এইটা ওদের লাইগা কঠিন কিছু না
উল্লুকটারে কবিতা লিখা শিখানোটা:
পয়লা তারে ওরা চেয়ারে বাইন্ধা ফেলে,
এরপরে পেন্সিলটা গিঁট দেয় তার হাতে
(কাগজটা অলরেডি পেরেক দিয়া লাগানো ছিলো নিচে)। Continue reading
এইটা ওদের লাইগা কঠিন কিছু না
উল্লুকটারে কবিতা লিখা শিখানোটা:
পয়লা তারে ওরা চেয়ারে বাইন্ধা ফেলে,
এরপরে পেন্সিলটা গিঁট দেয় তার হাতে
(কাগজটা অলরেডি পেরেক দিয়া লাগানো ছিলো নিচে)। Continue reading
ঞমপজদ
বৃহ ঞমপজদ! বৃহ ঞমপজদ! মগপদডগ টগ টগপ উবৃসটহ বগনড সৃ।
দুপুর
পর্দাটা উড়তেছে একটু, পুরের জানালার।
সময় চইলা আসলো সিলিং ফ্যানের সুইচ টিপার।
আসতেছে গরম, বসন্তের দিন।
থ্রিলার
বাতাস বসন্তের। কুয়াশা মিশতেছে ধূলায়। বাজারের ব্যাগে গলা বাইর কইরা উঁকিঝুঁকি দিতেছে শীতের সব্জিরা। রিকশায়, হেডফোনে, চলে যাইতেছিল গান। ‘মি. ওয়াটসন, কাম হেয়ার -’ বলতেছিল, ধূলা-মাখা গাছটা।
একটা মেয়ের সাথে হেঁটে যাই আমি কোন কথা না বলেই
রাস্তায় শে আমারে দেখছিল। এখন সন্ধ্যা,
প্রশস্ত পথের পাশে গাছ আর আলোদের সারি।
থার্ড টাইম দেখা করতেছি আমরা।
অস্বস্তিকর ডিসিশানটারে আরো কঠিন কইরা তোললো মেয়েটা:
ক্যাফেতে বসাটা বাদ হয়ে গেছিল কারণ মানুষের ভীড় আমাদের ভালো লাগে না,
আর সিনেমাহলের অপশনটাও, কারণ প্রথমবার আমরা গেছিলাম
সেইখানে… ওইখানে আবার যাওয়াটা ঠিক হইবো না
কারণ আমরা তো আর প্রেমে পড়ি নাই।
এইজন্য চলো হাঁটতেই থাকি
পো পর্যন্ত, ব্রীজটার কাছে যাই, আর তাকায়া থাকবো নে প্রাসাদের আলোগুলির দিকে
যেইখানে স্ট্রীটল্যাম্পের আলোগুলি পড়ে পানিতে।
থার্ডটাইম ডেইটের ডেডনেস আমাদের।
একজন অপরিচিত মানুষরে যদ্দূর জানা দরকার তার সম্পর্কে আমি ততটুকই জানি,
যে তারে একটা অন্ধকার রুমে জড়ায়া ধরছিল আর চুমা খাইছিল
যেইখানে অন্য কাপলরাও জড়াজড়ি করতেছিল,
যেইখানে ছিল অর্কেষ্ট্রা – একটা সিঙ্গেল পিয়ানো – বাজাইতেছিল আইডা
এভিনিউ দিয়া হাঁইটা যাই আমরা, আর অন্য সবার মতো।
এইখানেও একটা অর্কেস্ট্রা, ক্যাড়ক্যাড়ানি আর গান-গাওয়া,
একটা যান্ত্রিক গোলযোগ, ট্রামের ঝাঁকুনিগুলির মতোন।
তারে আমি আমার দিকে টানি আর তাকাই তার চোখের দিকে:
নিরবে শে তাকায় আমার চোখের দিকের আর হাসে।
আমি জানি তারে, যেমনটা আমি সবসময় জানি সব মেয়েদের সম্পর্কে:
যে শে চাকরি করে, শে দুঃখী, আর যদি আমি তারে জিগাই,
“আজকে রাতে তুমি কি মরতে চাও?” শে হ্যাঁ বলবে।
“আর আমাদের এই এইটুক প্রেম?” “আমাদের প্রেম তো অন্যরকম কিছু,
এইটা শুধু এই মুহূর্তের।” (ওর একটা বয়ফ্রেন্ড আছে।)
আমরা না আমরা
‘পরকালে তুমি আমাদের হইও’
পরকালে তুমি থাকবা ত?
মানে, পরকাল তো আছে একটা, তাই না?
তুমি আর তোমার পরকাল থাইকো কিন্তু…
তখন আমরা না আমরা আমরাই থাকবো
আর কাউরে দেখবো না
আর যেহেতু দেখবো না
অরা নাই, আমরাই থাইকা যাবো তখন
আমরা আর আমরা
মানে, আমি-ই তো
আমি আর তুমি যেই আমরা, তারা;
সেইরকম হবে ব্যাপারটা, বুঝছো…
ফিউচাররে ঠেলা দিয়া পরকালে
নিয়া যাবো আমরা…
পরকালেও দেইখো থাকবো কিন্তু আমরা,
ঠিকাছে না? হুমম…
আগর
আগর গাছের ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং। দেখতে অন্য যে কোন গাছের মতোই। কিন্তু ঘটনাটা ঘটে যখন পোকাগুলি গাছটা খাইতে শুরু করে। গাছের শাদা শাদা গুড়ি নিচে পড়তে থাকে, আর গাছের ভিতরটা কালো হইতে থাকে। অনেক সময় দশ বারো বছর লাগে গাছের একটা অংশ নষ্ট হইতে। ওই কাঠ কাটার পরে কালো অংশ আলাদা কইরা ত্রিশ দিন পানিতে ভিজাইয়া, আরো ত্রিশ দিন চুলাতে জ্বাল দিয়া আগরের লিকুইড সুগন্ধি বানানো হয়। এক কেজি কাঠ থিকা এক গ্রাম পাওয়া যায়, ম্যাক্সিমাম। তবে সবচে মজার ব্যাপার হইলো, সব গাছে পোকা ধরে না, খুব কমই ঘটে এইরকম ঘটনা। তখন পুরা গাছে পেরেক মারতে হয়, পেরেকের ঘায়ে গাছটা পঁচতে থাকে। পেরেকগুলি একটা সময় গাছের ভিতরেই ঢুইকা যায়। গাছটা কাটার পরে দেখা যায় পেরেকের আশেপাশের জায়গাও কালো হইয়া আছে, ওইটুক কালো পেইনটা দিয়া তখন আগর বানানো হয়। ন্যাচারালের চাইতে কোয়ালিটি লো হয় অবশ্য। গাছে এইরকম পেরেক লাগানোরে বলে – নেইলিং। ছবি তুললাম একটা।
এই দুনিয়ায় বাঁইচা থাকাটা কিছুই না, একটা বিশাল স্বপ্ন খালি;
তারে আমি খুব কষ্ট বা যত্ন কইরা নষ্ট করবো না
এর লাইগাই, সারাদিন ধইরা মদ খাইছিলাম আমি,
পইড়া ছিলাম আমার দরজার বাইরে, উঠানে, চিৎ হইয়া।
জাইগা উইঠা, বাগানের ঘাসের দিকে তাকাইছিলাম আমি
একলা একটা পাখি গান গাইতেছিল ফুলগুলির মধ্যে।
নিজেরে জিগাইলাম আমি, দিনটা কি গোমড়া ছিল নাকি ঠিকঠাক?
বসন্তের বাতাস বলতেছিল সেইকথা ম্যাংগো-বার্ডটার সাথে। Continue reading