আমার দোস্ত মরতে গিয়া
মরার মতো বইসা আছে
অফিসের ডেস্কের সামনে
সে ত আছিলো ক্লাশে,
ভাবছিলাম বাসায় গেছে
এখন দেখি একটা অফিসে Continue reading
আমার দোস্ত মরতে গিয়া
মরার মতো বইসা আছে
অফিসের ডেস্কের সামনে
সে ত আছিলো ক্লাশে,
ভাবছিলাম বাসায় গেছে
এখন দেখি একটা অফিসে Continue reading
লাইক, আরেকটা দুনিয়ায় গেছি, ঘুরতে
ফিরা আইসা নাস্তা করবো, গোসল কইরা বাইরে হবো,
তখন ঘোড়া-মুখ, ঘুইরা বেড়াবো, রাস্তার-বাতাসে…
লাইক, আমাদের দেখা হইতে পারে, এই ওয়ার্ল্ডেও
যেইখানে ফুটপাতে ছেঁড়া-কাগজ, পত্রিকার-স্ট্যান্ড, অনেক অনেক পা
জোড়ায় জোড়ায় ঘুইরা বেড়াইতেছে; তাদের পায়ের ফাঁকে
আমরার পা ঢুকে গেলো; লাইক, ইনসার্ট কইরা নিলাম নিজেরে
ফুটপাত-রিয়ালিটিতে, তারপরে দোকানে, তারপরে রাস্তায় আবার
লাইক, আমরা ঘুরতেই থাকলাম, মাইনষের শরীরের ঘ্রাণ ভালোবাসে, বাতাসে…
কড়ইগাছের পাতার ফাঁকে চাঁদ
পুরান, ভাঙা
কোন ছোট শহরের
রাত, আসছে আবার
একলা সেই দেশেও চাঁদ
লোকাল অ্যাটমোস্ফিয়ারেই আছে
বিদেশে শে যাইতে পারতেছে না Continue reading
কাজী নজরুল ইসলামের এইসব নিয়া ত অনেক লেখা হইছে। অনেকলেখা পড়ি নাই; তারচে বেশি আসলে পড়তে পারি নাই। কারণ আলাপের একইরকমের প্যার্টানটাতেই আটকাইয়া গেছি; যারা লিখছেন, উনারা হয়তো বলছেন নতুনকিছু, কিন্তু পুরানা-ভঙ্গির ভিতর নতুনের-আশা আমার মইরা গেছে অথবা সাহিত্য যে খালি পুরানেরই রিপিটেশন এই আইডিয়াতেই আমল আনতে পারি নাই আর!
তো, কাজী নজরুল ইসলাম নিয়া নতুন কইরা আলাপ করার ইচ্ছা হইলো কাজী মোতাহার হোসেনের স্মৃতিকথা বইটা পইড়া। উনার বইটাতে নজরুল’রে নিয়া কয়েকটা লেখা আছে, ওইগুলার বেসিসেই কবি নজরুল ইসলাম’রে বোঝার একটা কোশিশ (নজরুল-এফেক্ট) করা।
কাজী মোতাহার হোসেন লিখতেছিলেন –
সে যুগে (১৯১২) চোস্ত ভাষা বলতে বঙ্কিমী ভাষাই বুঝাত;… দেখা যায় ততদিনে (১৯১৯) ভাষাটা অনেকটা রাবীন্দ্রিক হয়ে এসেছিল আর ভাবও প্রায়ই রবীন্দ্রনাথের থেকে ধার করা… একটা সময় (১৯২৬) লক্ষ করলাম, আমার ভাষার বঙ্কিমী ও রাবীন্দ্রীক ভাব কেটে গিয়ে একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য এসে পড়েছে। দীর্ঘ সমাস, আর দুরূহ শব্দ বিদায় নিয়েছে; ভাষা হয়ে উঠেছে সহজ, প্রাঞ্জল আর বাহুল্যবর্জিত বা অনাড়ম্বর – যাতে পরিমাণ মত মূর্চ্ছনা থাকলেও গিটকারীর প্রাধান্য নেই। (কাজী মোতাহার হোসেন, আমার সাহিত্যিক জীবনের অভিজ্ঞতা, স্মৃতিকথা, প. ৭৩ – ৭৫)।
যদিও উনি ক্লেইম করছেন যে, বঙ্কিম ও রবীন্দ্রনাথের চাইতে উনার ভাষা চেইঞ্জ হয়া আসছে, ততো একটা হয় নাই আসলে; বাহুল্য, অনাড়ম্বর আর প্রাঞ্জলতা – এইসবকিছু রয়া গেছিল বা আছে; এই যে চেইঞ্জ, এর গরিমা উনি দিছেন ওই সময়কার মুসলমান লেখকদের কনশাস এফোর্ট’রে, শিখা-গোষ্ঠীরে; হয়তো এইটা উনারে দাবি করতে হেল্প করছে, কিন্তু সাহিত্যে বুঝতে পারা এবং লিখতে পারা দুইটা আলাদা আলাদা ঘটনা; উনার ভাষা-বদল বইলা যদি কিছু ঘইটা থাকে সেইটা জায়েজ করার কথার মতো সাহিত্যিক উদাহারণ হিসাবে তার আগ পর্যন্ত কাজী নজরুল ইসলামই আছিলেন। Continue reading
[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
অনেক কবিতা লিখতে লিখতে
লিখতে থাকার ভিতরে
কবিতার দালানরে আমি ধসাইয়া দিবো,
মিশাইয়া দিবো ধূলাতে, অন্ধকারে…
বাদুড়ের মতো অন্ধ হয়া তখন
পাঠকেরা খুঁজতে থাকবে
কবিতা, তুমি কই যে গেলা! Continue reading