একটা পাত্থর
একটা পাত্থর সরানোর ট্রাই করতেছি অনেকক্ষণ ধইরা।
পাত্থরটা সরতেছেই না।
অনেকক্ষণ পরে বুঝলাম, পাত্থরটা আসলে নাই।
পাত্থরটা আমি বানাইছি আমার লাইগা।
পাত্থরটা এই কারণে সরতেছেই না।
আমি ভাবতেছি, এইটা তো নাই!
না-থাকা পাত্থরটারে তারপরও আমি সরাইতেই পারতেছি না।
নিউমার্কেটের পিছনের রাস্তাটা
রিকশা কইরা আসছি আমরা নিউমার্কেটের পিছনে। পোস্ট অফিস পার হয়া। বিজয় ৭১ হলের সামনে। দুপুরবেলা। চায়ের দোকানগুলি জমে নাই। বিকালের ভীড়ের লাইগা ঝিমাইতেছে প্লাস্টিকের চেয়ারগুলা। আমি ফুটপাতের একটা চায়ের দোকানের টুলে বসলাম। সিগ্রেট’টা ধরাইলাম। রইদ আইসা বসলো আমার লগে। তুমি তো আসতেই পারো। আমি ওয়েট করতেছি। আসলে আমি বইসা আছি একটা পারপাস নিয়া যে, আমি ওয়েট করতেছি। মানে, এমন যদি হইতো আমি একলা একলা চইলা গেছি নিউমার্কেটের পিছনে, দুপুরবেলা বইসা চা খাইতেছি, কোন কারণ ছাড়া। খুবই উইয়ার্ড মনে হইতে পারতো তো! এইজন্য আমি ওয়েট করতেছি। আমি আসছি তোমার সাথে। তুমি তো আসছো তোমার কাজে। একলাও আসতে পারতা। বা কোন ফ্রেন্ড নিয়া। তারপর ধরো, বইসা একসাথে চা খাইলা। বললা, কাজটা তো হইলো না! আরেকদিন আসা লাগবে! আমি ভাববো, এই যে কাজ বলা গেলো, কাম বললে তো সেক্সের কথাই ভাবা লাগতো একটু; একটু হাসি এড়ানো লাগতো। রইদ’টা তখন আমার এই কুটনামি দেইখা মুচকি হাসতে হাসতে সইরা যাইতেছিলো একটু একটু কইরা। আমি দেখলাম, তুমি আসতেছো। কাজটা শেষ হইছে তোমার। আর আসা লাগবে না। আইসা বললা। নিউমার্কেটের পিছনের রাস্তাটারে আমি দেখলাম আবার। রিকশা কইরা ফিরা যাইতেছি আমরা। রাস্তাটা অই জায়গাতেই পইড়া থাকলো। আমার লগে, আমাদের লগে আর তো আইলো না!
থাকো!
এইটুক জোর তো করা-ই যায়, আমি ভাবতেছিলাম।
এইটুক জবরদস্তি, থাকতেই পারে মেবি, কনফিউশনের জায়গাটাতে, একরকম।
যেমন শীতশেষের ঠান্ডা বাতাস যাইতে যাইতেই দুইটা দিন থাকতে চাইলো আরো;
তুমি বললা, অসহ্য!