ডায়েরি; অগাস্ট ২১, ২০১৫।

দুয়েকটা টিনের ঘর এখনো টিইকা আছে। বাকি সব খালি জায়গায় সাইনবোর্ড; মনেহয় এই সাইনবোর্ডের পরে, আগে আর পাশে যা কিছু আছে সব এই সাইনবোর্ডের দখলে; অথচ এমনই হইতে পারে যে, এইটুক, যেইখানে সাইনবোর্ড দাঁড়ায়া আছে, ওইটুকই সে; কিন্তু আশেপাশে অন্য কোন সাইনবোর্ড না থাকায়, ওইটাই যেন সে, তারই এখতিয়ারে, এইরকম মনে হইতেছে। কিছু সীমানা দেয়ালও আছে। মানে, মালিকানা কনফার্ম, যদিও মালিকরা থাকে না এইখানে।

মাথায় ছাতি নিয়া বড়শি দিয়া মাছ ধরতেছে একজন বুড়া মানুষ, ময়লা পানিতে। যেই স্রোত, মাছেরা তো দাঁড়ায়া থাকতে পারার কথা না। ভাসতে ভাসতে, যাইতে যাইতেই লোভের আদার খায়া ফেলে মনেহয় তারা। এখনো নদীর মালিকানা ফিক্সড হয় নাই, যে কোন মানুষই মাছ ধরতে পারে। যে কেউ সেইটা আবার দেখতেও পারে। দেখাটার কথা যখন লেখা হবে তখন আবার কেউ পড়তেও পারবে। এইসবকিছুই ফ্রি। জীবনটাই তো ফ্রি পাইছি আমরা। কিসের সাথে যে, সেইটা ভুইলা গেছি। মরতে-পারা’র সাথে কি? Continue reading

ডাইরি: অগাস্ট ০২, ২০১৫।

মিনাবাজারেই গেলাম শেষে, বনানীর আউটলেটে। যাওয়ার প্ল্যান ছিলো না। কিন্তু যাইতে হইলো; মে বি দ্যাট ওয়াজ রিটেন ইন দ্য স্টারস; গ্রহ নক্ষত্রেরই ফের।

সব্জি কিনতেছিলাম। একটু কম কম মানুষই ভালো। আর যেইসব মানুষরা আসে ওইখানে, চেহারা দেখলে বোঝা যায়, টাকা-পয়সা আছে উনাদের। আমরা আসলে একটা ক্লাস-এর লোক – এই সলিডারিটি ফিলিংস সুপারস্টোরের একটা সেলিসং পয়েন্ট। অ্যাম্বিয়েন্সটাও ভালো, পরিবেশ বলা লাগে না। একটা মাইয়া আসলো, সাথে একটা পোলা। মাইয়াটারেই আগে দেখছিলাম, মাইয়াটার দিকে তাকায়া থাকার কারণেই মনেহয় পাশের পোলাটা একটা চিপসের প্যাকেট খুইলা এমন আস্তে আস্তে কিন্তু শব্দ কইরা কামড় দিতেছিলো যে, তারেও দেখা লাগলো। ইয়াং সে। Continue reading

ঘুম

পাহাড়ি গড-এর সীমানা পার হয়ে আমরা নেমে আসছিলাম রাস্তায়, ট্রাফিক জ্যামে। মানুষের কথা, মানুষের সঙ্গ খালি ক্লান্ত করে। একই কথা তাঁরা বলতে থাকে, একই গান গাইতে থাকে। আর বলে এরা নতুন। আমাদের ভঙ্গিমা দিয়া আমরা নতুন কিছু আবিষ্কার করতেছি। নতুন নতুন আবিষ্কার দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে ক্লান্ত লাগতে থাকে। রিকশায় কিছুদূর আসার পরে মনেহয় রিকশায় বইসাই ঘুমায়া যাই। পাহাড়ে রিকশা নাই। Continue reading

স্ট্রাগল অফ মিনিং

তপনরায় চৌধুরী’র অরিয়েন্টালিজম রিডিংটা নিয়া লিখবো বইলা ভাবছি অনেক আগেই। কিন্তু লেখা হইতেছে না, তাই ভাবলাম যদ্দূর পারি আরেকবার আরেকটু নোট নিয়া রাখি, পরে পারলে আবার লিখবো নে।

অরিয়েন্টালিজমের ক্লেইম এইটা যে, ইউরোপ তার কলোনি হিসাবে ইন্ডিয়া বা অন্যান্য জায়গা দখল করতে পারছে তার নলেজের সুপিয়রিটি প্রুফ করার ভিতর দিয়া। প্রাচীন ইন্ডিয়া বা আদি ভারত-মাতা আসলে ইউরোপেরই আবিষ্কার করা নলেজ। এই নলেজ’রে অ্যাকসেপ্ট করার ভিতর দিয়া ইন্ডিয়ান ইন্টেলকচুয়ালরা আসলে খাল কাইটা ইউরোপিয়ান কুমিরদেরকে নিয়া আসেন। এই জায়গায় তপনরায় চৌধুরী’র ক্লেইমটা অনেকটা নিচে থাইকা তলঠাপ দেয়ার মতো। উনি বলতেছেন যে, ইন্ডিয়ান এলিটরা এই নলেজরে খালি নেন-ই নাই, যাচাইও করছেন। এই যাচাইয়ের জায়গা নিয়াই উনি ডিটেইল বই লিখছেন একটা। এর বিপরীতে হাবিলার-গোষ্ঠীরে নিয়াও উনি হাসি-ঠাট্টা করছেন এইকারণে যে উনাদের থিওরেটিক্যাল বেইস ওই অরিয়েন্টালিজমই। Continue reading

নায়ক ও ভিলেন এবং নায়িকা

অদৃষ্টের, মানে না-দেখার হাত এতোটাই লম্বা যে, মনে হইতে থাকে যা কিছু দেখাইলাম না, সেইসব কিছু যেন আর ঘটলোই না। অথচ যা ঘটে সেইটা ঘটনা না কখনোই, ঘটনাগুলা সবসময় আমাদের ভাবনার ভিতরেই ঘটতে থাকে। সিনেমা আসার পরে এই মনে-হওয়াগুলা এক্সপ্লয়টেড হইতে পারতেছে আরো।

বাংলা-সিনেমাগুলাতে এক ধরণের সিন আছিলো যে, নায়িকা খুবই কষ্ট পাইছে আর তখন সাইড-নায়ক তারে জড়ায়া ধইরা সাত্বনা দিতেছে, ওই সময় নায়ক আইসা দেইখা ফেলে। সে যেহেতু সবসময় (আসলে সবসময় তো না) কামভাবেই জড়ায়া ধরে নায়িকারে সে ভুলভাবে ভাবতে পারে যে, এই কামভাব-ই এইখানে আছে! পরে অবশ্য ভুলটুল ভাইঙা যায়, কারণ সিনেমার শেষ হইতে হয়। লাইফেরও শেষ হইতে হয়, তবে ভুল-টুল না ভাঙলেও লাইফের খুবএকটা সমস্যা হয় না। কিন্তু সিনেমার টুইস্ট’টা এইখানেই। আপনি আরো ১০জন’রে বলতে পারেন, ‘আই লাভ ইউ’, কিন্তু আপনি ত মিন করেন নাই; আর যেহেতু মিন করেন নাই, সেইটা এগজিস্টই করে না। মানে, সাইড-নায়কের ধোন যদি খাড়ায়ও একটু নায়িকার শরীরের স্পর্শে সেইখানে নায়িকার তো কিছু করার নাই। সাইড-নায়কের ধোন থাকলে এইখানে নায়িকার কি করার থাকতে পারে? আপনি যখন নায়ক তখন আপনারে নায়িকার এইসবকিছু না-বোঝাটারে বুঝতে হইবো। তা নাইলে আপনি কখনোই নায়ক না। নায়ক হইলো উঁচা টাইপের একটা জিনিস। বাইট্টা না কোনমতেই। বাইট্টা মানে আপনি আসলে একটা রিয়েল ভিলেন। এমনকি হিটলারও হইতে পারেন। এখন হিটলার’রে পছন্দ করলে কি তিনিও আর নায়িকা থাকতে পারবেন? Continue reading