আর্ট, ক্রিটিক এবং মকারি

 

এইরকম একটা টেনডেন্সি আছে যখন আমি কোনকিছুরে মকারি করতে পারলাম, তখন তার গুরুত্ব আর নাই! কোন টেক্সটরে চিন্তার দিক থিকা বা তার সাহিত্য-মূল্যরে জিরো কইরা দিতে পারলাম। যেমন ধরেন, শামসুর রাহমান-এর কবিতার বইয়ের নাম – আমি অনাহারী; কেউ একজন কইলেন খুলে ফ্যাল (বানানে ‘য-ফলা’ দিয়া উচ্চারণটারে ক্রিটিক্যাল করা লাগবে) তোর শাড়ি! আনিসুল হক তার উপন্যাসের নাম রাখলেন ভালোবাসো, বাঁচো; কেউ একজন কইলেন, ভালোবাসো, খেঁচো! দিস আর দ্য থিংকস।

মানে, শামসুর রাহমান বা আনিসুল হক খুব ভালো কবিতা উপন্যাস লিখেন বা ব্যাপারটা খুব পবিত্র কিছু, এইসব নিয়া হাসি-ঠাট্টা করা যাইবো না, সেইটা না; বরং একটা জিনিস যেই জায়গটাতে ‘বাজে’ সেইটা না বইলা খালি মকারি করা সম্ভব বইলাই যে তারে বাতিল কইরা দেয়া যায়, এইটাই ঘটনা। এইটা এমন একটা গ্রাউন্ডে অপারেট করে যেইখানে তাদের ‘বাজে’ ধরণটা এস্কেইপের জায়গাটাই খালি খুঁইজা পায় না, রিপিটেটলি করতেও থাকতে পারে, কারণ মকারিই ত এইগুলা, সমালোচনা তো আর না! আর যারা এই ধরণের মকারি করেন তারাও ব্যাখ্যা না করতে পারাটারে এইভাবে এড়াইতে পারেন যে, এইটা নিয়া তো কথা বলার কিছু নাই, রায় ঘোষণা করেন, বাতিল! আর যারা রিসিভার এন্ডে থাকেন, তারা আরেকটু বেশি কইরাই হাসতে পারেন এবং ভাবতে পারেন যেহেতু মকারি করা যায় সেই কারণেই এরা বাতিল। এখন যে এমনেই বাতিল, তারে নিয়া আর কী কথা! Continue reading

চোর’রে আমার সালাম!

 

Facebook e torko kora moha genjamer kaaj. Ektar meaning arekta hoi. – Ritu Pakhi.

 

একটা ও আরেকটা

Sumon Rahman একটা নোট লিখছেন, অনেকে নোটটাতে লাইক দিছেন, কমেন্ট করছেন এবং নোটটা শেয়ার করছেন। সেইখানে একটা মন্তব্য করতে গিয়া Ritu Pakhi এই বাক্য দুইটা লিখছিলেন।

উনার এই ‘একটা’ কথার ‘আরেকটা’ অর্থ করার চেষ্টা করি।

‘meaning’ ত কখনোই একটা না; ‘একটা’ হওয়া তখনই সম্ভব, যখন সবাই ‘এক’ হয়া যাইবো; মানে, Ritu Pakhi’র কথা সবাই Ritu Pakhi’র মতোই ভাববো এবং পড়বো; এইটা ছাড়া ‘এক’ ঘটনা ‘এক’ হওয়া কেমনে সম্ভব?

যদি এইটা হয়ও সেইটা খুবই বাজে একটা ঘটনা হইবো। এই যে ‘আরেকটা’রে ঠেকাইতে চাওয়া, এইটা সব মানুষের চিন্তারে একই টাইপ করতে চাওয়ার আকাংখা, মিলিটারী-ভাবনা… হইতে পারে বর্তমান বাংলাদেশের কলাম-লেখকদের এক ধরণের বুদ্ধিজীবিতা।

Continue reading