তপনরায় চৌধুরী’র অরিয়েন্টালিজম রিডিংটা নিয়া লিখবো বইলা ভাবছি অনেক আগেই। কিন্তু লেখা হইতেছে না, তাই ভাবলাম যদ্দূর পারি আরেকবার আরেকটু নোট নিয়া রাখি, পরে পারলে আবার লিখবো নে।
অরিয়েন্টালিজমের ক্লেইম এইটা যে, ইউরোপ তার কলোনি হিসাবে ইন্ডিয়া বা অন্যান্য জায়গা দখল করতে পারছে তার নলেজের সুপিয়রিটি প্রুফ করার ভিতর দিয়া। প্রাচীন ইন্ডিয়া বা আদি ভারত-মাতা আসলে ইউরোপেরই আবিষ্কার করা নলেজ। এই নলেজ’রে অ্যাকসেপ্ট করার ভিতর দিয়া ইন্ডিয়ান ইন্টেলকচুয়ালরা আসলে খাল কাইটা ইউরোপিয়ান কুমিরদেরকে নিয়া আসেন। এই জায়গায় তপনরায় চৌধুরী’র ক্লেইমটা অনেকটা নিচে থাইকা তলঠাপ দেয়ার মতো। উনি বলতেছেন যে, ইন্ডিয়ান এলিটরা এই নলেজরে খালি নেন-ই নাই, যাচাইও করছেন। এই যাচাইয়ের জায়গা নিয়াই উনি ডিটেইল বই লিখছেন একটা। এর বিপরীতে হাবিলার-গোষ্ঠীরে নিয়াও উনি হাসি-ঠাট্টা করছেন এইকারণে যে উনাদের থিওরেটিক্যাল বেইস ওই অরিয়েন্টালিজমই। Continue reading