অন হেইট্রেট

আগেও কয়েকবার বলছি মনেহয়, আপনি কোন জিনিসটারে হেইট করতেছেন, সেইটা নিয়া সাবধান থাইকেন! ইভানচুয়ালি ইউ গেট অ্যাডিক্টেড টু দ্যাট। ঘৃণার মতোন বড় অ্যাডিকশন খুব কমই আছে। 🙁

এইটা খুবই হয়। এইটা আরেকবার মনে হইতেছে, জুলিয়ান বার্নসের ‘দ্য অনলি স্টোরি’ নভেলটা পড়তে গিয়া। মেইন যে কারেক্টার, সুসান, হ্যাজবেন্ডের মদ-খাওয়ারে খুবই হেইট করতো আর এন্ড-আপ বিইং অ্যা অ্যালকোহলিক, খুবই বাজে ভাবে। (এই কারণেই যে ঘটনাটা ঘটে, তা না। যখন শে ফ্রাস্ট্রেটেড হয়, তখন অপশন হিসাবে এমার্জ করে।) এমনো হয়, যারা ‘মিথ্যা কথা’ বলারে হেইট করেন, দেখবেন, নিজেরাই মিথ্যা কথা বলতে শুরু করেন, আর বলতে থাকেন, আরে, আমি তো মিথ্যা কথা বলারে ঘৃণা করি, আমি কেন মিথ্যা কথা বলবো! ইমোশনরে লজিক হিসাবে ইউজ করা শুরু করি আমরা, একটা সময়! টেরও পাই না মেবি। 🙁

তো, ব্যাপারটা খালি দোস্তি’র না, দুশমনিরও; মেইনলি অ্যাটাচমেন্টের। কি কি জিনিস নিয়া আমি কনসার্নসড হইতেছি, পক্ষে হোক আর বিপক্ষে হোক। Continue reading

বিপ্লব করাটা না, বরং বিপ্লব করার মতো কিছু যে নাই, এইটা খুবই ফ্রাস্ট্রেটিং একটা ঘটনা

বিফোর ট্রিলজির ফার্স্ট পার্ট বিফোর সানরাইজে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে নায়িকা তাঁর বাপ-মা’র কথা কয় নায়ক’রে। প্যারিসের ‘৬৮’র মুভমেন্টে তারা একলগে ছিলো। এখন বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করে। একজন আর্কিটেক্ট, আরেকজন অন্যকিছু। উনারা বিপ্লব করতে পারেন নাই, কিন্তু বিপ্লবের আদর্শ ভুলতে পারেন নাই। নিজেদের পারসোনাল লাইফ স্যাক্রিফাইস কইরা মেইনস্ট্রিমে ঢুইকা গেছেন, কিন্তু মেয়ে’রে বড় করতেছেন বিপ্লবের ভ্যালুগুলা দিয়া; ওপেননেস, পারসোনাল ফ্রিডম, চয়েসের জায়গা, এইসব। তো, শে কয়, তার লাগে যে, তার আর এখন কিছু করার নাই, তার সামনে বিপ্লব করার কোন ড্রিম নাই, তার বাপ-মায়ের যেমন ছিলো, তাদের ইয়াং বয়সে। এইটা খুবই ফ্রাস্ট্রেটিং একটা ঘটনা!

আসলেই, বিপ্লব করাটা না, বরং বিপ্লব করার মতো কিছু যে নাই, এইটা খুবই ফ্রাস্ট্রেটিং একটা ঘটনা। পরে অবশ্য নায়িকা বিপ্লব করার মতো ইস্যু খুঁইজা পায়, ইনভবলবও হয়। (কিন্তু আমার সন্দেহ হয়, বিপ্লব করাটা ভালো একটা প্রফেশনও হইতে পারে তখন।) তো, আমি যেইটা বলতে চাইতেছি, যে কোন বিপ্লব করার চাইতে আমি একটা বিপ্লব করতে যাইতেছি – এইটা একসাটিং একটা প্রোপজিশন হওয়ার কথা। বিপ্লব হয়া গেলে বরং বিপদে পড়তে হইতে পারে। 🙂 [তার মানে আবার এই না যে, বিপ্লব খুব বাজে জিনিস, করা যাবে না বা করার ইচ্ছা রাখা যাবে না; বরং আমি বলতে চাইতেছি একসাইটমেন্টের জায়গাটারে আন্ডারমাইন করাটা ঠিক হবে না।…] Continue reading

কবিতা: মে, ২০১৯

মুহূর্তের কণা

মুহূর্তেই উইড়া যাবে বেদনা;
মুহূর্তেই আরেকটা কণা খুঁইজা পাবে তোমারে

তুমি বলবা, “অইসব তো পুরানা কথা…
আমি মনেও রাখবো না!”

কণাগুলা জমতে থাকবে,
আরেকটা অবয়ব আসবে, তারেও
বলবা তুমি, “ভুইলো না আমারে!”

একই মেমোরি আমাদের, একই রকম ভুইলা-যাওয়া
একটা মুহূর্তেরই ভিতর উইড়া যাবে, যেন কোন বেদনা

 

ধর্ম

ইসলাম আসার পরে পৌত্তলিকদের ধর্মের মতোন ভুইলা যাইও আমারে তুমি

 

মরণের মতোন সামান্য দূরে থাকো

মরণের মতোন সামান্য দূরে থাকো,
খালি একটা দম মিস হইতে পারে যেমন
কোন কারণ ছাড়াই

থাকো নিয়তির মতোন
যে কোন মুহূর্তেই ঘটতে পারার মতোন একটা বাস্তবতা যেমন
নাই বইলাই আছে
আর তার থাকতে পারার ভিতর না-থাকাটা প্রোলঙ হইতে হইতে একটা রাতের মতোন ভোর হইতে হইতে নাই হয়া যাইতেছে

আমি ভাবললাম, এইরকম কোনকিছু থাকতেই তো পারে!
তুমি বললা, যা কিছু নাই, যা কিছু ছিলো না, কোন না কোন কারণ নিয়াই আছে…

আমি অবিশ্বাসীদের মতোন স্থির হয়া থাকি একটা না-থাকার বিশ্বাসে
একটা নারিকোল গাছের ছায়া ধীরে ধীরে স্পষ্ট হইতে থাকে, বাতাসে
কাঁপে

একটা কনফিউশনের মতোন থাকতেই থাকে
আমাদের না-থাকা একটা বিশ্বাসীদের মনে…

Continue reading

রোজা-রমজান

বাংলাদেশে পলিটিক্যাল আইডেন্টিটি হিসাবে মুসলমানি জোশ রাষ্ট্রীয়ভাবেই জোরদার হইতেছে।

কিন্তু এইরকম ফেভারেবল পলিটিক্যাল এনভায়রনমেন্ট থাকার পরেও কালচারাল স্পেইসে (যেমন ধরেন আর্টে, গল্প উপন্যাসে) হিন্দুধর্মের রিচুয়ালগুলার যেইরকম সেলিব্রেশন আছে, সেই জায়গায় ইসলামি রিচুয়ালগুলার ব্যাপারে বরং একরকমের অস্বস্তি আর রেজিসট্যান্স আছে। যেমন, রোজা রমজানের কথাই ধরেন।

মনে হইতেছিল, ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময়ও মুক্তিযোদ্ধারা বা দেশের মানুষজন সেহরি খাইতেছেন বা ইফতার করছেন তো। কোন একটা মাইনর টেক্সটে পাইছিলাম, সেহরি খাওয়ার কথা, মুক্তিযোদ্ধাদের চিঠি বা এইরকম কোন বইয়ে, সোর্সটা মনে নাই এখন। 😞 কিন্তু দেখেন, যতো ‘সাহিত্য’ আছে, সেইখানে সিঙ্গেল একটা লাইনও নাই, মুক্তিযোদ্ধারা ইফতার করতেছে বা সেহরিতে খাইতেছে; এতো যে সিনেমা মুক্তিযুদ্ধ নিয়া, কোন সিনেমাতেও দেখছি বইলা মনে হইতেছে না, মানে, আমি মনে করতে পারতেছি না ওইরকম কোনকিছু। যেন, রোজা, ঈদ – এইসব ছিলো না বা নাই। ক্যালেন্ডারে দেখা যাইতেছে ১৯৭১ সালের অক্টোবর নভেম্বরে রমজান মাস ছিল।  অথচ বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষ বছরের পর বছর এই কাজ করতেছে তো! (এইটা নিয়া একটু পরে আবার বলতেছি।)

এইখানে আমার ফেভারিট পয়েন্টটা আবার বলি, আর্ট আর লাইফ দুইটা আলাদা আলাদা ঘটনা। আর লাইফের ঘটনা যতোটা না আর্টে রিফ্লেক্টেড হয় আর্টের ফ্যান্টাসি বা রিয়ালিটিটারে আমরা লাইফে পোর্টেট করার ট্রাইটা বেশি করি। তো, রোজা-রমজানের রেওয়াজটারে কালচারাল স্পেইসে কেন সেলিব্রেটেড না, সেই অস্বস্তিটারে এই জায়গাটা থিকা দেখলে কিছুটা ক্লিয়ার হইতে পারার কথা। যা কিছু আর্ট-কালচারে নাই, নতুন কইরা ইনসার্ট করাটা টাফ একটা জিনিস। এক তো মনে হবে, জোর কইরা করতেছেন, ‘হাজার বছর’ ধইরা লাইফে করতে থাকলেও। দুসরা জিনিস হইলো, লাইফের জিনিসগুলা যে আর্টে ট্রান্সফর্মড হয় না – তা না; সেইখানে আর্টরে ট্রান্সফর্মড করতে বা হইতে পারতে হয়; যেই শর্তগুলার ভিতর দিয়া একটা কালচারাল কনটেক্সটে ‘আর্ট’ জিনিসটা পসিবল হয়, সেই কন্ডিশনগুলারে নার্চার করা দরকার তখন। Continue reading

ফ্রেন্ডস ফরএভার

এইটা মেইনলি আমার, মনোয়ার আর মৌটুসির একটা সন্ধ্যা-রাইতের একলগে থাকার ছোট্ট একটা কাহিনি। আমাদের এইরকম অনেক ফ্রেন্ডস আছে। আমরা ফ্রেন্ড-বেইজড সমাজ, ফ্যামিলিরে চুদি না। ফ্যামিলি একটা মুখোশ, একটা ভান, একটা প্রতারণা। আমরা এইগুলার মধ্যে নাই। কেউ থাকতে চাইলে আমাদের কোন প্রব্লেম নাই। ফ্রেন্ড তো ফ্রেন্ডই!

আম্মা দেশের বাইরে গেছেন, মেডিকেল ইস্যুতে, সিঙ্গাপুরে। বড় বইন আর তার হ্যাজব্যান্ড গেছে লগে। এইটা মৌটুসি জানতো। শে কইলো, বরিশাল থিকা অর স্পন্সরে একটা ফ্যামিলি আসছে; একটা বাসায় ছিলো, বাসাটা ছোট আর হসপিটালটাও দূরে, আসতে-যাইতে টাকা খরচ হয়, শে চিকিৎসার খরচ দিতেছে, কিন্তু হাত-খরচের টাকা দেয়াটাও বাজে দেখায়, এইজন্য কইলো, দুইটা দিন আমার বাসায় রাখতে পারবো কিনা। অরা একে তো গরিব, ম্যানার অইরকম জানে না, তার উপরে আবার হিন্দুও কিন্তু; মানে, বইলা আমার ঈমানি শক্তি যাচাই করতে চাইলো! 🙂 যেন এমনে হইলে থাকতে দিলাম, গরিব আর হিন্দু বইলা দিবো না। তো, এই চ্যালেঞ্জে তো হার মানা যায় না!

অরা থাকলো, চইলাও গেলো। দুইদিন একরাইত ছিলো। আমি মাসুমের বাসায় গিয়া ছিলাম। অরা দারোয়ানের কাছে চাবি বুঝায়া চইলা গেলো। চার-পাঁচটা আন্ডা-বাচ্চা ছিলো আর দুইজন মহিলা।

মোটুসি তো খুবই খুশি, আমার এই হেল্প পাইয়া। একদিন কইলো, ল চিল করি! তোর লগে তো অনেকদিন দেখা নাই! ঢাকায় নাকি এখন পাব হইছে, মেয়েরাও যাইতে পারে!

মৌটুসির এইটা বেশ মজা লাগে। দুই বছর বিদেশ থাইকা আইসা বেশ বিদেশি-বিদেশি একটা ভাব নিতে পারে। বয়ফ্রেন্ডের লগে ব্রেকাপ হওয়ার পরে অর খুবই বাজে অবস্থা হয়া গেছিল। আয়ারল্যান্ডে চইলা গেছিলো এনথ্রোপলজি পড়তে। ঠিকই আবার পড়াশোনা না কইরা ফিরা আসছে। চিজ একটা। আমি কই, ‘হ, উন্নয়ন হইতেছে তো!’ হাসি আমরা। Continue reading