এপ্রিলে লেখা কবিতা, ২০১৬।

~ ইট বিছানো রাস্তা ~

একটা ইট
আরেকটা ইটের পাশে
আরেকটা ইট আরেকটা ইটের পাশে
এবড়ো থেবড়ো, কিন্তু
পাশাপাশি
মাঠের ভিতরে,
একটা রাস্তা থিকা আরেকটা রাস্তা অব্দি
হাঁইটা গেছে;

একটা পা মিস করতেছে আরেকটা পায়েরেই
বৃষ্টির দিনে…

 

পুরষ্কার

ছয়টা মেডেল গলায় ঝুলাইয়া ছবি তুলতেছি

মরার পরে মেডেল ছয়টা ছবির গলায় ঝুলাইয়া দিবো

 

Continue reading

কবিতার বই: অশ্বত্থ বটের কাছে এসে (২০১০)।

বইটা ছাপাইছিলাম ২০১০ এর বইমেলায়। সুমন ভাই (সুমন রহমান – কবি, কথাসাহিত্যিক ও জনসংস্কৃতির বিশ্লেষক) বাঙলায়ন-এর অস্ট্রিক আর্যুর সাথে যোগাযোগ করাইয়া দিছিলেন। বইয়ের কাভার করে দিছিলেন শিবু কুমার শীল। অস্ট্রিক আর্যু অল্প টাকা নিয়া বইটা ছাপাইয়া দিছিলেন।  বইমেলায় উনার স্টলেও রাখছিলেন। ছাপানোর পরে আমারে ৫০/৬০ কপি দিছিলেন। বেশ কিছু বইয়ের ছাপা ঠিকমতো হয় নাই, ডাবল শেড চইলা আসছিলো। যা-ই হোক, বন্ধু-বান্ধবদেরকে দেয়া গেছিল বইটা; বলা গেছিল, একটা কবিতার বই ছাপাইছি আমি।

বইয়ের ফ্ল্যাপে ফেসবুকের নোটে করা ফ্রেন্ডদের (সুমন রহমান, জিফরান খালেদ, কাজল শাহনেওয়াজ, আবু আহসান মিশু, সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, আমিনুল বারী শুভ্র, আবদুর রব, ভাস্কর আবেদীন) কমেন্ট ছাপাইয়া দিছিলাম। ফ্রেন্ড বইলাই হয়তো প্রেইজ করছিলেন উনারা। বা এমন তো হইতেই পারে, খালি ফ্রেন্ড বইলা না, এমনিতেও কবিতাগুলি আসলেই পছন্দ করছিলেন – এই বেনিফিট অফ ডাউটও তো থাকেই সবসময়। যেহেতু লিখছি, কেউ না কেউ পছন্দ তো করতেই পারেন।

কবিতাগুলি ২০০৬ থিকা ২০১০ এর মধ্যে লেখা। অনেকদিন না-লিখার পরে লিখতে শুরু করার সময়ের লেখা এইগুলি।

১৯৯৩ থিকা ১৯৯৯-এর শেষ বা ২০০০-এর শুরু পর্যন্ত প্রচুর লিখতাম আমি। তখন কাগজ কলমে লিখতাম। তারপরে ২০০৩-এ একটা কবিতা লিখি। তারপর মেইনলি ২০০৭-এ আবার লিখতে শুরু করি; কম্পিউটারে। তো, ২০১০-এ আইসা মনে হইলো কিছু কবিতা তো লেখা হইছে, একসাথে কইরা বই ছাপায়া ফেলি। বইয়ে ২৫টা কবিতা রাখা আছে।

এই বই আর কিনতে পাওয়া যায় না। আমার কাছেও একটাই কপি আছে। তো, গত ফেব্রুয়ারিতে বইটার ই-বুক আর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বানানো হইছিল। কেউ ইন্টারেস্টেড হইলে পড়তে পারেন।

ই-বুকের লিংক

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের লিংক

Continue reading

মার্চে লেখা কবিতা

মোতিঝিল

মনে যারে চায় না
মোতিঝিলে সে থাকে
তার থাকতে থাকার পাশে
একটা শাপলা ফুলও নাকি আছে

মনে যারে চায় না
মনে কি আর সে থাকে,

থাকে মোতিঝিলে

 

সামার ওয়াইন

লেলাইয়া দেয়া কুত্তা দুইটা তোমার
মাঠে মাঠে খুঁজে যাইতেছে আমার-ই গু,
পাতা-ছাড়া বটগাছটার শিকড়ে
কাঁটাওলা বেগুনি ফুলের ঝোপটাতে
নাক তাঁদের ঢুইকা পড়ে

কি যে পেরেশানি,
ওরা থামতেই পারে না
না পাইয়া ঘেউ ঘেউ করতেই থাকে
(মনেহয় দেখায় তোমারে
এখনো যে খুঁজতেছে)

তোমার রুমালের কাছে
আমার থাইকা যাওযা গুয়ের গন্ধ
ওরা আর ভুলতেই পারে না
মনেহয় একশো আটটা নীল পদ্মের শেষ পদ্ম এইটা
অথবা এমপি ইলেকশনে রুলিং পার্টির নমিনেশন পাওয়ার লাস্ট চান্স
অথবা তাঁরা কুত্তাটাই দুইটা
মানুষ হওয়ার বেদনা ভুইলা থাকতে চায়

বিজি রোডের পাশে দাঁড়ায়া থাকে, মাঝে মাঝে একটু উদাস

হয়তো ভাবে কোনদিন চইলা যাবে
আবারও মাঠে, আমার গু-য়ের গন্ধ নিয়া নাকে
ঘুইরা বেড়াবে সারাদিন, সারামাস…

এইবার সামারে ওরা হয়া উঠবে আরো অ্যাডভেঞ্জারাস

কবিতা লিখতে বইসা ভাববে,
এ কেমন পকরিতি বাল কোন গু-য়ের গন্ধ নাই,

হোয়াই? Continue reading

– কবিতা লেখা –

কবিতা লেখার লাইগা যখন আপনারে একটা বেকুবি ইনভেন্ট করার দরকার পড়ে তখন কবিতা লিখাটা বেশ কঠিনই হওয়ার কথা। [অবশ্য বেশিরভাগই তো ‘কঠিনেরে ভালোবাসিলাম…’, পাতলা পায়খানার চাইতে কোষ্ঠকাঠিন্য বেটার – এইরকম উপমা দিয়া বাইর হইয়া যাওয়া যায়।] কারণ এইটা এমন একটা কিছুরে প্রজেক্ট করে যেইটার গোড়া আসমানে থাকে সবসময়। চালাকির এগেনেইস্টে বেকুবি দিয়া কোন কবিতা লেখা হয় না, একইভাবে চালাকি করতে পারাটাই তো কবিতা না কখনোই – কিছু টেকনিক, স্কিল বা প্যার্টানের ভিতর নিজের ইমোশনরে আটাইতে পারাটা। কবিতা বানাইতে হয়, বানানো যায়; কিন্তু সোসাইটিতে ক্রাইম করতে থাকা পাওয়ারফুল লোকজনের জোর কইরা ইনোসেন্ট হইতে চাওয়ার মতো আগলি জিনিস আর হয় না।

 

বিভিন্ন বাণী

‘গোরুটি কার?’

 

‘বাছুর হারাইলে মাগো এইরমই হয়…’

 

‘নদীর ধারে, কানতে দেন তারে’

 

‘অশ্রুসজল’ (মানে কানতে পারতেছেন না তত একটা, চাইতেছেন এমনিতে…)

 

‘হৃদয় বাষ্প পাম্প কইরা বাইর কইরা দেন’

 

‘তোমার সাজেশন আপনিই রাখেন’

 

‘আসছে গরমকাল, ঘাড়ে গামছা নেন’

 

‘আমাদের বাড়ী আইসেন, বটবৃক্ষতলে’

 

‘ধানের খেতের পাশে, পড়বো না পিছলাইয়া’

 

‘আপনি না ম্যান আছেন’

 

‘ম্যানারিজম আছে না একটা, কি বলেন!’

 

‘হৃদয়পুষ্প মরে যায়’

 

‘মরলে তো কান্দার নিয়ম আছেই’

 

‘হি হি হি… আমরা খুব ফানি, তাই না?’ Continue reading