

ডোপামিন
ডোপামিন, তুমি একস্ট্রিম
তোমারে নিতে পারতেছি না আর
ছোট ছোট কিক মারতেছো তুমি
যেন মায়ের পেটের ভিতর বাচ্চা
বাইর হয়া আসতে চায়…
ডোপামিন, লাশ হয়া পইড়া থাকবো একদিন
তুমি তো থাকবা না তখন
‘ডোপামিন, ডোপামিন…’
কাউরেই আমি আর ডাকবো না কোনদিন
শরীরের যন্ত্রণা নিয়া শরীর মইরা যাবে
জীবানু’র মতোন কিলবিল
মেটামরফসিস
প্রজাপতিগুলি শুয়াপোকা হয়া গুটলি পাকাবে
আমার লাশের শরীরে
ডোপামিন, তুমি কি থাইকা যাবা
আরো কয়েকটা দিন?
আঙুর
তোমার কথা ভাবতে ভাবতে
আঙুরফলগুলি হাসতে হাসতে পইচা গেলো,
মদ হইলো; সেই মদে মাতাল হইলো বাতাস
আর সে উড়ায়া নিয়া গেলো আরো আরো
আঙুর; মাটিতে জন্মাইলো আরো আরো
আঙুরগাছ, তারাও ছড়াইলো, পচলো…
তোমার ভাবনার ভিতর আমি এক লোভী শেয়াল
থাইকা গেলাম, তবু…
আঙুর ফল, তুমি হাসতেছো এখন, আবারও…
কাঁঠাল
গাছে গাছে কতো কাঁঠাল!
অথচ গোঁফ নাই কোন,
তেল দেয়ার…
সকাল
তোমার পায়ের উপড়ানো নখও নতুন হইয়া উঠবে
আমার শরীরের ফ্যাকাশে চামড়ার সাথে মিইশা যাবে তোমার দাঁতের দাগ
একই রাস্তায় বারবার হাঁটতে হাঁটতে ভুইলা যাবো
কখোন ঘটছিলো যে কি, কোনদিন, রাত তিনটায়…
ইন্ডিভিজ্যুয়াল টেররের ভিতর হারায়া যাবে
সোশ্যাল স্টিগমা
ঘুমের ভিতর দুঃস্বপ্নে চিল্লায়া উঠতে উঠতে
মনে হবে, এইসব কোনকিছুই তো আর ঘটতেছে না!
একটা আয়না,
আয়নার ভিতরে আটকা পড়ে আছি আমরা
বাইর হয়া আইসা হাসতেছি, বলতেছি
“কি যে সব মেটাফোরিক্যাল ব্যাপার-স্যাপার এইগুলি,
সত্যি তো আর না!”
একটা সকাল ডুবে যাইতেছে চা’য়ের কাপে
রইদ জাইগা উঠতেছে রাস্তায়…
যা কিছু আছে, যা কিছু নাই
কই যে ছিলো তারা, আর কই যে যাইতেছে
আমি ভাবতে চাই না আর তুমিও বললা,
“চলো, ভুইলাই যাই!”
অন্য আরো কতো কতো রিয়ালিটি আছে তো দুনিয়ায়
আর আমি ভাবতেছি,
এই একটু রইদের কণা, তোমার চুলের ডগায়
কেনো থাইকা গেলো না, আরেকটু সময়…