গান-গাওয়াটা হইলো গানের একটা ইন্টারপ্রিটেশন। এই যে ‘কাছে’তে গিয়া ভাইঙ্গা পইড়া যাওয়া, ‘দূরে’তে গিয়া সইরা যাইতে চাওয়া, ‘থাকিবো’তে লিংগার করা, স্বরে; [‘ধন’-এ অবশ্য জোর নাই খুবএকটা 🙁 বা এইটারে কোনভাবে এক্সপ্রেশনের মধ্যে নিয়া আসাটারে জরুরি ভাবতে পারেন নাই উনারা] ‘কাছে নেও না’তে নাইমা গিয়া যাইতে চাওয়া, ‘ভরসা’তে যে জোর নাই খুব একটা বা ‘তন্ত্র-মন্ত্র’ যে কেমনে পড়তে হয় তাড়াতাড়ি, [ফাউল ত ব্যাপারটা, তাই না?] ‘আমি’টাই যে মেইন বিষয় – এইগুলা সিঙ্গিং দ্য সং-ই না খালি; ইন্টারপ্রিটেশন অফ দ্য সং, একইসাথে। খালি গান গাইলে ত হবে না, গানরে বুইঝা তার বুঝানোটারেও গাইতে হবে, ক্ষ’র গানের এইরকম মাজেজা আছে। উনারা গানটারে গাইতেছেন না খালি, বুঝাইতেছেন আসলে।
আর ভিজ্যুয়ালে, বাচ্চাগুলার পারফরমেন্সরে মনেহয় শিশুশ্রম বলা যায় না, যেহেতু খেলতেছেই ওরা, একরকম; গিটারের সাথে খেলনা গিটার বাজাইতেছে (মাল্টিকালচারালিজমও হইতেছে মনেহয় ইন্সট্রুমেন্ট ইউজে); গায়িকারে মাইক্রোফোনটা আগাইয়া দিয়া পোলাটা সাজেস্ট করতেছে তুমিও খেলো আমরা’র লগে… আর অ্যাকচুয়ালি এইটা ত একটা খেলাই। শেষে ‘গুড জব’; মানে সেইটা বলা নিজেদেরকেই, অন্য হইয়া। এইটা ত করাই যায়। করে অনেকেই। যেই ভক্তের অন্তরে মুর্শিদ চইলা আসেন, তিনি নিজে কি আর মুর্শিদ না? এইরকম নাফরমানি তো আছেই। না কইলেও। Continue reading