দ্য গ্রেট বিউটি

The Great Beauty সিনেমার দুইটা ঘটনার কথা মনে আছে। একটাতে, রাতে পার্টি শেষে এক এলিট মাইয়ার বাসায় যান মেইন কারেক্টারটা, পয়ষট্টি বছর বয়স যার, রাইটার উনি, একটা সাকসেসফুল নভেল লেখার পরে আর লেখেন নাই। তো, সেক্সের পরে মাইয়াটা কয় যে, শে মাঝে-মধ্যে ছবি তুলে আর অর ফেসবুক ফ্রেন্ডরা কয় যে, শে নাকি ভালো ছবি তুলে – এইটা বইলা শে অ্যামেচার একটা হাসি দেয়। রাইটার কয়, এর মধ্যে নিশ্চয় তোমার ন্যুড ছবিও আছে কয়েকটা? মাইয়াটা হাইসা কয়, তা তো আছেই! তুমি আমার কয়েকটা ছবি দেখবা? আমার ল্যাপটপে আছে, দাঁড়াও আমি নিয়া আসি – বইলা শে যায়। রাইটারটা তখন ভাবে, আরে, এইখানে আমি কি করতেছি? এমনে টাইম ক্যান ওয়েস্ট করতেছি আমি? মাইয়াটা ল্যাপটপ নিয়া আইসা দেখে স্যুট-কোট পইড়া রাইটারটা হাঁইটা যাইতেছে রাস্তায়। এইটার সাথে রিলেভেন্ট আরেকটা সিন হইলো, সে এক ফটোগ্রাফারের ছবি দেখতে যায়, যেইখানে লোকটার তার লাইফের প্রত্যেকদিনের ছবি আছে। সে ফটোগ্রাফাররে জিগায় এইটা তার আইডিয়া কিনা; সে কয়, তার বাপের আইডিয়া এইটা, পরে সে নিজেই করছে। তো, লোকটার ইয়াং বয়সের ঠোঁট-বাঁকানি, চোখ-উল্টানির ছবিগুলা দেইখা রাইটারটা কানতে থাকে। অ্যামেচার আর প্রফেশনালের ডিফরেন্স তো আছে। যেমন ডিফরেন্স আছে গ্রেট আর মিডিওকার আর্টিস্টের। এইটা যতোটা ফর্মে বা কনটেক্সটে, তার চাইতে অনেকবেশি আর্টের ধারণাটাতে। একটা ফেইলওর অনেকবেশি ইর্ম্পটেন্ট, অনেকগুলি সাকসেসের চাইতে। Continue reading

।। ওল্ড অ্যান্ড ইয়াং ।।

ডেক্সটারের সিজন থ্রি’তে এই কাহিনিটা আছে। শহরের ডিফেন্স অ্যার্টনি এলেন উলফ, দুইবার ডিভোর্স হইছে, এখন সিঙ্গেল, নিজের জব নিয়া খুবই সিরিয়াস; ডেক্সটারের বস মারিয়া লাগোর্তা’র লগে খাতির হয় উনার। দুইজনেই ফর্টি প্লাস ফিমেইল। একটা প্রোগ্রাম থিকা আইসা বার-এ বসেন; তখন বারটেন্ডার ইয়াং পোলাটার লগে ফ্লার্ট করতে থাকেন। মারিয়া কয়, এইগুলা কি করো… অপরিচিতদের সাথে এইগুলা করাটা তো রিস্কি। তখন শে কয়, দুইটা বাজে জামাইয়ের সাথে থাইকা আমি বুঝছি যে, দুনিয়ার আসল হ্যাপিনেস হইলো ইয়াং পোলাপানদের লগে ফ্লার্ট করা!

পরে রাতে ওই পোলা আসার কথা থাকে বইলাই মার্ডারারটা ইজিলি এলেনের রুমে ঢুকতে পারে। মানে, কমবয়সী পোলাদের লগে ফ্লার্ট করাটা ঠিক কি বেঠিক এইটা নিয়া সরাসরি কোন কথা নাই। সবারই তো কিছু না কিছু উইকনেস থাকে, স্ক্রিপ্ট রাইটার হয়তো ফর্টি প্লাস উইমেনদের এই অভ্যাসরে ক্রিটিসাইজ করতেও চান নাই। কিন্তু দ্যান এগেইন, এই সাজেশনটাই আবার রিভিল কইরা ফেলেন যে, ফর্টি-প্লাস হইলে এইরকম করা-ই যায়! এইটা বলাটাও একটু ঝামেলারই। Continue reading

।। ভুলগুলিই ভালো ।।

এইটা নিয়া প্রথম কনশাসলি চমকাইছিলাম মনেহয় কলেজে পড়ার সময়ে। ঢাকা কলেজে সাউথ হোস্টেলে থাকি তখন। সাহিত্য নিয়া আলাপ করতে তো পছন্দ করতাম; তো, এক ফ্রেন্ড আইসা কইলো, শেক্সপীয়র যে তার আপন বইনরে বিয়া করছিল সেইটা তুই জানোস! আমি জাস্ট হা হয়া গেলাম, রিপ্লাই করবো কি! তারপর সে আরো আরো তথ্য দিতে শুরু করলো, রবীন্দ্রনাথ তার ভাতিঝিরে প্রেগনেন্ট কইরা ফেলছিলো… এইরকম আরো অনেক ফ্যামিলি ইনসেস্টের ঘটনা। সে ছিল মেট্রিক পরীক্ষায় স্ট্যান্ড করা। পান খাইতেছিল সে। অনেক সুন্দর কইরা চিবাইয়া চিবাইয়া পান খাইতো সে; এইটাতে তারে আরো বুদ্ধিমান লাগতো। আমি পুরা পাজলড। বাট যখন বাংলা-সাহিত্যের রেফারেন্সগুলি দিতেছিল, আমি প্রটেস্ট করলাম যে, আমি এইগুলা এটলিস্ট জানি, এইগুলা সত্যি না। তখন আমি তারে জিগাইলাম, কই পাইছে সে এই তথ্য? সে কইলো, বইয়ে। আমি জিগাইলাম, কোন বইয়ে? উত্তর দিতে হেসিটেট করতেছিল সে। বলে, যেহেতু বইয়ে লেখা, লেখা তো আর মিথ্যা না। লেখা জিনিস তো সবসময়ই সত্যি! শেষে সে কইলো, নীলক্ষেতের ফুটপাত থিকা কিনা বইয়ে সে এইগুলা পাইছে। আমি তখন হাসতে গিয়াও হাসতে পারলাম না; কারণ সে ছিল খুবই সিরিয়াস। আমি তারে বোঝানোর ট্রাই করলাম যে, এইগুলা তো চটি, রসময় গুপ্তের আরেকটা ক্যাটাগরি; ফ্যাক্ট হিসাবে লেখে নাই। নায়ক-নায়িকাদের মুখ কাইটা আরেকটা ছবির উপর বসাইয়া দেয়ার মতো এইগুলা লিখছে। এই ভুলগুলিরে ভুল বলাটাতে সে কষ্টই পাইতেছিল। এইরকম না যে এইগুলি ভুল না, কিন্তু সে যে সত্যি ভাবছিল – সেইটা তো আর ভুল না! প্রটেস্ট করার ট্রাইও করতেছিল, অন্য আরো রেফারেন্স পয়েণ্ট দিয়া। মানে, তার ভুলগুলি নিয়া সে ডাউটফুল থাকতেই চাইতেছিল। Continue reading

ভয়ারিজম ইন লিটারেচার

কয়েকদিন আগে ব্যাপারটা একবার মনে হইছিলো, একজন পপুলার রাইটারের ফেসবুক স্ট্যাটাসে পুরানো পরিচিত একজনের লাইক দেইখা। ফেসবুকের সাইডের স্ক্রলবারে আসছিল উনি যে লাইক করছেন – এই জিনিসটা। স্ট্যাটাসটা পড়তে গিয়া দেখলাম পরিচিত আরো অনেকেই লাইক করছেন; অনেকে মানে যাঁরা পলিটিক্যালি আওয়ামী লীগরে সার্পোট করেন এবং আওয়ামী লীগের বিরোধী। লেখিকার নাম, তামান্না সেতু। লেখা ভালো। হুমায়ূন আহমেদের মায়ের নামে চালু করা আয়েশা ফয়েজ পুরষ্কার পাইছেন। আমি বুঝতে চাইতেছিলাম, কি কারণে উনি পপুলার? এইজন্য কয়েকটা স্ট্যাটাস পড়লাম উনার। সহজ সরল লেখা, ভাষা নিয়া কেরামতি করেন নাই, খুবই টাচি সাবজেক্ট – এইসব বিষয় তো আছেই। আমার মনে হইতেছিল, উনার একটা কী ফোকাস পয়েণ্ট হইতেছে, সেক্সুয়াল এডুকেশন। ফ্যামিলিতে যেইসব বিষয় নিয়া আমরা কথা-বার্তা বলি না, যেমন, মা তার পিরিয়ড নিয়া টিনএজার ছেলেরে বলতেছে; ওয়াইফ তার হাজব্যান্ডের সাথে সেক্স করতেছেন একটা মেয়ে-বাচ্চা পয়দা দেয়ার লাইগা, একইসাথে সোসাইটিতে রেইপ নিয়া কনসার্ন – এইসব জিনিস নিয়া নরমালি আমরা কথা বলি না, কিন্তু বলতে পারি তো। Continue reading

।। আর্ট ক্রিটিক ।।

আমি যেই ছবিটা দেখছিলাম সেইটা ছিল অনেকটা পেন্সিল স্কেচ; পোলাটা আরো ইয়াং, কলেজ ছাত্র টাইপ, জিন্স, টি-শার্ট, কেডস পড়া আর মাইয়াটাও টিনএজার, সালোয়ার-কামিজ পড়া। কোন চুলকাটার দোকানে, বাধাঁই-করা গণেশ, শ্রীশ্রীলোকনাথ ব্রহ্মাচারী আর অনেকের ছবির পাশে। ছবিটা মনে আছে মেইনলি ডায়ালগটার কারণেই, কিন্তু ইমোশনটার কারণেও মনেহয়। পোলাটা ফিরাও তাকাইতেছে না, কি দুঃখ না জানি পাইছে! দেবদাসের চাইতেও বেশি। পারু তো ফিরা আসে নাই। আর এইখানে পায়ে ধইরা কানতেছে! Continue reading