প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় একটা নাটক করতাম আমরা। নাটকের কাহিনিটা ছিল এইরকমের যে, গ্রামে (হায় অশিক্ষিত গ্রাম!) দুইটা পাড়াতে দুইটা স্কুলে দুইজন টিচার আছেন; দুই পাড়ার লোকজনেরই ধারণা যে তাঁদের পাড়ার স্কুলের টিচার-ই বেশি জ্ঞানী, বেশি জানেন। এই নিয়া ঝগড়া-টগড়াও হয়। পরে, সবাই মিইলা ঠিক করেন যে, সবার সামনেই কম্পিটিশন হবে। তো, একটা নির্দিষ্ট ডেইটে, নির্দিষ্ট টাইমে, নির্দিষ্ট প্লেইসে দুইজন টিচারসহ গ্রামের সব লোকেরা আসেন, গোল কইরা দাঁড়ান এবং বসেন। মাঝখানে দুইজন টিচার থাকেন। কম্পিটিশনটা হয় ইংরেজি জানা নিয়া-ই। একজন টিচার খুব খটোমটো টাইপের একটা ইংরেজি’র মানে জিগান; ধরেন, ‘circumstance’ [মানে, ক্লাস থ্রি/ফোর’রে পড়ার সময় কঠিন-ই আছিলো মনেহয় এই শব্দটা]; তো সেকেন্ড জন এইটার উত্তর দেন, ধরেন ‘পরিস্থিতি’ [মানে, এইটা বাংলা হিসাবেও প্রায় সেইম লেবেলেরই কঠিন]; গ্রামের লোকজন তো জানে না ঠিক হইছে কিনা; কিন্তু যিনি কোশ্চেন করছিলেন, তিনি মাইনা নেন বইলা সবাই বুঝতে পারে যে ঠিকই হইছে। তখন যিনি উত্তর দিছিলেন উনি ‘I don’t know’র বাংলা করতে বলেন। যাঁরে জিগানো হইলো, তিনি এক সেকেন্ডও দেরি না কইরা উত্তর দেন, ‘আমি জানি না।’ এইবার গ্রামের লোকজন আর ওয়েট করে না; তিনি তো বইলাই দিছেন যে, জানেন না; সো, সবাই তাঁর জানা’র ব্যাপারে একটা ফয়সালা করতে পারে, নিজেদের জানা দিয়া। রিয়েল মিনিং আর কনটেক্সটুয়াল মিনিং এক হয়া যাইতে পারে।
ব্যাপারটা খুবই ইন্টারেস্টিং। আমাদের এই যে, ‘জানা’ এইটা ভাষার ভিতর দিয়া ঘটতেছে। ‘জানি না’রে যে আমরা ‘জানি না’ বইলা জানি, এইটা ভাষাই। হোয়াট ইফ, ‘জানি না’রে আমরা জানতে পারি একটা ‘জানা’ হিসাবেই। মানে, এইরকম জানেন তো অনেক মানুষ। যেহেতু আমি জানি না, এইটা আর এগজিস্টই করে না, এইরকম। ‘lie’ মানে তো মিথ্যা বলা, ‘lie’ মানে শুইয়া থাকাও। মানে, কনটেক্সট’টাই একটা সেকেন্ড মিনিং পয়দা করতেছে; ভাষা ইটসেলফই এনাফ না। চোখ বন্ধ কইরা আমরা মিথ্যা কথা বলতে পারি আবার চোখ বন্ধ কইরা শুইয়াও থাকতে পারি। এই পারা আর না-পারাগুলি পসিবল হইতেছে একইসাথে; যা কিছু আছে বা ঘটতেছে, তার একসেস একটাকিছু পয়দা হইতেছে। ভাষার পারপাসটা ওইখানেই যেইখানে রিয়েল মিনিংয়ের বাইরে গিয়া একটা এক্সটেনশনরে প্রপোজ করতে পারতেছে।
‘আমি জানি না’ মানে একটা না-জানা-ই; এরপরে এইটা যে একটা জানাও, এই আনন্দ ভাষা ছাড়া আর কই আমরা পাবো। এই কারণে অ্যাকশন বা করাটা এনাফ না। ব্যাপারটা ঘটতে থাকে তখনই যখন আমরা বলতে শুরু করি। টু একসেস (access) দ্য লাইফ ইউ রিকোয়ার সাম লেবেল অফ একসেস (excess); ভাষা হইলো সেই ঘটনা, যেইখানে আমরা এই এক্সারসাইজটা করতে পারি, এন্ডলেসলি।
লাইফ কি জিনিস সেইটা আমি জানি না না; মানে, উইথইন আওয়ার ল্যাঙ্গুয়েজ এই ‘জানা’টা না-জানার একটা জানা-ই।
Leave a Reply