

অনুবাদটা বিডিআর্টসে (http://arts.bdnews24.com/?p=4074)প্রচারিত হইছিল, অক্টোবর, ২০১১ তে। ফটো ক্রেডিট সম্পাদকের।
কেন এই অনুবাদ?
স্টিভ জবস-এর এই প্রেসনোটটা প্রথম অনুবাদ করতে শুরু করছিলাম, ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে তে। এখন স্টিভ জবস মরার পর মনে হইলো, উনার প্রতি সম্মান দেখাইয়া হইলেও শেষ করাটা দরকার!
‘কালচার’ ত আসলে কর্পোরেটরাই তৈরি করতেছে। বানাইতেছে, কন্ট্রোল করতেছে, সমাজের ভিতর ছড়াইয়া দিতেছে এবং ডিফাইন করতেছে কীভাবে সেইটা ‘কালচার’। এর বাইরে, কর্পোরেট কালচারের সাথে খাপ খাওয়ানোর মতো কালচার তৈরি করে শহরের মধ্যবিত্তরা, পুরানোরে/অন্যান্য পক্ষরে মিলাইতে চায় এর সাথে, কুস্তাকুস্তি করে, যাচাই-বাছাই করে এবং শেষে না-পাইরা কর্পোরেট কালচারের অংশ হয়া যায়। যেমন রবীন্দ্রনাথের নাটক নতুনভাবে করা, লালনরে নতুনভাবে আবিষ্কার করা, সমাজের খাড়াইয়া-থাকা আইকনদের জন্মবার্ষিকী, মৃত্যুবার্ষিকী করা, ইত্যাদি (মধ্যবিত্তের ত আসলে নিজস্ব কিছু নাই, সবই ধার করা)। মফস্বল করে শহরের অনুকরণ যদ্দূর পর্যন্ত পারে; আর গ্রাম-গঞ্জে (যেহেতু যোগাযোগটা খুব বেশি নাই শহরের সাথে) যা হয়, সেইটা ত ‘লোক-সংস্কৃতি’ বা ‘ফোকলোর’; একশ বছর আগে হোক বা এখনই হোক। সবসময় দূরবর্তী একটা ব্যাপার, ‘কালচার’-এ! [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote] এই ‘কালচার’ তৈরি হয়, স্বীকৃতি লাভ করে বা অনুমোদন পায় দুইটা জায়গা থিকা – ব্যবসায়িক এবং বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান – এই দুইটা আসলে আলাদা জিনিস না, একই; বেশিরভাগ সময়ই পরিপূরক টাইপের। আর এই কালচার প্রচার এবং প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালায় বিভিন্ন মিডিয়া, এনজিও এবং সোশ্যাল নেটওর্য়াকগুলা। এদের বিভিন্ন রকমের অ্যাক্টিভিটির ভিতর দিয়াই সমাজে ‘কালচার’ প্রতিষ্ঠা হয়। এখন যারা কালচার করেন, তাদের ভিন্ন মতামত থাকে; তারা যে এই ‘ব্যবস্থা’রে স্বীকার বা অস্বীকার করেন, সেইখানে তাদের একটা গুরুত্ব আছে। কিন্তু এই স্বীকার বা অস্বীকারটা এই ‘ব্যবস্থা’টারে ঘিরাই। মানে, কেন্দ্রীয় একটা ‘ব্যবস্থা’ আছে; জনগণরে কালচারাল কইরা তোলার, কালচার শিক্ষা দেয়ার, এর ভিতরে নিয়া আসার এবং অপারেট করার। মোটা দাগে, সমাজের ভিতরে একটা কালচারাল ভ্যালু সিস্টেম চালু করার। কিন্তু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলা আসলে তাদের নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়াগুলা নিয়া তেমন কিছু বলেন না; কারণ ‘গোপনীয়তা’ই তাদের প্রধান অস্ত্র। আর বিদ্যালয়গুলা তাদের কোডিং-এর ভিতর দিয়া প্রক্রিয়াগুলারে ব্যাখ্যা করেন; এই ‘কোডিং-পদ্ধতি’টা উনাদের প্রধান অস্ত্র। এইভাবে উনারা নিজেদেরকে ‘সাধারণ’ থিকা আলাদা করেন এবং কালচারকে অনুমোদন দেয়ার একটা ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেন। এইভাবে কালচাররে দেখতে পারলে আমার ধারণা সুবিধা হয়, বুঝতে।