন।
তার চে বড় ইমপ্যাক্ট হইতে পারে যে, অইটার এফেক্ট হিসাবে কমন-স্পেইসগুলাতে ফিমেইল প্রেজেন্সটারে ‘নরমাল’ হিসাবে দেখতে পারবে সবাই। যে, কমন-স্পেইসগুলাতে যদি অই এনভায়রনমেন্টটা না থাকলে ফিমেইল কাস্টমাররা আসতে রাজি থাকবে না তখন! আর এইটা নরমাল রেস্টুরেন্টে ‘কেবিন’ বসায়া কাউন্টার দেয়া যাবে না আসলে। অই ‘প্রাইভেসি’র বেইল নাই আর! অইটা যে কমন-স্পেইস থিকা বরং সরায়া দেয়া সেইটা টের পাওয়া যায় বইলাই অইটা আর নাই।… কিন্তু এইখানে ঘটনাটা বরং একটা কাউন্টার কমন-স্পেইস তৈরি হওয়ার কথা, সুলতানা’স ড্রিমে।
এর বাইরে, স্মোকারদের জন্য তো অইটা হ্যাভেন হবে বইলা আমার ধারণা। ডেটিং-প্লেইস হয়া উঠলে, বুজিং-প্লেইস উঠলে একটু বিপদ হইতে পারে। কিন্তু সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং বা বিজনেস প্লেইস হিসাবে অ্যামেজিং একটা ব্যাপার হইতে পারে। মানে, যদি সোশ্যাল কনসার্নগুলারে মাথায় রাইখা ব্যাপারটা চালু করা যায়। এমনকি আমার ধারণা, অন্য শহরগুলাতেও ‘সুলতানা’স ড্রিম’ বইলা জায়গা তৈরি হইতে পারে! যেইটা কমন-স্পেইসগুলা, যেইখানে এনাফ ‘ফিমেইল-ফ্রেন্ডলি’ এনভায়রনমেন্ট নাই, সেইগুলারে কনভার্ট করতে একরকমের অল্টারনেটিভ হিসাবে কাজ করতে পারবে।…
জাস্ট আইডিয়া হিসাবেই বইলা রাখা। আইডিয়া টু ইমপ্লিমেন্টশন তো বড় একটা জার্নিই। তারপরও ব্যাপারটা আমার মনে হইছে, ট্রাই করতে পারেন কেউ। কিন্তু কোর অবজেক্টিভ হিসাবে বিজনেস হইতে হবে, প্রফিট থাকতে হবে; ‘এনজিও’ বা ‘সোশ্যাল-ওয়ার্ক’ হইলেই জিনিসটা আর হবে না!
Continue reading →