নোটস: অক্টোবর, ২০২২ [পার্ট ১]

অক্টোবর ০১, ২০২২

ফেস্টিভল হিসাবে দুর্গাপূজা কবে থিকা শুরু হইছে বাংলাদেশে? ১৬১০ সালে কলকাতার একটা রেফারেন্স পাইলাম, তারপরে ১৭৫৭ সালে, কলকাতায় রাজা নবকৃষ্ণ দেব লর্ড ক্লাইভের সম্মানে “বিজয়-উৎসব”-এর আয়োজন করছিলেন। মানে, এইটা ব্রিটিশ-বাংলার সময়ের ঘটনা, এই দুর্গাপূজার ফেস্টিভল’টা। [“পহেলা বৈশাখ উদযাপন” যেইরকম কম-বেশি ১৯৮০’র দশকের ঘটনা, ঢাকা শহরের। এর আগে ছিল চৈত্র-সংক্রান্তির মেলা।…]

বাংলাদেশে যতদূর জানি, কালী পূজা বেশি হইতো, পুরান কালী মন্দিরও দেখছি অনেক… দুর্গাপূজা ফার্স্ট কবে হইছে, সেইটার কোন কথা কোথাও পাইতেছি না।

তাই বইলা দুর্গাপূজা করা যাবে না – এই কনক্লোশন কেউ ড্র কইরেন না প্লিজ। আমি বলতে চাইতেছি, দুর্গাপূজা “হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির” কোন ঘটনা না মেবি; মানে, এর পক্ষে কোন তথ্য-প্রমাণ আমি পাইতেছি না। মিথ তো পুরানাই, কিন্তু ফেস্টিভল হিসাবে চালু হওয়ার ব্যাপারটা ব্রিটিশ আমলেরই ঘটনা। আর এইটা যে আমরা কম-বেশি জানি না – তা না, বরং এই জিনিসটা আমাদের বলাবলির মধ্যে নাই।

২০১২ সালের হিন্দি-সিনেমা “কাহানি” সিনেমা নিয়া লেখছিলাম একবার (এখন খুঁজে পাইতেছি না লেখাটা), যে সিনেমার ১৬ মিনিটের সময় আছে ডায়ালগ’টা, যখন বিদ্যা বালনরে হোটেলে পৌঁছায়া দিতে যাইতেছে পুলিশ-অফিসার তখন জিগাইতেছে, ও আপনি, দুর্গাপূজার কথা জানেন? বিদ্যা বালন কয়, জামাই বাঙালি, দুর্গাপূজার কথা জানবো না!

মানে, দেখেন, বাঙালি নেসেসারিলি হইতেছে হিন্দু, আলাদা কইরা বলা লাগে না কিন্তু! বাঙালি কইলেই হয়। ব্যাপারটা এতোটাই অটোমেটিক। যদি বাঙালি-হিন্দু বলেন, তাইলে বরং বাড়তি লাগতে পারে। বা যদি হিন্দু বলেন, ইন্ডিয়ার অন্য হিন্দুরা দুর্গাপূজা এতোটা করে না তো!
আমি বলতে চাইতেছি, বলা এবং না-বলার কিছু সিগনিফিকেন্স এইখানে আছে।

***

প্যারেন্টিং নিয়া অনেক লেখা-পত্র চোখে পড়ছে আমার। অনেক বই-পত্র থাকার কথা, যে বাচ্চাদের লগে কি কি করা যাবে, কি কি করা যাবে না, এইরকম। ত্রিভুজ আলম একটা লেখতেছেন, অইটাও পড়ছি কিছু। ইন্টারেস্টিং লেখা।

কিন্তু আমি ভাবতেছিলাম, বই বা সাজেশন আসলে দরকার সেই মা-বাপদের জন্য, যাদের বাচ্চা-কাচ্চারা টিনএজার, ইয়াং-এডাল্ট। মানে, এই বয়সটাতে আইসা ডিটাচমেন্ট’টার শুরু হয় মা-বাপদের সাথে ছেলে-মেয়েদের। ধরেন, ১৩-১৪ টু ২৪-২৫, এইরকম এইজটা। আমার মনে হইছে, মা-বাপ’রা সবচে বেশি পাজলড থাকেন তাদের বাচ্চাদের এই বয়সটাতে।

হাউ টু লেট গো! কেমনে ছাইড়া দিতে হবে! এইটা মেবি সবচে ক্রুশিয়াল পার্ট প্যারেন্টিংয়ের! (মেবি যে কোন রিলেশনেরই।)

Continue reading

নোটস: সেপ্টেম্বর, ২০২২ [পার্ট ২]

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২

ঢাকা শহরে অনেকগুলা সুপার-স্টোরের চালু হওয়া এবং ক্লোজ হওয়া দেখছি আমি। এর মধ্যে সবচে রিমার্কেবল লাগছিল – “সাদ-মুসা সিটি” নামে একটা। হিউজ পার্কিং স্পেইস ছিল। নিচতলায় মাছ-মাংস, শাক-সব্জি থিকা শুরু কইরা বেডশিট, জামা-কাপড়, মোটামুটি সবকিছু, একটা শপিং-মলে যা যা কিছু থাকতে পারে। দোতলায় গেমিং-জোন। তিনতলায় রেস্টুরেন্ট, বাচ্চাদের খেলার জায়গা। পুরা একটা আমেরিকান-ড্রিম। কিন্তু অই দোকানও কয়েক বছরের মধ্যে ক্লোজ হয়া গেছিল, বা কেউ যাইতো না আর তেমন।

যখন পতনের দিন শুরু হইলো, মালিক-পক্ষ মেবি শুরুতেই ম্যানেজারদের, স্টাফদের চাকরি খাইয়া দিছিলো; নতুন একটা সেট আসলো, যাদের কোয়ালিটি আসলে আগের লোকজনের চাইতে বাজে, মানে অরা জিনিসপত্র কিছু জানতো না, কিছু কইলে দেখায়া দিতে পারতো না, আর ফ্লোর ম্যানেজার যে ছিল স্টাফদেরকে কাস্টমারদের সামনেই বকাবকি করতো। মানে, ড্রিমটা একটা নাইটমেয়ারে পরিণত হইছিল। দোকানটা এখন আছে কিনা জানি না, কিন্তু অনেক বছর আগে শেষবার যখন গেছিলাম পুরা ভূতুড়ে একটা অবস্থা ছিল জায়গাটা। (এখন নিশ্চয় অন্য কোন কিছু হইছে।)

তো, জায়গাটা এই কারণে ফ্লপ করে নাই যে, লোকজন ঠিকমতো কাজ করতো না, বা সাপ্লাই-চেইন কাজ করে নাই; জিনিসপত্রের দাম তো একটু বেশি ছিলই কিন্তু অইটুক প্রিমিয়াম দিতে রাজি ছিলেন অনেক কাস্টমার। মেইন ঝামেলাটা হইছিল ফ্লাইওভারটা (বসুন্ধরা গেইট থিকা ৩০০ ফিট যাওয়ার পথে) হওয়ার সময়ে। নিচ দিয়া যাওয়ার রোড’টা ভালোই ছিল, গাড়ি নিয়া যাওয়া যাইতো, কিন্তু ফ্লাইওভারের কাজ চলার সময়ে নিচের রোডটাই বন্ধ হয়া গেছিল, প্রাইভেট কার নিয়া যাওয়া যাইতো না। যার ফলে কাস্টমারদের যাওয়ার রাস্তাই বন্ধ হয়া গেছিল। এখন মানুশ যদি দোকানে না-ই যাইতে পারে, কিনবে কেমনে!

যেমন ধরেন, বাংলাদেশের মানুশ-জন যে বাংলাদেশের টিভি-চ্যানেলগুলা দেখে না, এই কারণে যদি নিউজ-প্রেজেন্টারদের দোষ দেন, যে অদের চেহারা সুন্দর না, বা জার্নালিস্টরা ভালো নিউজ লেখতে পারে না – তাইলে অই সাদ-মুসা সিটি’র মতোই ঘটনা হবে।
মেইন সমস্যা হইতেছে, মিছা-কথা, আজাইরা-কথা মানুশ আর কতোদিন দেখবে!

মানে, এইটা তো রাইটারদের সমস্যা না! যে, গর্ভমেন্টের পক্ষে ইন্টার-ন্যাশনাল পত্র-পত্রিকায় লেখার মতো ভালো-রাইটার নাই! বরং চোর-ডাকাতদের পক্ষে সাফাই গাইয়া কেউ তার রাইটিং ক্যারিয়ারের তো বারোটা বাজাবে না! (ডেইলি-স্টার হয়তো কিছু দেশি-মাল সাপ্লাই দিতে পারে।)

একটা বাংলা-একাডেমি প্রাইজ বা একুশে পদকের তো দরকার নাই ইংরেজি-জানা বিদেশি রাইটারদের! এমনকি বুড়া-বুদ্ধিজীবীদের যতটা দরকার, ইয়াং লোকদের তো সেইটাও নাই!

আর টাকা দিয়া লেখা হয় না। লেখার একটা দাম বা মনিটারি ভ্যালু আছেই বাজারে; মানে, লেইখা কম-বেশি কিছু টাকা কামাই করতেই পারেন আপনে, কিন্তু টাকা-কামাই করার জন্য লেখা হয় না আসলে। যে কোন রাইটারই এই জিনিসটা বুঝতে পারার কথা।

আমি বলতে চাইতেছি, বাকশালের পক্ষে টাকা দিয়াও কথা-বলার লোক যে পাওয়া যায় না, এইটা রাইটার না থাকার সমস্যা না।

আইডিওলজিক্যালি, বাকশাল যে বাংলাদেশি ফ্যাসিবাদ – এই ন্যারেটিভটা স্পষ্ট হওয়ার ঘটনা। যার মিনিমাম একটা বিবেক-বোধ আছে, তারা এই জুলুমের পক্ষে সাফাই গাওয়ার মতো মুর্খ হইতে পারে না। সমস্যাটা এই জায়গাটায়।
Continue reading

নোটস: সেপ্টেম্বর, ২০২২ [পার্ট ১]

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২

খালেদা জিয়ার ব্যাপারে আরেকটা ইন্টারেস্টিং ঘটনা হইতেছে, সুন্দরী মেয়েদেরকে ভালোবাসার বা হেইট করার জায়গা থিকা দেখার ঘটনাই এইখানে আছে; কিন্তু যতোটা “পচানোর”, আন্ডার-এস্টিমেট করার ঘটনা আছে, রেসপেক্ট করার, কোন কাজে লিডার হিসাবে মানার এক্সাম্পল ততটা নাই। মানে, সুন্দরী-মহিলা মানেই ‘বুদ্ধি একটু কম’ – এইরকমের (কমন না) ভুল-পারসেপশন এস্টাবলিশড করার যেই টেনডেন্সি আছে, খালেদা জিয়া অই জায়গাটারও সাফারার। সুন্দরী-মহিলা বইলা উনারে খালি প্রেইজ-ই করা হয় না, ‘স্রেফ একজন মহিলা’ বানায়া রাখার পলিটিক্স’টাও আছে এইখানে।

আরো একটা জিনিস খেয়াল করবেন, মা হিসাবে এবং মেয়ে হিসাবে মেয়েদের রোল বা আইডেন্টিটিটারে যতোটা ‘পবিত্র’ বানানো হয় বা বানানো পসিবল, বউ হিসাবে বা পার্টনার হিসাবে এতোটা হইতে পারে না আসলে। এইটা খালি সেক্সুয়ালিটিরই ঘটনা না, মানে, সেক্সুয়াল পার্টনার হিসাবে তারে এক ধরণের ইকুয়ালিটির জায়গাতেও নিয়া আসে তো তখন, অইটা প্রব্লেমেটিক অনেকটা। মা এবং মেয়ে, আগের এবং পরের জেনারেশন হিসাবেও বেনিফিট পান একটা, ইনহেরিটেন্সের জায়গাতে। কিন্তু বউ হিসাবে অই জায়গাটারে তৈরি করার একটা ব্যাপার থাকে। যেমন ধরেন, শেরে-বাংলা এ কে ফজলুল হকের বউয়ের নামই আমরা জানি না, শেখ মুজিবুর রহমানের বউ বেগম ফজিলাতুন্নেসা “মা” হিসাবেই আছেন, “বউ” হিসাবে বা পার্টনার হিসাবে এতোটা নাই। কিন্তু জিয়াউর রহমানের পলিটিক্যাল ক্যারিয়ারেও খালেদা জিয়ার প্রেজেন্স আছে, ইভেন ‘ফার্স্ট লেডি’ ব্যাপারটা অই সময়েই শুরু হওয়ার কথা বাংলাদেশে।… তো, এইটা খালি ‘ওয়েস্টার্ন’ ফেনোমেনাই না, প্রব্লেমেটিকও তো কিছুটা… অইটার কথা বলতেছি।

মানে, এই জায়গাগুলারে আপনার গ্লোরিফাই করার দরকার নাই। কিন্তু যেই ঘটনাগুলা ঘটছে এবং ঘটতেছে – সেইগুলারে খেয়াল না করতে চাওয়াটা, বিচার না করতে রাজি হওয়াটা খালি ইন্টেলেকচুয়াল ইন-এবিলিটির ঘটনা না, বরং অসততার ঘটনাই আসলে।

***

আগের দিনের (মানে, এইটিস বা নাইনটিজের) নিউজপেপার বা ম্যাগাজিনের রেইপের ঘটনাগুলা যদি পড়েন, অইখানে যেই মহিলারে রেইপ করা হইছে তাঁর ছবি-ই খালি ছাপানো হয় নাই, তাঁর চৌদ্দগুষ্টির ডিটেইলসও বলা আছে, যে কার মেয়ে, কার বউ, কার বইন, কার মা…এইরকম। রেপিস্টের ব্যাপারে ট্রিটমেন্ট’টা ছিল যে, সে কতো পাওয়ারফুল! – সেইটা ফুটায়া তোলা। মানে, সে পাওয়ারফুল বইলাই খালি রেইপ করে না, রেইপ করার ঘটনার ভিতর দিয়া সে পাওয়ারফুল হয়া উঠে আরো।

একইরকমের ঘটনা দেখবেন নয়া বাকশালের পুলিশ-বাহিনীর খুন করার ঘটনাগুলার ভিতরে। যেই মানুশগুলা মারা যাইতেছে, তাদেরকে নিয়া আহাজারি করবেন-না না, কিন্তু খুনিদের কোন নাম-নিশানাও নাই। অই সময়ে কোন ওসি-এসপি ছিল, কে গুলি করার পারমিশন দিছে, কারা কারা গুলি করছে – এই নাম-ধাম, ডিটেইলগুলা যে জানা যাবে না – তা না, বরং এই কোশ্চেনগুলা না করতে দেয়াটাই হইতেছে বাকশালি-মিডিয়ার কাজ।

ব্যাপারটা এইরকম না যে, রাষ্ট্র হইতেছে খুনী, সিস্টেম হইতেছে দোষী; বরং এইখানে স্পেসিফিক খুনীরা আছে, যারা রাষ্ট্রের উর্দি পইরা, সিস্টেমের দোহাই দিয়া খুনগুলা করতেছে। যাদেরকে দিয়া আরো খুন করানো হবে। সেই খুনিদের নাম বলতে পারতে হবে আমাদেরকে।

Continue reading

নোটস: অগাস্ট, ২০২২ [পার্ট ২]

অগাস্ট ১৭, ২০২২

ইসলামি ব্যাংকিং নিয়া কিছু আলাপ চোখে পড়তেছে। তো, কিছুদিন আগে এইটা নিয়া একজনের লগে কথা কইতেছিলাম। যে, হঠাৎ কইরা ব্যাংকগুলা ‘ইসলামি ব্যাংকিং’ করতে ইন্টারেস্টেড হয়া উঠতেছে কেন?

এইখানে একটা মার্কেট তৈরি হইতেছে, একটা ডিমান্ড আছে বা লোকজন “ইসলামি রীতি-রেওয়াজ” মাইনা চলতে চাইতেছে – এইটা মেইন রিজন না এতোটা। মানে, এইটা তো আছেই, কিন্তু যে কোন কিছুর ইকনোমিক বেনিফিট’টারে কন্সিডারেশনে না নিতে পারলে ঘটনাটারে পুরাপুরি বুঝতে পারবো না আসলে আমরা। ইসলামি ব্যাংকিং করলে ব্যাংকগুলারও লাভ আছে একটা, খেলাপি-লোনের জায়গাটাতে। ইসলামি ব্যাংকিংয়ে যেহেতু সুদ নাই, লোন হয় নরমালি ডিল বেইজড। তিনমাস, ছয়মাস, এক বছর একটা বিজনেস কইরা লাভের একটা অংশ ব্যাংকরে দিতে হবে। এখন একটা ডিল যদি ডিফল্ট হয় হয়, দ্যান আরেকটা বড় ডিল ক্রিয়েট কইরা সেই খারাপ-ডিলটারে শোধ দিয়া দেয়া যায়, এতে কইরা ডিফল্ট-লোনের সংখ্যা ও সাইজ কম হয়, বা বলা ভালো কম দেখানো যায়। শোনা কথা, এই টেকনিক নাকি নিয়ম-নীতি মাইনাই খুব ভালোভাবে ইউজ করা যায়।…

মানে, ব্যাপারটা তো এতো সহজ কিছু না, অবশ্যই কিছু প্যাঁচ-গোচ আছে। কিন্তু ইসলামি-ব্যাংকিংয়ের আলাপে (অন্য সব আইডিওলজিক্যাল গপ-সপের মতোই) এই প্রাকটিসটার কথা বা এইরকম পসিবিলিটগুলা নিয়া কথা-বার্তা গ্রসলিং মিসিং বইলাই মনেহয়…

অগাস্ট ১৮, ২০২২

গত ১৫ বছর ধইরা বাকশালি আকাম-কুকামের ক্লোজ কোলাবরেট হইতেছে বাংলাদেশের জুডিশিয়ারি সিস্টেম; জামিন না দেয়া, রিমান্ডে পাঠানো, মিথ্যা-মামলাগুলা ঝুলায়া রাখা – এইগুলা হইতেছে মোটামুটি কমন ফিচার। ব্যাপারটা হইতেছে, কাউরে শায়েস্তা করা দরকার, প্যারা দেয়া দরকার, তার নামে একটা মামলা দিয়া দাও! কোর্ট-কাচারি হইতেছে বাংলাদেশের হাবিয়া-দোজখ!

তো, অইখানে কি একটা রায় জানি দিছে কয়দিন আগে, এই নিয়া দেখলাম বাকশালি-ফেমিনিস্টরা খুব অবাক! এইটা কি হইলো! অরা তো বিএনপি-জামাতের নামে মিথ্যা-মামলাগুলারে লিগালাইজ করবে! অরা মেয়েদের ড্রেস নিয়া কথা বলতেছে কেনো! এই লিগ্যাল সিস্টেম তো হইতেছে আমার ‘ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিটস’ বাকশালের গোলাম, এরা আমাদের ব্যাপারে কথা-বলার ‘অধিকার’ কই থিকা পাইলো!

পুলিশের লোকজনও দেখবেন, পার্কে গিয়া স্টুডেন্ট ধরে, কারণ চোর-ডাকাইত তো নাই তেমন দেশে 🙂 তো, জজ-ব্যারিষ্টাররাও কি করবে, যেহেতু দেশে পুরাপুরি আইনের শাসন আছে, সমাজ-সংস্কারের কাজকাম করবে না একটু! আফটার অল, “সব দোষ তো সমাজের” এবং “এই সমাজ ভাঙতে হবে” দলের লোক তো মনেহয় উনারাও! 😛
Continue reading

নোটস: অগাস্ট, ২০২২ [পার্ট ১]

অগাস্ট ১, ২০২২

এই জিনিসটা মনে হইতেছিল কুরবানি ঈদের আগে, বাড়িতে থাকতে হইছিল, আশে-পাশের এলাকায় যাইতে হইছিল। তখন দেখলাম, বাসস্ট্যন্ডে অনেক সিএনজি অটো-রিকশা, ব্যাটারি রিকশা। কি ঘটনা? আশে-পাশের থানা ইউনিয়ন থিকা সবাই তো এইগুলা দিয়াই যাওয়া-আসা করে। হাইওয়েতে এইগুলাই চলে।

কারণ লোকাল বাস বইলা কিছু নাই! সব ইন্টার-ডিস্ট্রিক্ট বাস। এইসব ছোট ছোট স্টপেজে থামে না। যেহেতু কোন লোকাল-বাস নাই, আর লোকাল-বাস চালায়া প্রফিট করাও মুশকিল, সিএনজি, অটো-রিকশা, ব্যাটারি রিকশা ছাড়া চলার কোন উপায় নাই!

কিন্তু রোড একসিডেন্টের সলিউশনের ব্যাপারে দেখবেন এক নাম্বার সমাধান হিসাবে হাইওয়েতে এই যান-বাহনগুলা বন্ধ করার সাজেশন আসে! মানে, যেই শুয়োরের বাচ্চাগুলা এই “সমাধান” দেয়, অদের মাথায় এই ক্লোজ-ডিসটেন্সের মানুশগুলা কেমনে চলা-ফেরা করবো – এইটা নিয়া কোন চিন্তাই নাই!

ব্যাপারটা ঠিক চিন্তার করারও না, থানা-ইউনিয়নে যেইসব মানুশরা থাকেন, তাদেরকে মানুশ মনে না করার ঘটনা আসলে।

যেই কারণে ঢাকা’তে যেই লোডশেডিং এর লগে যদি কোন থানা বা ইউনিয়নের কম্পেয়ার করেন, অইখানে হিউজ ফারাক থাকার কথা। কারণ অই একটাই, অইখানে যারা থাকে, তারা লেস-হিউম্যান! এতো “সভ্যতা” তো অদের দরকার নাই! মানে, বেসিক রাইটসগুলাই যেন থাকতে নাই, অইখানে!

একইভাবে দেখবেন, অনেক বাইনচোতদের চেত হইতেছে ব্যাটারি রিকশা নিয়া। যেন এর লাইগা দেশে লোডশেডিং! চুরি-চামারির ঘটনা এইখানে নাই! এইটা খালি “বিদ্যুত সাশ্রয়” করার ঘটনা না, গরিব বেটামানুশ কেন ঠ্যাং তুইলা বইসা থাকবে – সেই “খারাপ-লাগার” ঘটনাও।…
আমি বলতে চাইতেছি, আমাদের চিন্তা-ভাবনার সেন্টারে আগে মানুশ’রে রাখতে হবে, কাউরে লেস-হিউম্যান বানায়া দিলেই সেই সমস্যাটা নাই হয়া যাবে না; বরং এইগুলা বেশিরভাগ সময়ই ইমেজ ঠিক করার ঘটনা, রিয়েল জায়গাটারে এড্রেস না করতে চাওয়াই…

***

এইরকমের কথা তো সবসময়ই আছে যে, লেখালেখি কইরা কি হবে! বা একজন মানুশ রাইটার বা কবি হইলে কি লাভ! টাকা-পয়সা কামাই করা বাদ দিয়া কেউ লেখালেখি কেনো করতেছে!

[ বিশাল একটা কোশ্চেন যেন! 🙂 ]

তো, এইটা এমন কোন “গূঢ়, গভীর জিজ্ঞাসা” না আসলে, বেশ সিউডো জিনিসই। সবকিছুরে টাকা-পয়সা দিয়া বা ইকনোমিক টার্মে হিসাব করতে গেলে এমন “দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও ধন্দ” আবিষ্কার করার ঘটনা ঘটে আসলে। বরং খেয়াল করলে দেখবেন, মোটামুটি আমরা সবাই লাইফের বড় একটা সময় পার করি, টাকা-পয়সা কামাই করা যায় না – এইরকম কাজকাম কইরাই। মানে, এই যে একটা অনুমান আছে যে, টাকা-পয়সা ইনকাম করাই যেন একমাত্র কাজ – এইটা মোস্টলি মিছা-কথাই। যেই কারণে, এই জিনিসটারে কোশ্চেনের মর্যাদা দিতেই আমি রাজি না।

সেকেন্ড হইতেছে, রবীন্দ্রনাথের “পুরষ্কার” কবিতাটাতে পাইবেন, যে রাজা কবি’রে ফুলের মালা দিতেছে, মণি-মুক্তা, স্বর্ণমুদ্রা না দিয়া! মানে, মান-সম্মান হইতেছে বড় পাওয়া। আর্টের তো কোন দাম হয় না! এইটা নিয়াও আমি কনভিন্সড না। সমাজে মান-সম্মান পাইবেন বইলা কেউ লেখালেখি করেন – এইরকম কাউরে আমি দেখি নাই। মানে, লেখক-কবি হয়া অনেকে মানুশের কাছে মহব্বতের লোক হয়া উঠতে পারেন, কিন্তু এইটা কারো উদ্দেশ্যের মধ্যে থাকার কথা না।…

এখন থার্ড বা আসল ঘটনাটা বলি। 🙂 রাইটার হওয়ার ইকনোমিক বেনিফিটও আছে কিছু। টাকা-পয়সা ইনকাম করার জন্য কেউ লেখেন না – তা না, কিন্তু লেখালেখি কইরা টাকা-পয়সা ইনকাম তো করাই যায়। অনেক জায়গায় বেনিফিটও পাওয়া যায়।

কয়দিন আগে অনলাইনে একটা পুরান বই অর্ডার করছি। পেইজ-ওনারের লগে দাম নিয়া মুলামুলি করতেছি যে, ১০টাকা কম দেই! রাজি হন নাই উনি। কি আর করা! আমার কুরিয়ার এড্রেস জানাইলাম। নাম দেইখা উনি রিপ্লাই দিলেন, ভাই, আপনার লেখা তো আমি পছন্দ করি! আপনারে কুরিয়ার চার্জ দেয়া লাগবে না! ১০ টাকার জায়গায় ৫০ টাকা কম রাখলেন!

মানে, সম্মান তো দিলেনই, ইকনোমিক বেনিফিটও দিলেন! এইরকম বেনিফিট আমার ধারণা, অনেক রাইটার-ই পান, অনেক জায়গায়। কিন্তু অই তো, একটু কম কমই বলেন মনেহয় সেই কথা।…

Continue reading