খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার পাবলিক ফোনালাপ

“ছোট একটা জায়গা, ছোট্ট একটা জায়গার মধ্যেই আমি ঘুরি।” – খালেদা জিয়া।

 

বাহুল্য-ই হইতেছে কবিতা। আমাদের কথাবার্তার ভিত্রে যেইসব কথা না-বললেও কোন সমস্যা নাই, অ-দরকারি; সেই জায়গাগুলারে আমরা কাব্য/কবিতা হিসাবে কনজিউম করতে পারি। এইটার আরেকটা প্রমাণ পাইলাম খালেদার জিয়ার কথাতে; যেইখানে তিনি বলতেছেন, “ছোট একটা জায়গা, ছোট্ট একটা জায়গার মধ্যেই আমি ঘুরি।” অডিওটা আমি শুনি নাই, যে অল্প একটু ট্রান্সক্রিপ্ট করা হইছে সেইটুকুই পড়ছি বাংলানিউজটুয়েন্টফোরডটকমে; যেহেতু পুরাটা শুনি নাই, শেখ হাসিনাও হয়তো এইরকমের অ-দরকারি কথা বা কাব্য/কবিতা বইলা থাকতে পারেন। Continue reading

নীল ফুল

এই যে মেয়ে বইলা তারে নীল ফুলে স্তিমিতকরণ

অথবা তার যে অ্যাক্টিভিটি; যেমন, আইসক্রীম-খাওয়া

ছবি-তোলা, হাসতে-পারা; তারেই বলা – শে;[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

 

শে তো আমার নয়!

Continue reading

ভাস্কর চক্রবর্তীর কবিতা: সেলিব্রেটিং অ্যা ‘ট্রু’ পোয়েটস লাইফ

 

তুমি আমার ঘুম, ভাস্কর চক্রবর্তী, প্রতিভাস, ১৯৯৮। পৃষ্টা: ৬৪।

ভাস্কর চক্রবর্তী’র এই কবিতার বইটা আমি তখন পড়ি নাই; শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণাটা যখন পড়ছিলাম। অবশ্য তখনই পড়া যাইতো, কিন্তু উনার একটা বই পইড়াই সন্তুষ্ট ছিলাম যে, উনার কবিতা পড়া হইছে।

আমাদের সময়ে কবিতা লিখেন বইলা যাঁদের সাথে পরিচয় আছে, উনারা সবাই দেখি ভাস্কর চক্রবর্তীরে চিনেন। শীতকাল আসার আগে আগে উনার কবিতার বইটার নাম নেন, আমিও কইছিলাম একবার হেমন্তের বাতাসে শীতের গন্ধ পাইয়া যে, শীতকাল চইলা আসলো,সূপর্ণা! কিন্তু অ্যাজ সাচ উনার কবিতা নিয়া তেমন কিছু শুনি নাই, বাংলাদেশে।

বা হয়তো বলছেন লোকে; বলাবলি’র ভিতরই যে সবসময় সবকিছু থাকবো, তাও ত না। কতকছিুই ত পইড়া আছে। আমিও বলি না। কিন্তু এই বইটা পড়ার পরে ভাবলাম যে, কিছু বলা যায়; যা কিছু আমরা পড়ি, তা নিয়া কিছু ত বলার থাকে। হয়তো মাঝে-মধ্যে বলি; মাঝে-মধ্যে বলি না। এইক্ষেত্রে, বলা আর না-বলা খুব কাছাকাছি কিছু জিনিসই শেষ পর্যন্ত – এইরকম একটা স্বস্তিও থাকে আর কি!

এমনিতে, উনার সর্ম্পকে ট্যাগ লাইন ছিল আমার ‘মধ্যবিত্তের কবি’ ( শক্তি চট্টোপধ্যায় একটা এস্কেপ পয়েণ্ট পাইয়া গেলেন)। উনি মধ্যবিত্ত লাইফটারে খুব এনজয় করছেন উনার কবিতায় – এইরকম ভাসা ভাসা কিছু ব্যাপার ছিল মনে হয়। যা-ই হোক, সেইটারে খুব একটা আর মনে রাখি নাই। উনার কবিতা পড়তে ত ভালোই লাগে এবং আসলে শব্দের কিছু সূত্র ধরতে পারলে আমার ধারণা অন্য অনেকের কবিতাই পড়তে খারাপ লাগার কথা না। কিন্তু একটা সময় পরে, কবিতার শ্রুতিমধুরতাও ক্লান্তিকর হয়া উঠতে পারে, ১০ বার, ২০ বার বা ৫০ বার পড়ার পরে। রিপিটেটলি, এইটা যদি তার মিনিংরে রিডিফাইন না করতে পারে। এইটা ভাবতে গিয়াই সম্ভবত মনে হইলো যে, উনার কবিতা আসলে একটা কোর জায়গারে ডিফাইন করে, বারাবার। অন্য প্রায় সবার কবিতাই তো! Continue reading

শ্রাবণের দিনে লেখা

আমার বারবার তোমারে দেখতে ইচ্ছা করতেছে;

আমার মুছে দিতে ইচ্ছা করতেছে তোমার গালের মলিনতা

বিষন্ন শাদা;

 

বৃষ্টিদিনের মুগ্ধতা নিয়া তুমি

করতেছো হাসি-ঠাট্টা;

মিলান কুন্ডেরার ট্রাজেডি নিয়া

আমার কি ঠিক হইবো ফার্সিক্যাল হওয়া?

Continue reading