Karnan না দেইখা তো আর থাকা গেল না!
ভাল্লাগছে সিনেমাটা। এখন আমার যা হয়, সিনেমার টেকনিক্যালিটির চাইতে কাহিনির সোশ্যাল রিলিভেন্সের দিকে নজর বেশি যায়। তো, তিনটা ঘটনার কথা বলি। (স্পয়লার থাকবে একটু।)
এক নাম্বার ঘটনা হইলো, মিলিটারিতে ভর্তি-পরীক্ষা দিয়া বাসে যখন ফিরতে নেয় নায়ক-নায়িকা, তখন বাস-কন্টাক্টার যে অদের গ্রামের নামে যে গ্রাম আছে, সেইটাই মানতে চায় না। কয়, আরে এই নামে কোন গ্রাম আছে নাকি! এই-সেই। তো, দেখেন, ব্যাপার’টা “ক্যান সাব-অল্টার্ন স্পিক?” না, বরং আপনি-আমি তো নাই আসলে। আমরা যত কথাই বলি, জীবন দিয়া দিলেও কিছু যায় আসে না। ইনসিগনিফেকেন্সের লেভেলটা এইরকমের।
সেকেন্ড ঘটনা হইলো, কাবাডি খেলাতে রেফারি যে দুই নাম্বারিটা করে, তখন নায়ক যে খেইপা যায়; তখন নায়করে দোষ দেয় সবাই। যে, সে এইটা মাইনা নেয় না কেন! মানে, বাটপার বাটপারি করবে, আর সেইটা আপনে বলতেও পারবেন না। বলতে গেলে, দোষ আপনার। তো, পরিচিত লাগতেছে ব্যাপার’টা, কিছুটা? 😛
থার্ড হইলো, পুলিশ যে কয়, ঠিকাছে, বাস-মালিক মামলা তুলে নিছে, কিন্তু থানা’তে গিয়া একটা স্টেটম্যান্ট দেয়া লাগবো। অইটা হইতেছে ট্রিক’টা। এইটা মনে রাখবেন, শয়তানের লগে কোন নেগোশিয়েশন করা তো দূর কি বাত, শয়তান থিকা সবসময় দশ হাত দূরে থাকবেন। চাল দিয়া, ট্রিকস কইরা, ষড়যন্ত্র কইরা শয়তানের মোকাবেলা হয় না। জিতেন আর হারেন শয়তানের লগে সবসময় ফাইটই করতে হয়। এইটা ছাড়া অন্য কোন রাস্তা নাই।
তো, অবভিয়াসলি এইগুলা এই সিনেমার ‘শিক্ষা’ না 🙂 এর বাইরেও আরো অনেক কাহিনি আছে।
২.
দুইটা মুশকিলের কথাও বলি। নায়ক দিয়া আসলে হবে না! 🙁 আর ট্রাডিশনাল ইমেজগুলা কানেক্ট করতে হেল্প করে, কিন্তু অইটা আবার এস্থেটিক্যাল সাবমিশনের লাগেজগুলারেও ক্যারি করে। তবে অই জিনিসগুলা যে ডমিনেন্টিং হয়া উঠতে পারে নাই, এইটা ভালো ঘটনাই।
৩.
আরেকটা জিনিস কি খেয়াল করছেন এই সিনেমা, সালমান খান আর অজয় দেবগনের পুলিশি-মাস্তানির ন্যারেটিভ’টারে যে বাতিল কইরা দেয়? 🙂
এই নর্থ-ইন্ডিয়ান ইন্ডিয়া রাষ্ট্ররে সাউথ-ইন্ডিয়ান’রা কখনোই কেয়ার করে নাই। ১৯৪৭’র পরে দিল্লী’র লোকজন যখন হিন্দিরে ইন্ডিয়ার রাষ্ট্রভাষা করতে নিছিল তামিলনাডু আর মাদরাজে ফার্স্টেই মানে নাই। এই না-মানা’র জায়গাটা ধইরা না রাখলে হবে না বস!
Leave a Reply