বিয়া নিয়া আমার তেমন কোন টেনশন ছিলো না। একটা হইলেই হয়। এমনকি যার সাথে বিয়া হইলো ফোনে ফোনে, তারেও কেমন জানি বউ বউ লাগে না। জন্ম দিলেই যেমন বাপ হওয়া যায় না, বিয়া হইলেই তো আর কাউরে বউ লাগতে পারে না। মেয়েটা চাকমা। আম্রিকায় থাকে। মেয়েটা দেশে চইলা আসতে পারে বা আমিও যাইতে পারি। ভাবি নাই তেমনকিছু। আব্বা-আম্মা হয়তো ভাবছে।
একদিন হুট কইরাই বিয়াটা হইলো। মাস্টার্স পাস কইরা বইসা আছি। চাকরি করতে ইচ্ছা করে না। আর বাপের টিনের ব্যবসায় বসতে মন চায় না; বাপও চায় না। কয়, মাস্টার্স পাশ করাইছি কি ব্যবসা করার লাইগা নাকি! বলার টোনটা এইরকম, আমি ম্যাজিস্ট্রেট টিএনও হবো। আমিও বিসিএসএস দেয়ার ভান করতে করতে পেরেশান। ভাল্লাগে না আর বাল। কিন্তু আমি জানি, ঘটনা আসলে অন্য। ছোট আরো দুইভাই আছে আমার। মাইঝাটা তো ছোট থিকাই ব্যবসায়। ছোটটাও পড়ালেখা করে না। আলাদা ব্যবসা করতে চায়। এরমধ্যে আমি ঢুকলে সমস্যা। আগে থিকাই আমি ফ্যামিলির বাইর, এখনো একই। খারাপ লাগে না আমার। একই তো ব্যাপার।
যখন চাকরি-বাকরি হইতেছে না, আম্মা তো কান্দে মামারা’র কাছে। বড়মামা কইলো, বিযা করাইয়া দেন! বড়মামা আম্রিকায় থাকে অনেকদিন। উনিই ব্যবস্থা করলেন। উনাদের কমিউনিটিতে মেয়ের বাপের প্রেস্টিজ আছে। এরশাদ ফল করার পরে বড়মামা পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম নিছিলেন, কিন্তু মেয়ে’র বাপ স্কলার মানুষ, আদিবাসী ক্যাটাগরিতে গেছেন মনেহয়। মেয়েটার চেহারা ভালোই। আমার ডিসিশানের কিছু নাই। ফোনে ফোনেই বিয়া হইয়া গেল। বিয়ার পরে ভিডিওতেও চোখ চাওয়া-চাওয়ি হইলো কিছুক্ষণ। সবাই খুব হাসাহাসি করতেছিল। আমরাও (মানে, আমি আর আমার বউ) হাসি-হাসি মুখ নিয়া বইসা ছিলাম, ভিডিওক্যামের সামনে। বড়মামার পোলার বিয়াও এমনেই করাইছিলেন। বড়মামার কোন তাড়াহুড়া আছিলো মনেহয়। আম্মা্ও কুইক রেন্টালের মতো সলিউশনে গেছিলেন। আব্বা তো মহাখুশি। উনার বিয়াই আম্রিকান। চাকমা যে এইটা আর কাউরে বলেন নাই। Continue reading