অন হেইট্রেট

আগেও কয়েকবার বলছি মনেহয়, আপনি কোন জিনিসটারে হেইট করতেছেন, সেইটা নিয়া সাবধান থাইকেন! ইভানচুয়ালি ইউ গেট অ্যাডিক্টেড টু দ্যাট। ঘৃণার মতোন বড় অ্যাডিকশন খুব কমই আছে। 🙁

এইটা খুবই হয়। এইটা আরেকবার মনে হইতেছে, জুলিয়ান বার্নসের ‘দ্য অনলি স্টোরি’ নভেলটা পড়তে গিয়া। মেইন যে কারেক্টার, সুসান, হ্যাজবেন্ডের মদ-খাওয়ারে খুবই হেইট করতো আর এন্ড-আপ বিইং অ্যা অ্যালকোহলিক, খুবই বাজে ভাবে। (এই কারণেই যে ঘটনাটা ঘটে, তা না। যখন শে ফ্রাস্ট্রেটেড হয়, তখন অপশন হিসাবে এমার্জ করে।) এমনো হয়, যারা ‘মিথ্যা কথা’ বলারে হেইট করেন, দেখবেন, নিজেরাই মিথ্যা কথা বলতে শুরু করেন, আর বলতে থাকেন, আরে, আমি তো মিথ্যা কথা বলারে ঘৃণা করি, আমি কেন মিথ্যা কথা বলবো! ইমোশনরে লজিক হিসাবে ইউজ করা শুরু করি আমরা, একটা সময়! টেরও পাই না মেবি। 🙁

তো, ব্যাপারটা খালি দোস্তি’র না, দুশমনিরও; মেইনলি অ্যাটাচমেন্টের। কি কি জিনিস নিয়া আমি কনসার্নসড হইতেছি, পক্ষে হোক আর বিপক্ষে হোক। Continue reading

দোস্ত, দুশমন

এইরকম একটা কথা আছে যে, মানুষের বন্ধু-বান্ধব দেখলে আন্দাজ করা যায়, মানুষটা কেমন। কিছু মিল না থাকলে তো আর দোস্তি হয় না। কিন্তু এর চাইতে আরো সিগনিফিকেন্ট মনেহয়, শত্রুতার ব্যাপারটা বা যার আপনি বিরোধিতা করতেছেন, সেই জায়গাটা। মানে, আপনি কারে শত্রু ভাবতেছেন বা কোন জিনিসগুলারে – সেইটা দিয়াও একটা মানুষরে বুঝা যাইতে পারে। দোস্তির মতোন শত্রুতাও, আমার কাছে মনেহয়, একটা লেভেলেরই ঘটনা, একটা সার্কেলেরই ব্যাপার। মানে, আমার যদি কনসার্ন না-ই থাকে, সেই জিনিসটারে তো আমার শত্রু মনে হওয়ার কোন কারণই নাই। দোস্তি আর দুশমনি একটা সার্কেলেরই ঘটনা, এইভাবে যে, আমরা কনসার্নড, বোথ পার্টি নিয়া।

আরেকটা জিনিস হইলো, এই কনসার্নড জিনিসগুলাই আমাদেরকে ডিফাইনড করতে থাকে বা থট-অ্যাক্টিভিটিরে ইনফ্লুয়েন্স করতে থাকে। এই কারণে কার সাথে দোস্তি করতেছি – এইটার যেমন একটা ভ্যালু আছে, কার সাথে দুশমনি করতেছি, সেইটারও ইমপ্যাক্ট আছে আমাদের লাইফে। Continue reading

অমর প্রেমের কাহিনি

আমি যেই ছবিটা দেখছিলাম সেইটা ছিল অনেকটা পেন্সিলস্কেচ; পোলাটা আরো ইয়াং, কলেজছাত্র টাইপ, জিন্স, টি-শার্ট, কেডস পরা আর মাইয়াটাও টিনএজার, সালোয়ার-কামিজ পরা। কোনো চুলকাটার দোকানে, বাঁধাই-করা গণেশ, শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মাচারী আর অনেকের ছবির সাথে। ছবিটা মনে আছে মেইনলি ডায়ালগটার কারণেই, কিন্তু ইমোশনটার কারণেও মনেহয়। পোলাটা ফিরাও তাকাইতেছে না, কত দুঃখ না-জানি পাইছে! দেবদাসের চাইতেও বেশি। পারু তো ফিরা আসে নাই। আর এইখানে পায়ে ধইরা কানতেছে!

আমার ধারণা, যারা এই ছবিটা পছন্দ করেন, তাদের অরিজিনাল কাহিনিটা মেবি অন্যরকম। দেখা যাবে, মাইয়াটা পোলাটারে পাত্তাই দিত না, বা মজা করত … সে যে এইরকম প্রেমে পড়ছে তার কোনো রিকগ্নিশনই নাই। এই কারণে এই ছবির ভিতর দিয়া সে নিজেরে ইমাজিন করতেছে যে সে মদ খাইতেছে আর ভাবতেছে যে, মাইয়াটা এখন তার লাইগা আফসোস করব; বা করলেও সে আর ফিরা আসবে না। মাইয়াটা কি ভাবে সেইটা কোনো ঘটনাই না; ঘটনাটা হইল মাইয়াটা কি ভাবতে পারে সেইটারে ভাবতে পারাটা। সে যে এত মদ খাইতেছে কেউ কি আইসা তার পায়ে ধরব না? এইটুক আফসোস কি তার পাওনা হয় নাই? বেশ আনবিয়ারেবল একটা ইমোশন। মদ তো মদ, মানুষ মরতেও পারে এই ইমোশনের লাইগা। মরেও তো মনেহয়।

প্রেমে পইড়া মানুষ যে সুইসাইড করে, এইরকম একটা ‘অমর প্রেম’-এর ধারণা থিকাই তো!

২.
বিশু ধরের আঁকা এই ছবিটা রাজীব দত্তের কাছ থিকা পাইছিলাম। এইটা নিয়া একবার কিছু কথা বলছিলাম আমরা — রাজীব দত্ত আর আমি। Continue reading

আর্টের বিচার কেমনে করবেন?

আমাদের ‘আর্ট ধারণা’র মুশকিল’টা কই বা কোন জায়গায়? – সেইটা নিয়া আবারো বলি। আর্টের কাজ কোন ‘সমাজের চিত্র’রে ঠিকঠাক মতো তুইলা ধরা না; মানে, এইটা তো সোসাইটি’তে নাই! বা এইটা আমাদের সমাজের রিয়েল চেহারা! – এই টাইপের ক্রিটিক করা’টা। যে, সমাজের লগে ‘মিল’ থাকা লাগবো! এইটা আর্টরে বিচার করার কোন তরিকা হইতে পারে না। (আর্টের সাথে সোসাইটির বা সোসাইটির সাথে আর্টের একটা রিলেশন আছে বা থাকেই।)

বরং উল্টা ঘটনাটাই বেশি ঘটে। এক ধরণের আর্টের ধারণার ভিতর দিয়াই আমরা একটা সোসাইটি’রে বা রিয়ালিটি’রে দেখি বেশি। যার ফলে, একটা আর্ট সোসাইটিতে বা সোসাইটি’র এগজিসটিং আর্টের ধারণাটাতে কতোটা ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারে – সেই জায়গা থিকা একটা বিচার হইতে পারে। (এইটাই যে একমাত্র ক্রাইটেরিয়া – তা না। কিন্তু সোসাইটি’র জায়গা থিকা দেখতে চাইলে এইভাবে দেখাটা এফেক্টিভ হইতে পারে।) যেমন ধরেন, শেক্সপীয়র নাটক লেখার পরে বা ভ্যান গঁগ ছবি আঁকার পরে নাটক বা ছবি-আঁকা ব্যাপারটারে একইভাবে দেখতে পারতেছি না আমরা আর। উনারা একটা ‘স্ট্যান্ডার্ড’ তৈরি করছেন – তা না; যে, এমনে এমনে লেখা লাগবো বা ছবি-আঁকা লাগবো। আর্টের ভিতর দিয়া সোসাইটিরে আমরা যেইভাবে দেখতাম বা সোসাইটি নাটক-লেখা বা ছবি-আঁকা’রে যেমনে দেখে, সেইটা আর ‘ঠিকঠাক’ থাকতে পারে নাই। আরো কাছাকাছি এক্সাম্পল দিলে, মিনিমাম অর্থেও, আজম খানের আগে-পরে বাংলাদেশের গান একই রকম থাকে নাই; এমন না যে সবাই আজম খানের মতোন গাইতে শুরু করছেন। এইরকম। ‘ট্রাডিশনাল’ গানও যে বন্ধ হয়া গেছে – তাও না। আরেকটা রকম ইমার্জ করতে পারছে, গান গাওয়ার; গ্রাম-বাংলা’র জায়গায় ‘শহর’ দেখা গেছে, বাংলাদেশে। এইরকম। Continue reading

#কবিতা #প্রেম #মিডিয়াম #ফেসবুক #হেইট্রেট #বুলিং #হাট #খেলা #ক্রুয়েলিটি #হাততালি

আমারে কয়েকজনই জিগাইছেন, নানান টাইমে, প্রেম নিয়া কেনো এতো কবিতা লেখা হয়! দুনিয়াতে কি আর কোন কিছু নাই, কবিতা লেখার মতোন!

আমিও খেয়াল করছি, মোস্টলি দুই-তিনটা সাবজেক্ট নিয়াই কবিতা লেখা হয় – প্রেম, পলিটিকস, মরা’র চিন্তা… এই কয়টা জিনিসই, ঘুইরা-ফিরা। অন্য জিনিস নিয়া যে কবিতা লেখা যায় না বা হয় না – তা না; কিন্তু কবিতা বলতেই প্রেমের একটা ঘটনা আছে, বা প্রেমে না পড়লে মানুষ কবিতা কেমনে লেখে – এইরকম!

তো, এই প্রশ্নের তেমন কোন উত্তর আমি করতে যাই নাই। (উত্তর যে নাই – তা না, নানান সময়ে নানান উত্তর তো দেয়া-ই যায়।) কিন্তু একটা জিনিস গত কয়েকদিন ধইরা মনে হইতেছিলো, এক একটা মিডিয়াম এক একটা ফিলিংস’রেই উসকায়া দেয়। যেমন, ফেসবুক – মিডিয়াম হিসাবে এক রকমের হেইট্রেট বা বুলিং’রে প্রমোট করে।

এর একটা কারণ মেবি এইরকম যে, ধরেন, একটা হাটে বা ক্রাউডেড প্লেইসে আমরা যে যার কথা কইতেছি বা খেলা দেখাইতেছি, এখন যে যতো ক্রুয়েল গেইম’টা দেখাইতে পারবো, লোকজন তো সেইখানেই আসবো বেশি। হাটে বা পাবলিক গেদারিংয়ে সবাই তো খেলা দেখাইতে আসেন না, দেখতেই আসেন; চোখের সামনে যা পড়ে, দেখি তো আমরা; আর যা কিছু একসাইটিং – তা-ই তো চোখে পড়ে বেশি। এইরকম। তাই বইলা ফেসবুক একটা হেইট্রেট বা বুলিং করার মিডিয়াম – এইটা আমার ক্লেইম না; কিন্তু মিনিমাম লেভেলে এক রকমের ‘হাততালি’ দেয়ার ব্যাপার’রে এনকারেজ করেই।
Continue reading