ট্রুথ অ্যাবাউট উইম্যান অ্যান্ড ম্যান

দ্য ট্রুখ অ্যাবাউট ক্যাটস অ্যান্ড ডগস ক্যাটাগরি হিসাবে একটা রোমাণ্টিক কমেডি সিনেমা।[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

এই সিনেমা একটা কমন অ্যাজাম্পশনরেই পোর্টেট করে যে; যে মাইয়ার বুদ্ধি আছে শে সুন্দর হইতে পারে না আর যে মাইয়ার শরীরটা দেখতে সুন্দর, তার বুদ্ধি-শুদ্ধি একটু কম। হ্যোয়ারঅ্যাজ, নায়কের এইরকমের কোন সমস্যাই নাই। বুদ্ধি-শুদ্ধি থাকলে আছে না থাকলে নাই, চেহারা একটা হইলেই হইলো, সে যে প্রেমে পড়ছে এইটাই মোটামুটি তার যোগ্যতা হিসাবে এনাফ। মানে, মাইয়াদের এইরকমের ইনফিউরিটি নাই না, থাকতেই হবে; আর আপনি নায়ক হইলে এইটা আপনার থাকা বা না-থাকার কোন কোশ্চেন-ই নাই!

আরেকটা ব্যাপার হইলো, সুন্দর লাগা বা না-লাগাটা একটা সার্টেন ডিসট্যান্সেরও ঘটনা। খালি চোখের যেই ডিসট্যান্স সেইখানে এইটা দেখা যায় না, যখন কোন পাওয়ারফুল লেন্সের ভিতর দিয়া দেখবেন তখন ইনার বিউটিটা আপনি টের পাইবেন। খালি চোখে সেইটা দেখতে হইলে বার্গারে একস্ট্রা চিজের মতো এক স্লাইস প্রেম লাগবো। খালি চোখের সুন্দর, দূর থিকা বা কাছ থিকা দেখার সুন্দরের চাইতে ক্যামেরার সুন্দরের ডিফরেন্স আছে। আর এইটাই সত্যি। আমার চাইতে আমার ইমেজই সুন্দর বেশি। Continue reading

সিনেমার নায়িকারা হইলো সত্যিকারের নায়িকা

নটিংহিল হইলো আমার দেখা প্রথম হলিউডি সিনেমা যেইটা দেইখা ভালো লাগছিল। রোমান্টিক-কমেডি মুভি।

একটা সিনের কথা মনে আছে যেইখানে, নায়িকা’রে (সিনেমার নায়িকা বাই প্রফেশন নায়িকা) ফ্যামিলির লোকজনের সাথে পরিচয় করানোর লাইগা নায়ক নিয়া আসে। তখন তার বড়বইনের জামাই নায়করে জিগায় যে সে নায়িকার সাথে সেক্স করছে কিনা বা তারে মনে লইয়া মাস্টারবেট করছে কিনা। নায়ক অবশ্যই সাধারণ পুরুষ-মানুষ (আপনার আমার মতো, মানে আমরাই ধরেন), এইরকম বাজে কাজ করে না বা করলেও সে এইসব নিয়া বলাবলিটা পছন্দ করে না। সমাজে নায়িকার পারপাস কি এইগুলাই নাকি? যে তারে নিয়া খালি সেক্সের কথা চিন্তা করা যাইবো? এইটা যে যায় না, সেইটা অবশ্যই বলা হয়। কিন্তু এই যে বলা, এইটা দিয়া পারসেপশনটার (বা পারপাসটার) এগজিসটেন্সটাও রিভিল হয়া পড়ে।

এইটার চাইতেও ইন্টারেস্টিং হইলো নায়কের ছোট বইনের প্রেমিক যখন আসে, যে শেয়ার মার্কেটে কাজ করে। ভালোই টাকা-পয়সা, মানে যেইটা পায় সেইটা তার এক্সপেক্টশনের চাইতেও বেশি। সে যখন আসে তখন সে নায়িকারে নোটিস করতে পারে না, মনেহয়  তার টাকার লাইগাই। এইটা বোঝা যায় যখন সে তার পরিচয় দেয়। পরে নায়িকারে জিগায় যে শে কি করে আর যখন শুনে যে নায়িকা আসলে সিনেমায় নায়িকা-গিরি করে তখন খুচরা কিছু উপদেশ দেয়। তারপরে আসল কোশ্চেনটা করে। কত টাকা পায় শে, সিনেমা কইরা। যখন নায়িকা অংকটা বলে, তখন শেয়ার মার্কেটের রিয়েল ভ্যালু’টা সে বুঝতে পারে। এইটা অসাম একটা ব্যাপার। ডিরেক্টরও এই কমেডি সিনটাই ক্রিয়েট করতে চাইছিলেন। কালচারাল ইন্ড্রাষ্টির কাছে শেয়ার মার্কেট আসলেই কিচ্ছু না। শেয়ার মার্কেট ত কালাচারাল মার্কেটরে চালায় না, কালচারাল মার্কেটই শেয়ার মার্কেটরে চালায়। সাধারণ মানুষ যদি সিনেমার নায়িকারে না চিনতে পারে তাইলে সে আসলে সাধারণ পুরুষ-মানুষ হওয়ার যোগ্যতাও রাখে না। এর শাস্তি হিসাবে সিনেমার শেষে সেকেন্ড সাইড-নায়িকারেও সে পাইতে পারে না। Continue reading

সমাজের নৈতিকতাই হইলো আইনের রিয়ালিটি

এইটা নতুন কোন কথা না। জাস্ট আরেকবার বলা। এখনকার আওয়ামীলীগ সরকার যে অবৈধ, সেইটা যতোটা না আইনি রিয়ালিটি তার চাইতে সামাজিকভাবে অনেকবেশি অ-নৈতিক একটা ঘটনা। সমাজের এগজিস্টিং নৈতিকতার বেসিসেই আইনি রিয়ালিটিগুলা ক্রিয়েট হয়। এই কথাটা আবার মনে হইলো টু কিল অ্যা মকিংবার্ড সিনেমাটা দেইখা।

এইটা একটা ভালো-সিনেমা, যেইখানে সিনেমার ‘আইডিয়া’টা হাইরা গিয়াও জিইতা যাইতে পারে। কেয়ামত সে কেয়ামত তক-ও একটা ভালো-সিনেমা। কেয়ামত-এ যেইরকম নায়ক-নায়িকা মারা যাওয়ার পরেই ফিল করা যায়, প্রেম মরে না! সেইরকম মকিংবার্ড-এও টম রবিনসন’রে ডেপুটি শরিফ মাইরা ফেলার পরেই ফিল করা যায় যে, সব কালা-মানুষরাই খারাপ না!

মকিংবার্ডে আরোকিছু জিনিস আছে, ভালো-সিনেমা হওয়ার বাইরে। এইটা কালা-মানুষদেরকে সমাজে অ্যাকোমোডেড করার সাজেশন দেয় সামাজিক নৈতিকতার ধারণারে এক্সটেন্ড করার ভিতর দিয়া। মাইয়াদেরও ডিজায়ার আছে এবং পাগলরাও ভালো। এইরকম।

সিনেমাটা যারা দেখছেন বা উপন্যাসটা যারা পড়ছেন, তাদের কাহিনিটা জানা থাকার কথা। লিটারারি ফর্ম হিসাবে এইটা ‘যখন আমি বাচ্চা ছিলাম’ টাইপের ব্লগ-রচনা। তারপরও এইটার পুলিৎজার প্রাইজ পাওয়া, সিনেমা বানানো এবং হিট হওয়ার কারণ মেইনলি এই মামলার ঘটনাটাই। যেইখানে একজন কালা-বেটা’রে আসামি করা হইছে একজন শাদা-বেটি’রে রেপ করার অভিযোগে। আর যে বাচ্চা-মাইয়াটা কাহিনিটা বলতেছে তাঁর বাপ হইলো কালা-বেটার উকিল। এই সিনেমা পেশা হিসাবে ওকালতি’রেও মহান করতে পারার কথা। মামলার সময় উকিল, যে হইলো বাচ্চা-মাইয়াটা’র বাপ এবং তাঁর ও সিনেমার হিরো, দেখাইতে পারে যে, কালা-বেটাটার বামহাত অচল এবং সে ভালো-মানুষ। তারপরও সে শাদা-বেটিরে দোষী করে না কারণ শে একটা অপরাধবোধের জায়গা থাইকা বাঁচার লাইগা কালা-বেটারে অ্যাকুইজ করছে – অ্যাজ অ্যা হোয়াইটওমেন যেই ডিজায়ার তার থাকার কথা না, সেইটা তার ছিল। তারে আপনারা মাফ কইরা দিয়েন! Continue reading

বয়হুড: আম্রিকান ছেলেবেলা

 

স্ট্রেইট, লিনিয়ার কাহিনির একটা সিনেমা এইটা।

ফর্ম হিসাবে লিনিয়ারভাবে বলাটা অনেকসময়ই নন-লিনিয়ারের চাইতে বড় একটা জায়গারে এক্সপোজ করতে পারে। আর রিচার্ড লিংকলেটার এই ফর্মটার গুরু-টাইপের মানুষ। উনার বিফোর-ট্রিলজিতেও এইটা আছে। তবে বিফোরগুলা’র ফর্মের জোরটা হইলো ন্যারেটিভে। সিনেমা ভিজ্যুয়াল ফর্ম হিসাবে কতগুলা ইমেজই প্রডিউস করে; এই ইমেজগুলা নিজেদের দেখাইতে গিয়া আরোকিছু বলে, যা দেখায় খালি তার ভিতরেই আটকাইয়া থাকে না। বার্গম্যানের পারসোনা নিয়া জিজেক বলতেছিলেন, সিনেমার হিস্ট্রিতে সবচে ইরোটিক সিন হইলো যেইখানে নার্সটা অ্যাকট্রেসরে সী-বিচে একটা সেক্স-অর্গি’র কথা বলতেছিলো। খালি তার চেহারাটা, বলার ভঙ্গিটাই আছে সিনে; তার বলার ভিতর দিয়া যেইটা প্রডিউস হইতেছে, সেইটা অন্য আরেকটা কিছু! এই ন্যারেটিভের ফর্মটাই বিফোর ট্রিলজি’র জিনিস, নায়ক-নায়িকার (ট্রুলি, এরা নায়ক-নায়িকাই) কথার ভিতর দিয়া তাদেরকে দেখা যায়, যা দেখানো হইতেছে সেইটা অ্যাজ সাচ তেমন কোন জিনিস না বা কথার লাইগাই সিনগুলা ক্রিয়েট হইতেছে, এইরকম একস্ট্রিমও ভাবা যায়। বিফোর সানরাইজ-এ যে জায়গাগুলাতে নায়ক-নায়িকা যায়, শেষে ওই জায়গাগুলা আরেকবার দেখায়, মিনিংলেস প্লেইসেস ওইগুলা; বোঝা যায়। আর বিফোর সানসেট-এ মিনিংলেস জায়গাগুলা আগে দেখায়, পরে কী রকমের রোমাণ্টিক হইতে থাকে প্লেইসগুলা। এইটাও একটা লিনিয়ার ফর্ম। Continue reading

হায়দার; হ্যামলেট, টাবু এবং অডিপাস

ইন্তেকাম-এর থিকা আজাদি না মিললে রিয়েল আজাদি হাসিল করতে পারবা না – মনে হইতে পারে এই ডায়ালগ দিয়া হায়দার ইন্ডিয়া রাষ্ট্ররে সার্ভ করতে চাইছে। দয়ার লাঠি দিয়া মাইরা মরতে-চাওয়ার জীবনরে বাঁচানোর সাজেশন দিতেছে। তারপরও এই স্ট্রেইট রিডিংটা আসলে সিনেমার সাজেশন না। ডায়ালগটা দুইবার আছে। প্রথমে হায়দারের দাদায় কয়, পরে হায়দারের মা এইটার ইকো করে। ফার্স্ট অ্যাজ অ্যা ট্রাজেডী, দ্যান অ্যাজ অ্যা কমেডি; আর আপনি যখন মনে করতেছেন রিয়েল ইমপ্লিকেশনটা থার্ড টাইমে, তখন এইটা একটা প্রাকটিক্যাল ফার্সে পরিণত হইছে। শেষে, হায়দার যখন আর ইন্তেকাম নেয় না, তখন হায়দারের চাচা কয়, ইন্তেকাম নেও তুমি, আমারে মাইরা লাও। হায়দার আর তারে মারতে চায় না; সে তার বাপের কথা না শুইনা মা’র কথা শুনে। যদিও হ্যামলেটের নাকি ইম্প্রুভাইজেশন সিনেমাটা; তারপরও হায়দারের মা’র মরাটাই সলিউশন। এইটা খালি নারীর বেদনা না, তারেই যে স্যাক্রিফাইস করা লাগবো এই সাজেশনও আছে। কারণ দোষ ত তার, ভুল কইরা প্রেমে পড়ছে শে, ইনফরমেশন শে দিছে; সাফার ত শে-ই করবে! এইটা ছাড়া, ইন্ডিয়া-রাষ্ট্র ভারত-মাতা হয়া আমরারে বাঁচাইবো, সাউথ এশিয়ারে; এইরকম একটা মিনিংয়ের কথাও ভাবা যাইতে পারে। Continue reading