একদিন খুব লেখা হইলো [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
একদিন খুব লেখা হবে
ভেসে যাওয়া বাতাস শুধু নয়
মুখ-গোমড়া করা সন্ধ্যাবেলা বলবে
‘আসো, লুকাও আমার শব্দে’
একদিন খুব লেখা হইলো [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
একদিন খুব লেখা হবে
ভেসে যাওয়া বাতাস শুধু নয়
মুখ-গোমড়া করা সন্ধ্যাবেলা বলবে
‘আসো, লুকাও আমার শব্দে’
বসন্তের বাতাস
মিশে আছে তার শ্বাস
অথচ আমরা কেবলই বিষাদ
পার হতে গিয়া সরে সরে আসতেছি
এক ও অপর এর কাছ থিকা
প্রতীক ও তার সম্ভাব্য ইন্টারপ্রিটেশনের ভিতর
মিলাচ্ছি ক্রোধ, না-পারা আর ধারণার বিভীষিকা [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
আজ, এই মুহূর্তে
আমি তোমার বোকা বোকা হাসির ভিতর একটুখানি অস্বস্ত্বি
বসন্তের বাতাসের ভিতর যেমন মিশে আছে শীত-গন্ধ
তেমনই অস্বীকার – আমি তোমার!
বোবা পারফেকশনের চাইতে যে বেছে নিছে ব্যাকুল হাহাকার!
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৩
তুমি যে আসো না আর আমার ঘরের কোণায় [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
বসো না সোফায়
কোণাটা খালি খালি লাগে
আমি সেইখানে একটা ল্যাম্প রাখতে চাই, বেতের
মারা যাওয়ার পরে আমার মুখটা কেমন দেখাইবো?
সেইটা দেখার লোভে আর ত মরা হইলো না।
হয়তো আরো চ্যাপ্টা, ফোলা-ফোলা
কথা না বলা, শ্বাস চাইপা রাখা, অনেক অনেক ক্রোধ, আর যা যা বলা গেলো না… [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
একটা মৃত্যুর কথাই আমার মনে আছে;
যখন মারা গেলেন আমার তিনি,
তখন কেউ একজন জানি বাইর হয়া গেলেন ঘর থিকা
নিরবে, অভিমানে –
তোমরা কেউ আমারে দেখলা না!
তানিম কবির : কবিতা কেন লিখেন— একজন কবি এই প্রশ্নটির উত্তর দিতে বাধ্য কি না? যদি বাধ্য নন— তো কেন? আর হোন যদি— আপনার প্রতিও একই প্রশ্ন; কেন লিখেন কবিতা?
ইমরুল হাসান: একজন কবি কবিতা কেন লিখেন সেইটার উত্তর দিতে বাধ্য না। কারণ এই জিজ্ঞাসা আইনের আওতায় পড়ে না। তবে কে প্রশ্ন করতেছেন সেইটার উপরেও নির্ভর করে। যেমন, পুলিশ বা উকিল, থানাতে বা আদালতে জিজ্ঞাসা করলে কবি আইনত বাধ্য মনে হয় (কনফিউশন অর্থে)। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেও উত্তর দিতে হয়। এইখানে সেইরকম একটা কিছু অনুমান কইরা উত্তর করতে গেলে বলা যায়: কবিতা লেখাটা একটা বয়সের পরে অভ্যাসই মনে হয় (নিশ্চিতি অর্থে), মাঝে মাঝে অনিচ্ছাতেও হয়তো লেখা যায়।
তা. ক. : ‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি’— এই ‘কেউ কেউ’ বা ‘কারও কারও’ কবি হয়ে ওঠায় ঐশীপ্রাপ্তির কোনও ঘটনা থাকে কি? নাকি পুরো ব্যাপারটাই রেওয়াজ নির্ভর? আপনার কী মনে হয়?
ই. হা.: শিউর না। রেওয়াজেরও ত দরকার আছে। যেমন গজল-গায়ক মেহেদি হাসান একটা ইন্টারভিউতে বলতেছিলেন ব্যায়ামের কথা, যা খুবই দরকারি ‘দম’ বাড়ানোর জন্য। কবিদের ক্ষেত্রে একটা সময় যে ড্রাগসের ব্যাপার ছিল সেইটাও মিথ্যা না। মানে, নানান রকমের রীতি ও রেওয়াজ থাকতে পারে।
অন্যদিকে বাঁইচা যে আছি এবং এখনো যে মরি নাই এইটাও একটা ঐশী ঘটনা, তাইলে কবিতা লেখার ঘটনা বাদ থাকে কেমনে! মানে, ব্যাপারটা পারস্পেকটিভের, যিনি দেখতেছেন তার ব্যাপার; যিনি লিখতেছেন উনার দিক থিকা ব্যাপারটা (ঐশীতা এবং রেওয়াজ-নির্ভরতা) খুব বেশি সিগনিফিকেন্ট কিছু না।
তা. ক. : এখনকার কবিদের ছন্দবিমুখতার কারণ কী বলে মনে হয় আপনার? কবিতার জন্য ছন্দের প্রয়োজনীয়তা কতোটুকু? কবিতার স্বতঃস্ফূর্ত বিস্তারে ছন্দ আপনার কাছে সহায়ক নাকি প্রতিবন্ধক?
ই. হা.: যদি আমি নিজেরে ‘এখনকার কবিদের’ অর্ন্তভুক্ত করি তাইলে আমার নিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি পরিশ্রমের অভাব। অথবা এইটা যে খুব দরকারি একটা জিনিস এইটা ফিল না করতে পারাটাও একটা কারণ হইতে পারে।
কবিতায় ত ‘ছন্দ’ এর দরকার আছে। মানে, প্রচলিত ছন্দের (অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, স্বরবৃত্ত…) কথাও যদি ধরেন।
আমি প্রচলিত ছন্দে ঠিক ইউজড টু না। কিন্তু কেউ হইতে পারলে ভালো। Continue reading