গল্পটা আসলে পুরির। চা-পুরি-সিঙ্গারা’র পুরি; সিলঅটি পুরি, উৎপলকুমারবসু’র পুরি-সিরিজের পুরি কিংবা অন্য আর কিছুই না। খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা এইটা। চূড়ান্ত অসাফল্যের একটা ইতিহাস, না-পারার একটা করুণ অধ্যায়।
তখন আমার বয়স দশ। শৈশব শেষ হচ্ছে প্রায়। একটু একটু কিশোর। পাড়ার মাঠ ছেড়ে রেলের মাঠে যাই মাঝে মাঝে। মাঝে মাঝে বাজারে যাই আব্বার সাথে। বাজার শেষে রিকশা করে দিলে একা একা বাসায় ফিরতে পারি। ইত্যাকার সব লক্ষণ। মানে আমি বোঝাতে চাইতেছি যে, আমি তখন আসলে আর শৈশবের ভিতর নাই। কিন্তু আমার সম্পর্কে তখনও নর-নারী ভেদ পুরাপুরি ঘটে নাই। নানুবাড়ি গেলে নানা-নানির সাথে এক বিছানাতেই থাকি। একটা বিহ্বল অবস্থার সূত্রপাতও হয় নাই। তখনও আমি কিশোর হওয়ার যোগ্যতাগুলির ভিতর দিয়ে যাওয়া শুরু করি নাই। [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
তখন আমি পড়ি ক্লাস ফাইভে। পৌরসভার মডেল প্রাইমারী স্কুলে। আমি বলছি, আশির দশকের মাঝামাঝির একটা সময়ের কথা। কিন্ডারগার্ডেন স্কুল তখনও চালু হয় নাই সেখানে। পৌরসভার মধ্যে নামকরা প্রাইমারী স্কুল। পৌরসভার তথা সমস্ত উপজেলার ট্যালেন্টপুল বৃত্তির একটা বড় অংশ এই স্কুল থেকে আসে। আমাদের আগের ব্যাচে উপজেলার সাতটা ট্যালেন্টপুল বৃত্তির পাঁচটাই এই স্কুলের ছিল। গল্পের এবং স্কুলের সাফল্যের সীমানাটুকু এই পর্যন্তই। এরপর থেকে আমার অধ্যায়, ব্যর্থতা আর অসাফল্যের গাঁথা। সেই ইতিহাসের বিবরণটা এবার পেশ করি।