দহন এর দাহ্য পদার্থ

এইটা একটা সাংবাদিকতামূলক সিনেমা। মানে, সংবাদপত্রের নিউজ কিরকম হওয়া উচিত এইরকম সাজেশন ছাড়াও, দেখানোর ভঙ্গিমাটা – ইনডিভিজ্যুয়ালের গল্প এবং সাধারণের আবেগ, ফ্যাক্টস-অনুমান-নৈতিক সাজেশন এইরকম যে একটা ফর্মেশন সংবাদপত্রের/টিভি নিউজ/ভিউজের, সেইটা আছে। হইতে পারে যেহেতু কাহিনিটা নেয়া হইছে পত্রিকার নিউজ থিকা, এর প্যার্টানটাও বাই ডিফল্ট কিছুটা এমবেডেড হইছে। কিন্তু এর এসথেটিক্যাল আলোচনা দিয়া ত এর যে ইথিক্যাল আর্গুমেন্ট তারে এড়ানো যায় না।

এর যে ইথিক্যাল ইমপ্লিকেশন টু অডিয়েন্স সেইটা জাস্ট অ্যা পজ, একটা বিরতি’র মতো। কলকাতা শহরের মধ্যবিত্ত সমাজের সেক্সচুয়াল সিচুয়েশনের সম্ভাব্য সব এলিমেন্টই দেখানোর চেষ্টা হইছে যে, ‘নারী-কল্পনা’ই কিভাবে নারী’রে আরো বেশি কইরা ‘নারী’ বানায়া দিতেছে। কি কি ধরণের অবজেক্টিফিকেশন ঘটতে পারে এই সাবজেক্টের, তার ডিটেইলিংটা আছে।[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote] 

যেহেতু আর্ট হিসাবে সিনেমাটা তার অডিয়েন্সরে ইথিক্যালি এনগেজ করতে চায়, এইটা নতুন কোন ইথিকসের দিকেও নিয়া যাইতে পারতো। আসলে সমস্যাটা ত সবসময় ফিনিংশটা নিয়াই যে, কে কিভাবে দ্য এন্ড করতেছে। একটা ইথিক্যাল ইস্যু’র সলিউশন ঋতুপূর্ণ ঘোষ দিতেছেন প্রচলিত এসথেটিক্যালের প্যার্টানের ভিতর যেইটা দিয়া উনার ইথিক্যাল ইন্টারভেনশনটা আন্ডারমাইন্ড হইছে।

কিন্তু অ্যার্পাট ফ্রম দ্যাট, দর্শকের ‘চেতনা জাগ্রত করার’ যে মিশন ঋতুপূর্ণ ঘোষ নিছেন, সেইটাতে উনি সাকসেসফুল হইছেন। বিশেষ কইরা একটা সিনে উনি ত খুবই ক্লোজ, যখন হ্যাজব্যান্ডটা বউ’রে রেইপ করে, সে একইরকমের অবজেক্টিফিকশনের ভিতর দিয়াই ব্যাপারটারে সম্ভব কইরা তোলে, যেইটা মেট্রো-রেলষ্টেশনে’র তরুণেরা কইরা উঠতে পারছিলো। Continue reading

ঋতুপূর্ণ ঘোষই প্রথম সাকসেসফুললি সেক্স বেচতে পারছেন কলকাতার সিনেমায়

সিনেমার বাংলা নামটা হইলো, ‘দোসর’; ২০০৬ সালের সিনেমা। সম্ভবত ঋতুপূর্ণ ঘোষই প্রথম যিনি প্রমাণ করতে পারছেন যে, কলকাতার সিনেমাতে সেক্স একটা বেচার জিনিস… শুধুমাত্র কাহিনি হিসাবে না, ইমেজ হিসাবে; যে, কলকাতার সিনেমাতে সেক্স নিয়া আরো সরাসরি হওয়া পসিবল।

যেমন ধরেন, সৎজিত রায় তার পিকু’তে সেক্স’রে যেইভাবে দেখান সেইখানে দর্শক একটা বাচ্চা-ছেলে হিসাবে ধারণা করতে পারে বা শব্দ [অথবা নিরবতা, এই অর্থে যে ‘দ্য ইনোভেশন অফ লাইয়িং’ সিনেমাতে নায়ক যখন ডেটিংয়ের জন্য নায়িকারে আনতে যায় তার বাসায়, তখন নায়িকা উপরের ঘর থিকা বলে যে আসতেছি, তার কিছুক্ষণ পর নায়িকা নামে, নায়ক যখন তারে জিগায়, শে বলে যে আমি মাস্টারবেট করতেছিলাম, তুমি কি আমার আওয়াজ শুনতেছিলা নাকি, নায়ক বা দর্শক তখন সেই নিরবতারে সেক্সের আওয়াজ হিসাবে আইডেন্টিফাই করতে পারে] শুনতে পায় যে সেক্স হইতেছে। এমনিতে ইমেজ হিসাবে কোনকিছু নাই; বা বাপেরা মায়েরা সেক্স করে, আমরা (দর্শকরা) বাচ্চা হিসাবে তা জানতে পারি। কিন্তু ঋতুপূর্ণ ঘোষ দর্শকদেরকে অ্যাডাল্ট হইতে বলেন; বলেন যে, এইটা নিয়া আমরা কথা বলতে পারি ত! Continue reading

ব্লগার-চরিত্র

 

রিসেন্টলি হলিউডের দুইটা সিনেমা দেখছি। একটার নাম Contagion, আরেকটার নাম Larry Crowne.  দুইটাই মোটামুটি টাইপের সিনেমা; কোনটা যে বেশি বাজে, সেইটা নিয়া একটু কনফিউজডই আছি। কনটাজিউন’টা অনেকবেশি স্ট্রেইট-মিনিং’এর সিনেমা; গিনেথ প্যালেট্রো, কেট উইন্সলেট, ম্যাট ডেমন, জুড ল- এতগুলা নাম দেইখা কিনছিলাম আর ল্যারি ক্রাউন-এর জন্য ত জুলিয়া রবার্টস আর টম হ্যাকন্স-এর নামই এনাফ। [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

সিনেমা দুইটাতে একটা জিনিস চোখে পড়লো, যা আগে-দেখা সিনেমাগুলাতে দেখি নাই; সেইটা হইলো যে, দুইটাতেই ‘ব্লগার’ চরিত্র আছে।

কোন সামাজিক চরিত্ররে পপুলার মিডিয়া কিভাবে দেখতে চায়, সেইটার ভালো রিফ্লেকশন সম্ভবত সিনেমাতেই সবচে’ ভালোভাবে পাওয়া সম্ভব। যেমন ধরেন, আগের দিনের বাংলা-সিনেমায় টাকা-পয়সাওলা লোক মানেই ‘খারাপ’ কিংবা স্কুল-মাষ্টার মানেই ‘ভালো’ অথবা বাসার চাকর মানেই ‘বোকা’, ‘গ্রামের মানুষ’ মানে ‘সহজ সরল’ – এইরকমের ‘ডেফিনেশন’গুলা হাজির হইতে দেখতাম। হলিউডের সিনেমাতেও একটা সময় ভিলেনরা ছিলো ‘রাশিয়ার গুপ্তচর’। আর এখনকার সিনেমাগুলাতে ‘ব্লগার’ চরিত্রগুলারেও হয়তো আরো দেখা যাইবো।

হলিউডের সিনেমা ‘বর্তমান’রে ইনক্লুড করে বেশ ভালোভাবেই। কিন্তু এরপরে যেইটা করে, সেইটার একটা ‘ডেফিনেশন’ তৈরি করে, মানে খুব রিজিড না হইলেও, সেইটা আছে, এই সিনেমা দুইটাতে যেমন।

Continue reading

The tree of life/জীবনবৃক্ষ

১.

“তখন তুমি কই ছিলা, যখন আমি দুনিয়ার ভিত্তিগুলা রাখতেছিলাম?… যখন সকালবেলার তারাগুলা গাইতেছিল একসাথে, আর আল্লার বান্দারা সবাই আনন্দে চিৎকার করতেছিল?”  [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

 

এই লাইন কয়টা দিয়া সিনেমাটা শুরু হইছে।

 

এইটা আসলে সিনেমা না, স্ক্রিপ্টটা হয়তো একটা কবিতাই ছিল। খৃষ্ট-ধর্ম নিয়া লেখা কোন কবিতা।

 

শুরু থিকাই মন-খারাপ করার একটানা মিউজিক।

 

কিউরিয়াস কেইস অফ বেঞ্জামিন বাটন-এর ব্রাড পিট আর মিস্টিক রিভার-এর শন পেন।

 

দীর্ঘক্ষণ খালি অনুভূতিগুলার ফটোগ্রাফিক রিপ্রেজেন্টেশন।

Continue reading

দেব ডি.

দেব ডি. হইলো প্রথম সাকসেসফুল ব্লেন্ড হলিউডি ধারণা এবং বলিউডি এক্সপ্রেশন এর।

কিছুদিন ধইরাই সিনেমাটার গান দেখি; এওয়ার্ড ফাংশনগুলাতেও দেখি নমিনেশন পায়, দুই-একটা পুরস্কারও পায় ছোটখাট ক্যাটাগরিতে। আরো শুনলাম যে, দেবদাস ভার্সন; তখন আরো আগ্রহ হইলো। তো একদিন কিইনাই ফেললাম, ডিভিডি।

এক বসাতেই দেখা হয়া গেলো। এককথায় বলতে গেলে, আমি খুবই ইমপ্রেসড। দ্য ওয়ে দ্য স্টোরি ওয়াজ মোল্ড এবং রি-ক্রিয়েটেড, একটা উপভোগ্য ব্যাপার। Continue reading