কবিতা: অগাস্ট, ২০১৮

আমরা সন্ধ্যাবেলা

আমরা সন্ধ্যাবেলা, আমরা বইসা থাকি
দেখি, রিকশা রাস্তায়, দেখি ট্রাফিক জ্যাম
লালমাটিয়া থিকা আদাবর পর্যন্ত যাইতে না যাইতেই
সূর্য ডুইবা যায়…

 

বিস্কুট

দাঁতে ও জিহ্বায় লাগার আগে
বিস্কুট,

মনেও তো তুমি থাকো!

 

জীবনানন্দ

যে জীবন গন্ডারের, যে জীবন শকুনের মানুষের সাথে তার হইতেছে দেখা…

Continue reading

কবিতা: জুলাই, ২০১৮

ডোপামিন

ডোপামিন, তুমি একস্ট্রিম
তোমারে নিতে পারতেছি না আর

ছোট ছোট কিক মারতেছো তুমি
যেন মায়ের পেটের ভিতর বাচ্চা
বাইর হয়া আসতে চায়…

ডোপামিন, লাশ হয়া পইড়া থাকবো একদিন
তুমি তো থাকবা না তখন

‘ডোপামিন, ডোপামিন…’
কাউরেই আমি আর ডাকবো না কোনদিন

শরীরের যন্ত্রণা নিয়া শরীর মইরা যাবে

জীবানু’র মতোন কিলবিল
মেটামরফসিস

প্রজাপতিগুলি শুয়াপোকা হয়া গুটলি পাকাবে

আমার লাশের শরীরে
ডোপামিন, তুমি কি থাইকা যাবা
আরো কয়েকটা দিন?

 

আঙুর

তোমার কথা ভাবতে ভাবতে
আঙুরফলগুলি হাসতে হাসতে পইচা গেলো,
মদ হইলো; সেই মদে মাতাল হইলো বাতাস
আর সে উড়ায়া নিয়া গেলো আরো আরো

আঙুর; মাটিতে জন্মাইলো আরো আরো
আঙুরগাছ, তারাও ছড়াইলো, পচলো…

তোমার ভাবনার ভিতর আমি এক লোভী শেয়াল
থাইকা গেলাম, তবু…

আঙুর ফল, তুমি হাসতেছো এখন, আবারও…

 

কাঁঠাল

গাছে গাছে কতো কাঁঠাল!

অথচ গোঁফ নাই কোন,
তেল দেয়ার…

 

 

সকাল

তোমার পায়ের উপড়ানো নখও নতুন হইয়া উঠবে
আমার শরীরের ফ্যাকাশে চামড়ার সাথে মিইশা যাবে তোমার দাঁতের দাগ

একই রাস্তায় বারবার হাঁটতে হাঁটতে ভুইলা যাবো
কখোন ঘটছিলো যে কি, কোনদিন, রাত তিনটায়…

ইন্ডিভিজ্যুয়াল টেররের ভিতর হারায়া যাবে
সোশ্যাল স্টিগমা

ঘুমের ভিতর দুঃস্বপ্নে চিল্লায়া উঠতে উঠতে
মনে হবে, এইসব কোনকিছুই তো আর ঘটতেছে না!

একটা আয়না,
আয়নার ভিতরে আটকা পড়ে আছি আমরা

বাইর হয়া আইসা হাসতেছি, বলতেছি
“কি যে সব মেটাফোরিক্যাল ব্যাপার-স্যাপার এইগুলি,
সত্যি তো আর না!”

একটা সকাল ডুবে যাইতেছে চা’য়ের কাপে
রইদ জাইগা উঠতেছে রাস্তায়…

যা কিছু আছে, যা কিছু নাই

কই যে ছিলো তারা, আর কই যে যাইতেছে

আমি ভাবতে চাই না আর তুমিও বললা,
“চলো, ভুইলাই যাই!”

অন্য আরো কতো কতো রিয়ালিটি আছে তো দুনিয়ায়

আর আমি ভাবতেছি,
এই একটু রইদের কণা, তোমার চুলের ডগায়
কেনো থাইকা গেলো না, আরেকটু সময়…

 

Continue reading

কবিতা: জুন, ২০১৮

ইনসেইন

আমি আবার গিয়া বসছি তোমার কাছে। তুমি আবার চেইতা রইছো। আমি কিছু বুঝতেছি না। বুঝতেছি না যেহেতু আমারও চেত উঠতেছে। কিন্তু রাগারাগি’টা করতে পারতেছি না আমরা। যেহেতু বাইরে। যেহেতু আরো মানুষ-জনও আছে আমাদের সাথে। তুমি আড্ডা দিতেছো, তোমার ফ্রেন্ডদের লগে। পরে তোমার ফ্রেন্ডদেরকে বলবা, কি রকমের একটা বাজে লোক, জানোস তো না! কিন্তু সামনাসামনি কিছুই বলা যাইতেছে না। আমিও খোঁচা দেয়ার কোন চান্স খুঁইজা পাইতেছি না। এইদিকে বিকাল হয়া যাইতেছে সন্ধ্যা। রাত হইতেছে। আমাদের ঝগড়া’টা আমরা শুরু করতে চাইতেছি আবার। শুরু’র আগে, আমি গিয়া বসছি তোমার কাছে। তুমি ভাব নিয়া বইসা আছো। আর যেহেতু তুমি পাত্তা দিতেছো না, আমি কি ঠিক আমি কিনা সেইটাই আমি বুঝতে পারতেছি না। তোমার কনফার্মেশনের লাইগা বইসা রইছি। তুমি কখোন তাকাবা, আর আমি তোমার চোখের দিকে তাকায়া বুঝতে পারবো যে, এই আমি’টা আমি-ই কিনা। তুমি তাকাইতেছো না। আমি কনফিউজড। ঝগড়াটা কি আমরা শুরু করবো না? আবার?

 

ডোপামিন

অনেক অনেক ডোপামিন জমা হইলো;

অনেক অনেক ডোপামিন
বারুদে আগুন ধরাই, আসো

বৃষ্টির পানিতে ভিইজা যাওয়ার আগে
বৃষ্টির ধারণার ভিতরে পোতাইয়া যাওয়ার আগে

আমার ডোপামিন,
ডোপামিন তুমি
থাকো;

মগজের ভিতর কিলবিল
নড়তে থাকা কেঁচো, মাটিতে সার যেমন
ফার্টাইল করতে আছো

একটা বীজ আসে বাতাসে,
তুমি তারে গাছ বানায়া ফেলো
ধীরে ধীরে, শরীরে বাসা বানায় সে

ডোপামিন, টের পাই তখন
তুমি আছো

আমার ডোপামিন
ডোপামিন তুমি
ওভার-ডোজড

একদিন মাইরাই ফেলবা, তবু…

 

হেলাল হাফিজ

এই নাও একটা লাইক, তোমাকে দিলাম

Continue reading

কবিতা: মে, ২০১৮

সত্যি কথা

বলার ভিতর দিয়া যেই সত্যি বাইর হইলো
আন্ধারে একটা কালা বিলাইয়ের মতোন

হাঁইটা গেলো শে

 

তুমি হাসলা

আসো, কোন এক ইউরোপিয়ান ফিল্মের সিন হইয়া বইসা থাকি,
যেন কথা কইতেছি আমরা

অথচ ইংলিশ সাবটাইটেল ছাড়া কিছু বুঝতেই পারতেছি না

তুমি বলতেছো, ঠিক মতো ট্রান্সলেট করতে পারতেছো তো তুমি?

আমি তো এমনেই কনফিউজড, কইলাম
যারা দেখতেছে অরা কেউ তো আর এই ভাষা জানে না,
বা ধরো জানলোই,
ভুলভাল কথা কইতে পারবো না আমরা?

তুমি হাসলা,
যেন বাচ্চা ছেলের কান্ড মাফ কইরা দিলা…

তোমার হাসিও ট্রান্সলেট হইলো

কোন এক ইউরোপিয়ান ফিল্মের সিন হইয়া

 

In a Baudrillard’s world

U travel from simulation to an absence.
I travel from Ur absence to a simulation.

Continue reading

তুমি U, আমি I

ফান কইরাই লিখতেছিলাম মনেহয়, এইরকম একটা ফরম্যাটে। যেহেতু ফান, সিরিয়াসও হয়া যাইতেছিলো মনেহয় একটা সময়। এরপরে একইরকম, ক্লান্তিকর। তারপরে মেবি, জঘন্য। মনে হইলেও লিখতে ইচ্ছা হয় না আর। মাঝে-মধ্যে মনে হয়। এরপরে মনে হইলে, খারাপই লাগে। মনেহয়, লেখালেখি শেষ হইছে একরকম। ইচ্ছা হইলে পরে আবার কোন সময় লিখবো নে। লেইখা আর কি হয়, বাল! লেখার ভিতর কিছুই থাকে না।

২.
তো, লেখছিলাম যেহেতু, থাকলো একসাথে। একটা ব্যক্তিগত এপিটাফ।

৩.
মুশকিল হইলো লাইফটা লেখার মতো না যে, চাইলেই থামায়া দেয়া যায়। লেখাগুলিও লাইফের মতো না যে, চালায়া নেয়া যায়। যে যার মতো শুরু হয়, শেষ হয়। কিন্তু একটা মানুষের লাইফ বা লেখালেখিও কারো মেমোরি’তে আটকাইয়া থাকা কোন জিনিস না।

যে কোন তুমি আর যে কোন আমি থিকা যে কোন আমরা শুরু হইতে পারে তো, যে কোন সময়।
…………………………………………………………..
১.
তুমি মঙ্গোলিয়া, আমি উলানবাটোর
২.
তুমি U, আমি I
৩.
তুমি রিয়ালিটি, আমি ইমাজিনেশন
৪.
তুমি কোশ্চেন-মার্ক, আমি এক্সক্লামেটারি
৫.
তুমি বাচ্চা, আমি পুতুল
৬.
তুমি ইয়েলো, আমি ডার্ক
৭.
তুমি লাইফ, আমি টেক্সট
৮.
তুমি ল্যাক্সোটনিল, আমি নাপা
৯.
তুমি ইগো, আমি এগজিসটেন্স
১০.
তুমি বিলের পাড়, আমি তালগাছ
১১.
তুমি এক্সপেরিয়েন্স, আমি ইমাজিনেশন
১২.
তুমি আত্মা, আমি শরীর
Continue reading