জুলাই, ২০১৬-তে লেখা কবিতা

 

জুতা কাহিনি

ঘুরতে বাইর হইয়া দেখলাম
তোমার অন্য জুতা

যেই জুতা চুরি হইছিল
যেই জুতা ছিলো আগে, নাই তারা

অন্য কোন জুতা বইলা
পা’গুলিরেই মনে হইতেছে
চিনি না

 

ইল্যুশন

সব ইল্যুশন আসে
কামরাঙ্গার গাছের পাশে

শব্দ আর টাইমের পাল্লায়
ওজন দেয়া লাইফ
এখনো কই মাছের মতোন
লাফাইতেছে

একলা একটা চিল আকাশে

অনেকগুলি বকপাখি নদীর উপরে, ওড়তেছে

কয়েকটা কাক কাছাকাছি আইসা বসে

সন্ধ্যা আসতেছে ওদের করুণ চোখে

ইল্যুশনগুলি কামরাঙ্গা গাছের পাশে
নিভে আসে

বৃষ্টির অন্ধকারে Continue reading

জুন-খাতা, ২০১৬।

ট্রমাটিক টারজান

সাফারি পার্কগুলাতে একটা টারজান কবে আনা হবে? এক একটা জঙ্গলে টারজানদের কি একলা লাগতেছে না? বা এই যে বাঘ- সিংহ-হাতি-জিরাফ-জেব্রা আর স্পেশালি বান্দরগুলা – অদের কি একলা লাগে না টারজানরে ছাড়া? টুরিস্ট জিপ আর বাসগুলি যথন যায় তখন অরা কি মানুষগুলির দিকে তাকায়া টারজানের কথা-ই ভাবে না? আমাদেরও তো দুই হাত মুখের কাছে নিয়া ডাকতে ইচ্ছা করে, আঙঙ-আ-আ-আ-আ…। টারজান নাই বইলা ইচ্ছা করে আমরাই টারজান হই গিয়া।

জঙ্গলে টারজান একলা একলা কি করে? সাফারি পার্কে আইসা থাকতে পারে না? আমরা দেখলাম উনারে। উনি বইসা আছেন কোন গাছের ডালে, যেন আমরারে দেখতেছেন না, জেনের কথা-ই ভাবতেছেন মনেহয় – এইরকম ভাইবা নিলাম আমরা।

 

Walky Talky

We walk and talk. We talk and walk. We become us. We laugh. Then keep our silence awake. Trees whisper with their leaves. ‘Take us with you,’ they politely ask. We laugh again. ‘Ki ajib!’ They are talking with us! We talk and walk. We walk and talk.

 

পুরানো দিনের গান

এই ড্রিমি ড্রিমি
সাগরের পাড়ে বন্ধু
এই হাল্কা ড্রাউজি সন্ধ্যায়

কে যে কোথায় চইলা যাবো
মনেও থাকবে না আর

তখন না থাকবো আমি
আর না থাকবা তুমি

মনে হবে মাঝে মধ্যে

এই ড্রিমি ড্রিমি সাগরের পাড়ে, বন্ধু
এইরকম ড্রাউজি সন্ধ্যায়

হাঁটতেছিলাম আমরা।

নাকি, তাও হাঁটি নাই?
হাঁটবো বইলা ভাবছিলাম
আর

ভাবাটারে সত্যি ভাইবা
একটা সিন ক্রিয়েট করছিলাম?

যেইখানে ড্রিমি ড্রিমি সাগরের পাড়
যেইখানে ড্রাউজি সন্ধ্যা… Continue reading

কবিতার বই: কালিকাপ্রসাদে গেলে আমি যা যা দেখতে পাবো (২০০৫)

আরেকটু হইলেই বিখ্যাত হইয়া যাইতে পারতো আমার প্রথম বইটা; ২০০৫ সালে যখন ছাপা হইছিল তখন প্রথম আলো’র সাহিত্য সাময়িকী তরুণদের ১০টা বই বাছাই করতো, ওইখানে নাম নাকি প্রায় চইলাই আসছিলো; বিচারকদের ৫জনের ৩জন নাকি পছন্দ করছিলেন আর ২জন পছন্দই করেন নাই, তো গোপন ভোটাভুটিতে হাইরা গিয়া আর বিখ্যাত হইতে পারে নাই। আমি পরে গোপনে এই খবর পাইছিলাম। এখন এইটারে গাঁজাখুরি গল্প কইলে আমার প্রমাণ করার কোন উপায় নাই। সো, এই ইনর্ফমেশনরে জাস্ট একটা সাত্বনার কথা হিসাবেই পড়তে পারেন।

তো, বিখ্যাত না হইলেও পুরান ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা হইলে অরা আমারে এই বইটার কথা-ই জিগায়। মানে, ওইখানে মাইরা ফালাইয়া রাখছে আমারে; কেউ কেউ নিয়মিত বিরতিতে, দীর্ঘশ্বাস গোপন কইরা জিগানও যে, “বইটা কি আর পাওয়া যায় না, কোথাও?” Continue reading

মে মাসে লেখা কবিতা, ২০১৬।

গ্রেগর সামসা

সকালবেলায়, একটা তেলাপোকা ঘুরতেছে শরীরে তোমার।
তোমার কানের পিছনে গুঁজে দিতেছে নিজেরে সে,
নেমে যাইতেছে কাঁধে, পিঠে
একটা মানুষ হইয়া জড়াইয়া ধরতে চাইতেছে তোমার সারা শরীর
আর ঠোঁটের উপর হয়া উঠতে চাইতেছে আরেকটাই ঠোঁট

সারি সারি পিঁপড়ার মতোন তোমার শরীরের ভিতর থেকে
জাগাইয়া তুলতেছে আরেকটা শরীর
শরীর, যা ঘুমায়, জাইগা উঠে আবার
আবার, আবার… আরেকটা শরীরই চায়

অনেক না-পাওয়ার পরে যখন ঘুম ভাঙবে তার
দেখবে, সকাল কই? এখন তো সন্ধ্যাকাল,
পর্দার ফাঁকে সূর্য এখনো তো ডুবে নাই!

তেলাপোকাটা হয়তো এখনো ড্রিমে,
আরেকটা মানুষেরই মতো
পিছন থিকা জড়ায়া ধরে রাখছে তোমারে

ঘুম ভাঙার পরেও অনেকক্ষণ, অনেকক্ষণ শুইয়া থাকবা তুমি
যেন ঘুম ভাঙে নাই, যেন কোন তেলাপোকা নাই দুনিয়ায়
যেন সূর্যটা ডুবতে গিয়াও ডুবতে আর পারবে না কোনদিন

হালকা আলোর একটা ঘরে সময়টা স্থির হয়া আছে
চোখ খুললেই সে যাইতে শুরু করবে, একটা তেলাপোকার মতোই, ধীরে ধীরে…

 

মিথিক্যাল

‪‎মিথের মধ্যে ‪মিথ্যাটাই সুন্দর।

 

রেইন, রেইন

আই লাভ, আই লাভ… শি সেইজ, শি সেইজ। শি ইজ টকিং লাইজ। টকিং লাইজ। ইটস ন্যাচারাল। আই টোল্ড হার। নো বডি গেটস হার্ট। ইউ নো দ্যাট। শি স্মাইলস। শি স্মাইলস। উইথ হার বিউটিফুল আইজ। শি ব্লিংকস। শি ব্লিংকস। লাইক দ্য রেইনড্রপস ফলিং অন দ্য ট্রিস। Continue reading

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: স্বপ্নের ভিতর (কবিতার বই)।

কবিতা নিয়া কিছু ধারণা আমার আছে; যেমন, কারো কবিতা সোসাইটিতে একসেপ্টেড হইবো কি হইবো না এইটা ঠিক হইতে মোটামুটি পঞ্চাশ বছরের মতো লাগে, কবিতাটা লিখার পরে। অনেক সময় একশ-দেড়শ বছরও লাগে, পাঁচশ বছরও লাগতে পারে। ইট ডিপেন্ডস। অনেকে অবশ্য পড়ার পরেই বুইঝা ফেলতে পারেন, সেইসব আপনিদের কথা আলাদা। অনেকে তো আমার নাম শুইনাই (বা শুনেন নাই বইলাও হয়তো) বইলা দিতে পারেন, এর কিছু হয় না। তো, পঞ্চাশ বছর ওয়েট করারও তেমন কিছু নাই। একটা অ্যাভারেজ টাইমলাইনের কথা ভাবলাম আর কি। অনেককিছু স্পষ্ট হইতে তো টাইম লাগে, অনেককিছু বাতিল হইতেও। তারপরও অনেকসময় যেইটা থাইকা যায়, সেইটা কবিতা না সবসময়। থাকতে থাকার মতো অনেককিছুই আছে দুনিয়ায়, সেইসবকিছু কবিতা কিনা এখনো শিওর না। তারপরও বাঁইচা থাকলে মরার লাইগা পঞ্চাশ বছর ওয়েট তো করাই যায়।

এই কবিতার বইয়ের কবিতাগুলির পাঁচ/ছয় বছর হইছে। আমার সবচে বেশি মার্কেট পাওয়া বই; মানে, আমার পরিচিত অনেকেই এই বইটার কথা বলছিলেন, সেই কথা-বার্তা থিকা ধারণা করলাম। বইটার অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন বানানো হইছিল গত ফেব্রুয়ারিতে, সেইটা দেখলাম একশবারের বেশি ইন্সটল করা হইছে; একশ কপি বই যে সেল হয় নাই এইটা আমি মোটামুটি শিওর। তো, অ্যাপ তো খারাপ না। সেলিব্রেট করলাম ব্যাপারটা এই পোস্ট দিয়া। স্যাম্পল হিসাবে কবিতাও রাখলাম লগে, কয়েকটা।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের লিংক: http://bit.ly/1Ra9Nzi

 

—————————————

 

স্বপ্নের ভিতর

অনেকদিন পর স্বপ্নে তোমারে দেখলাম। স্বপ্নে তুমি আরো সহজ আরো সাধারণ। প্রাত্যহিক জীবনে আমরা কথা-বার্তা বলতেছি আর তখনো আলাদা থাকি আমরা। তুমি আসছো আমাদের বাড়ি। স্বপ্নের ভিতর তোমার নাকে নাই কোন নাকফুল।

কী করবো এই নিয়া চিন্তিত তুমি আমি ক্রমাগত অপশন বলছি তুমি পলিটিকস এর কথা ভাবতে পারো কিংবা গ্রামে নারী-শিক্ষা প্রসারে প্রতিটা ইউনিয়নে একটা গার্লস-স্কুল করার সামাজিক আন্দোলন করো। কতকিছু করার মতো আছে আর তুমি ভাবতেছ শুধু। অথচ আমি বুঝি নাই এইটাই ত ভালো! কী কী করা যায় এই বিষয়ে যদি সারাদিন ধইরা কথা বলতে পারতাম আমরা!

বাস্তবে যখন তোমারে দেখছিলাম তখন তুমি স্বপ্নের ভিতর কোঁকড়ানো। স্বপ্নে তুমি যে কোন একটা বাস্তবতার মতো।

Continue reading