অ-সম্পূর্ণ দিন আমাদের…

বেকেটের নাটকের চাইতে ভিন্ন কিছু না, এই জীবন

প্রতিটা পর্বের ভাগ, যে যে স্টেপ তুমি নিতে পারো, তার অপশনগুলা

ধারণা করা যায়, বড় জোর ১৪-১৫টা, এর বেশি কিছু আর কি হইতে পারে

যখন দেখা যাইতেছে, প্যার্টানটা, তুমি দেখতেছো… কি যে ভয়াবহ

এক একটা রোবট দৃশ্য; তুমি জানতেছো যে, ভিন্নতাগুলা, কোনটার পর কোনটা[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

 

এর চে করুণ স্বপ্নদৃশ্য আমি আর দেখি নাই কখনো…

Continue reading

২২শে শ্রাবণ

এই একটা তারিখ কেমনে বাংলা’য় রয়া গেলো? (আরো আছে হয়তো, হিন্দুধর্মীয় উৎসবগুলা এর সাথে… কিন্তু ১লা বৈশাখ-ই ত এখন ১৪ই এপ্রিল)[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

তারও আগে মনে হয় বলাটা দরকার যে, একটা মানুষ যদি ভালো কবিতা লিখতে পারে, তার ভালো মানুষ হওয়ার ত দরকার নাই… মানে, ভালো মানুষ না হইলে জানি ভালো কবিতা লেখা যাইবো না, এইটা কোন ফাইজলামি… ভালো ভালো মানুষ কেন সব ভালো ভালো কাজ করবো, একটু একটু খারাপ মানুষ অনেক ভালো ভালো কাজ করতে পারে ত… মানে, ভালো জিনিসটারে ক্রিটিক্যাল না কইরাও এই কথা বলা যাইতে পারে…

Continue reading

ভাষার রাজনীতি: জোর ও যুক্তি

শ্রদ্ধেয় আনিসুজ্জামান-এর আরেকটা ইন্টারভিউ পড়ার সুযোগ আমার হইছে। উনার ‘রাজনৈতিক’ অবস্থানের কারণেই উনার কথাগুলা গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ‘রাজনৈতিক অবস্থান’ অনেকেই সাবস্ক্রাইব করেন বইলা আমার ধারণা। এইজন্য তাঁর ভাষার এই রাজনীতি বিষয়ে আমার বোঝাপড়াটা হাজির রাখতে চাই।

[তবে উনার কথা নিয়া বলার একটা সমস্যা আছে। ব্যক্তি হিসাবে উনি আমাদের সমাজে শ্রদ্ধেয় একজন মানুষ। এই কারণে একটা প্রি-অ্যাজামশন কাজ করে যে, শ্রদ্ধেয় মানুষদের কথা নিয়া তর্কে যাওয়া যায় না; ব্যক্তিত্ব বা জীবন-যাপন একটা অবস্টেকল  হিসাবে কাজ করে। মনে হইতে পারে যে, উনার কথার বিরোধিতা করা মানে উনার ব্যক্তিত্বের বিরোধিতা করা। আবার মনে হইতে পারে যে উনার ব্যক্তিত্ব যেহেতু শ্রদ্ধার ব্যাপার, উনার ব্যক্তিত্বরে ‘খাটো’ করার জন্য হয়তো উনার বক্তব্যের বিরোধিতা করা; ব্যাপারটা যে তা না, সেইটা বইলা রাখাটা মনে হয় ভালো।]

আগের একটা ইন্টারভিউ পড়ছিলাম উনার, ওইখানে যা বলছিলেন, সেইখান থিকা খুব বেশি কিছু চেইঞ্জ না হইলেও, উনার বলার জায়গাটা সম্ভবত প্রশ্নগুলার কারণেই আরেকটু স্পষ্ট হইছে। খুববেশি কিছু চেইঞ্জ হয় নাই, কারণ ভাষা বিষয়ে চিন্তার ক্ষেত্রে ‘আঞ্চলিক’ এবং ‘প্রমিত’র যে ভাবনা, সেইটা উনি একবছর আগে যেইভাবে হোল্ড করতেন, এখনো করেন। উনি বলছেন,

অসুবিধা হলো, যখন আমরা জোর করে বলতে চাই যে আমরা এক শ বছর আগের ভাগীরথীর তীরবর্তী বাংলাকে কেন প্রমিত বাংলা হিসেবে মানব। এর মধ্যে একটা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করে।


এই ‘জোর’ শব্দটা নিয়া একটু দ্বিধায় আছি; এতে কইরা মনে হয় যে, কথার মধ্যে ‘যুক্তি’ নাই, অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলা। কিন্তু ব্যাপারটা ত তা না। আমি অনুমান করছি যে, এই ‘জোর’ মানে হইলো ‘রাজনৈতিক বিবেচনা’; কারণ, এইটার কথা উনি পরের বাক্যেই বলছেন। মানে, আমি যখন বলি যে, ‘প্রমিত বাংলা’ আমি মানব, তখন কি কোন রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করে না? সেইটা কি খুবই ‘অ-রাজনৈতিক’ একটা ব্যাপার? খুব অপ্রসাঙ্গিকভাবে (মানে, ‘জোর’ কইরা) আনিসুজ্জামান সম্ভবত তা-ই ভাবছেন। বা ‘রাজনীতি’ বইলা ঠিক রাজনীতি না, বরং ঘৃণার একটা জায়গাতে নিয়া যাইতে চাইতেছেন যেইখানে আর্গুমেন্টের কোন স্পেইসই আর নাই।  Continue reading

বিনয় মজুমদারের ফ্যাণ্টাসি

ফ্যাণ্টাসি মানে কি?

কিন্তু তার আগে ‘বিনয় মজুমদার’-এর কথাটা বইলা নেই। অনেকেই হয়তো চিনেন তারে; তারপরও বলি, উনি ইন্ডিয়া-রাষ্ট্রের পশ্চিমবাংলা প্রদেশের বাংলা-ভাষার একজন কবি। উনার বিখ্যাত কবিতার বইয়ের নাম, ফিরে এসো চাকা, অঘ্রাণের অনুভূতিমালা। এই কবিতাগুলা আমি ‘বিনয় মজুমদারের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ নামের একটা বইয়ে পড়ছি। উনার অনেক কবিতা অনেকবার পড়ছি। কিছু লাইন এখনো মনে আছে, যেমন ‘মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়’, ‘বালকের ঘুমের ভিতরে প্রস্রাব করার মতো অস্থানে বেদনা ঝরে যাবে’ এইরকম বেশ কয়েকটা। [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

‘অনুমান’ করি, বাংলাদেশে যাঁরা কবিতা লিখেন, তাঁরা এখনো উনার কবিতা মনোযোগ দিয়া পড়েন। পছন্দ করেন। ভালোবাসেন। আবৃত্তি করেন। ইত্যাদি।

আমি নিজে অনেকদিন ধইরা উনার কবিতা পড়ি না। তার মানে এই না যে, উনার চাইতে ‘ভালো’ বা ‘অন্যরকম’ কবিতা আমি লিখি। বরং, কবিতা লিখা ব্যাপারটা যে ‘এইরকম’ চিন্তার ভিতর একজিস্ট করে না, উনার কবিতা পড়ার অভিজ্ঞতা থিকা সেইটা আমি একভাবে শিখছি। দেখছি যে, উনার কবিতার যেইটা ‘রিয়ালিটি’, সেইটা এক ধরণের ‘ফ্যাণ্টাসি’ হিসাবে পারসিভ করতে পারেন, যাঁরা পড়বেন, উনার কবিতাগুলি।

Continue reading

চোর’রে আমার সালাম!

 

Facebook e torko kora moha genjamer kaaj. Ektar meaning arekta hoi. – Ritu Pakhi.

 

একটা ও আরেকটা

Sumon Rahman একটা নোট লিখছেন, অনেকে নোটটাতে লাইক দিছেন, কমেন্ট করছেন এবং নোটটা শেয়ার করছেন। সেইখানে একটা মন্তব্য করতে গিয়া Ritu Pakhi এই বাক্য দুইটা লিখছিলেন।

উনার এই ‘একটা’ কথার ‘আরেকটা’ অর্থ করার চেষ্টা করি।

‘meaning’ ত কখনোই একটা না; ‘একটা’ হওয়া তখনই সম্ভব, যখন সবাই ‘এক’ হয়া যাইবো; মানে, Ritu Pakhi’র কথা সবাই Ritu Pakhi’র মতোই ভাববো এবং পড়বো; এইটা ছাড়া ‘এক’ ঘটনা ‘এক’ হওয়া কেমনে সম্ভব?

যদি এইটা হয়ও সেইটা খুবই বাজে একটা ঘটনা হইবো। এই যে ‘আরেকটা’রে ঠেকাইতে চাওয়া, এইটা সব মানুষের চিন্তারে একই টাইপ করতে চাওয়ার আকাংখা, মিলিটারী-ভাবনা… হইতে পারে বর্তমান বাংলাদেশের কলাম-লেখকদের এক ধরণের বুদ্ধিজীবিতা।

Continue reading