ড্রাফটস: ফেব্রুয়ারি, ২০১৭।

ভাবতেছিলাম…

‍‍ভঙ্গিমাগুলিই তো গান!

কি কি জানি কইয়া তোমারে আমি কি কি জানি বুঝাইতে চাইলাম
কি কি জানি কইতে কইতে আমারে আমি কি কি জানি না কইতে চাইলাম

একটা ফর্মের বাইরে আইসা আরেকটা ফর্মের ভিতরই দাঁড়াইলাম

জাইনা ফেলার মতো একট অন্ধকার অন্য মানুষদের মতোন আমরারে পইড়া ফেলতেছে

আমরা তো যাইতে চাইতেছি না কোথাও!

ফুটপাতে দাঁড়ায়া রইছি, শীতের বাতাসের তো এতো জোর নাই যে
উপড়াইয়া ফেলবে আমরা’রে ছোট দুইটা গাছের মতোন…

ঝড়-বাদলের দিন আসলে তখন দেখবো নে!

অথবা তার আগেই, আমরা যে দাঁড়ায়া ছিলাম
নিজেদের থাকাটারে নিতে পারতেছিলাম না আর আমরাই,
অনেক অনেক ব্যাঁকা-ত্যারা অনেককিছুই ভাবতেছিলাম,

ভাবতেছিলাম (যেন ভাবতে পারাটাই বাঁচায়া ফেলতে পারে আমরা’রে, এইরকম কইরা) যে,
ভঙ্গিমাগুলিই তো গান!

Continue reading

ড্রাফটস: জানুয়ারি, ২০১৭

তুমিআমি

একটা রিয়ালিটি থিকা আরেকটা রিয়ালিটিতে যাই
পথের ধুলায় তোমারে হারাই;

আরেকটা রিয়ালিটি’তে গিয়া মনেহয় এইটা বা এইটা হয়তো তুমি,
একটা চিনামাটির চায়ের কেটলি
একটা গ্রে কালারের শেড, এক টুকরা আকাশ

তারপর দেখি কেউ হেঁটে আসতেছে…

কেউ রাস্তা পার হয়া চলে যাইতেছে…

কুয়াশার মতো
একটা দৃশ্যের পরে চলে আসতেছে আরেকটা দৃশ্যের দেয়াল

আমি তো উথাল-পাতাল, খুঁজতেছি
‘কই তুমি? কই তুমি?’

একটা হাত তোমার আমার গালে
বলতেছো, ‘চলেই তো যাবা তুমি…’

আরেকটা রিয়ালিটিতে আমি নাই কোন
তুমি বইসা আছো আর হয়তো ভাবতেছো আমার কথাই…

একটা রিয়ালিটি থিকা আরেকটা রিয়ালিটিতে যাই
পথের ধুলায় তোমারে হারাইয়া ফেলি

 

এরিয়েল

যেন একটা পাগলা বাতাস শে, উল্টাইলো-পাল্টাইলো
ঘুইরা বেড়াইলো শরীরে আমার; কইলো,
থাকো! থাকো!

Continue reading

নির্বাসনের চিঠি – লি পো (এজরা পাউন্ড)

রাকুহো’র সো-কিন, পুরানা বন্ধু, আমি তোমারে মনে করতেছি এখন
তুমি যে স্পেশাল একটা শুঁড়িখানা বানায়া দিছিলা আমারে

ব্রীজের দক্ষিণ পাশে, টেন-শিনে, তার কথা।

হলুদ সোনা আর শাদা মুক্তা দিয়া
গানগুলি আর হাসিগুলির লাইগা টাকা দিতাম আমরা,
আর মাসের পর মাস মদ খাইতাম,
রাজা-বাদশাদের কথা ভুইলা গিয়া।
বুদ্ধিমান লোকেরা আসতো ভাইসা, সাগর থিকা
আর পশ্চিমের বর্ডার দিয়া,
আর ওদের লগে, আর স্পেশালি তোমার লগে,
কোন লেনদেন তো ছিলো না আমার;
আর সাগর পাড়ি দিয়া বা পাহাড় ডিঙায়া
অরা তো পাইতো না কিছুই

যদি অরা খালি দোস্তিটা না পাইতো আমরার।

আমরা কইতাম আমরা’র হৃদয়ের আর মনের কথা

কইতাম কোন পস্তানি ছাড়া।

আর তারপরে আমারে পাঠাইয়া দিলো সাউথ উই’য়ে,
দম আটকাইয়া আসা লরেলের উদ্যানে,
আর তোমারে পাঠায়া দিলো রোকো-হোকো’র উত্তরে
যদিও আমরার আর কিছুই নাই আমাদের ভিতরের চিন্তাগুলি আর মেমোরিগুলি ছাড়া।

Continue reading

ডিসেম্বর ড্রাফটস: ২০১৬।

#হেই #হ্যালো #হেলাউ

কই জানি, কই?
একটা ঝাঁকের কই, জিগাইলো এই কথা

বৃন্দাবনে সই।

 

‘শতফুল ফুটতে দিন!’

১.
শতফুল’রে শত ফুল বলবা না
বলবা, একশ ফুল

আটানব্বই, নিরানব্বই বা একশ এক দুইও
হইতে পারে তো

তখন শতেক বার ভাইবা
মনে হবে, একশ কইলেই
ভালো ছিল মনেহয়

২.
আমি নই তোমার কাউন্ট
মেডিভেল ইংল্যান্ডের নভেলের কোন নায়িকারে কইলাম,
কাউন্টার রেভিউলেশনেই মানুষ মরছিলো বেশি
এইজন্য এইসব বাদ দিছি

পাহাড়ে থাকতে আসছি

কাঠের ঘরে বইসা সূর্য দেখি
ঘাসগুলি, পাতাগুলি গাছের, নড়েচড়ে
গে কোন প্রতিভা নাই অরা’র?
কেন খালি জন্মাইতেই হবে?

৩.
লম্বা একটা লাইনের শেষে একটা ফোটা একটা বিন্দু সইরা গেছে
কানেক্ট হইতে পারতেছে না

৪.
আমি তোমার ভেড়ার রাখাল
যেই তুমি বাঘ, তার কল্পনা
তুমি আসতেছো ভ্যালির ওই পার থিকা

তোমারে আমি দেখতেছি না

তাকায়া আছি ঘাসগুলির মতোন

সূর্য ডুইবা গেলে
আর তো দেখতেও পারবো না Continue reading

নীলপাখি – চালর্স বুরোস্কি

আমার অন্তরে আছে এক নীলপাখি
যে বাইর হয়া যাইতে চায় খালি
কিন্তু আমি দেই না তারে
আমি কই, থাকো তুমি, আর কাউরেই তো
দেখতে দিবো না
তোমারে।

আমার অন্তরে আছে এক নীলপাখি
যে বাইর হয়া যাইতে চায় খালি
কিন্তু আমি তার মুখে হুইস্কি ঢাইলা দেই আর খাওয়াই
সিগ্রেটের ধোঁয়া
আর মাগিগুলা আর বারটেন্ডাররা
আর মুদি দোকানের কেরাণীগুলা
কখনোই জানে না যে
সে
আছে এইখানে।

আমার অন্তরে আছে এক নীলপাখি
যে বাইর হয়া যাইতে চায় খালি
কিন্তু আমি দেই না তারে
আমি কই,
থাকো না, তুমি কি আমার লগে
কাইজ্জা করতে চাও?
নষ্ট করতে চাও তুমি
কাজগুলা?
তুমি কি চাও আমার বইয়ের বেচা কইমা যাক
ইউরোপে? Continue reading