কবিতা: মে, ২০১৮

সত্যি কথা

বলার ভিতর দিয়া যেই সত্যি বাইর হইলো
আন্ধারে একটা কালা বিলাইয়ের মতোন

হাঁইটা গেলো শে

 

তুমি হাসলা

আসো, কোন এক ইউরোপিয়ান ফিল্মের সিন হইয়া বইসা থাকি,
যেন কথা কইতেছি আমরা

অথচ ইংলিশ সাবটাইটেল ছাড়া কিছু বুঝতেই পারতেছি না

তুমি বলতেছো, ঠিক মতো ট্রান্সলেট করতে পারতেছো তো তুমি?

আমি তো এমনেই কনফিউজড, কইলাম
যারা দেখতেছে অরা কেউ তো আর এই ভাষা জানে না,
বা ধরো জানলোই,
ভুলভাল কথা কইতে পারবো না আমরা?

তুমি হাসলা,
যেন বাচ্চা ছেলের কান্ড মাফ কইরা দিলা…

তোমার হাসিও ট্রান্সলেট হইলো

কোন এক ইউরোপিয়ান ফিল্মের সিন হইয়া

 

In a Baudrillard’s world

U travel from simulation to an absence.
I travel from Ur absence to a simulation.

Continue reading

তুমি U, আমি I

ফান কইরাই লিখতেছিলাম মনেহয়, এইরকম একটা ফরম্যাটে। যেহেতু ফান, সিরিয়াসও হয়া যাইতেছিলো মনেহয় একটা সময়। এরপরে একইরকম, ক্লান্তিকর। তারপরে মেবি, জঘন্য। মনে হইলেও লিখতে ইচ্ছা হয় না আর। মাঝে-মধ্যে মনে হয়। এরপরে মনে হইলে, খারাপই লাগে। মনেহয়, লেখালেখি শেষ হইছে একরকম। ইচ্ছা হইলে পরে আবার কোন সময় লিখবো নে। লেইখা আর কি হয়, বাল! লেখার ভিতর কিছুই থাকে না।

২.
তো, লেখছিলাম যেহেতু, থাকলো একসাথে। একটা ব্যক্তিগত এপিটাফ।

৩.
মুশকিল হইলো লাইফটা লেখার মতো না যে, চাইলেই থামায়া দেয়া যায়। লেখাগুলিও লাইফের মতো না যে, চালায়া নেয়া যায়। যে যার মতো শুরু হয়, শেষ হয়। কিন্তু একটা মানুষের লাইফ বা লেখালেখিও কারো মেমোরি’তে আটকাইয়া থাকা কোন জিনিস না।

যে কোন তুমি আর যে কোন আমি থিকা যে কোন আমরা শুরু হইতে পারে তো, যে কোন সময়।
…………………………………………………………..
১.
তুমি মঙ্গোলিয়া, আমি উলানবাটোর
২.
তুমি U, আমি I
৩.
তুমি রিয়ালিটি, আমি ইমাজিনেশন
৪.
তুমি কোশ্চেন-মার্ক, আমি এক্সক্লামেটারি
৫.
তুমি বাচ্চা, আমি পুতুল
৬.
তুমি ইয়েলো, আমি ডার্ক
৭.
তুমি লাইফ, আমি টেক্সট
৮.
তুমি ল্যাক্সোটনিল, আমি নাপা
৯.
তুমি ইগো, আমি এগজিসটেন্স
১০.
তুমি বিলের পাড়, আমি তালগাছ
১১.
তুমি এক্সপেরিয়েন্স, আমি ইমাজিনেশন
১২.
তুমি আত্মা, আমি শরীর
Continue reading

জুতা আবিষ্কার

জুতা আবিষ্কার

দেখছি তোমার জুতা, স্বপ্নে পইড়া আছে;
অন্য কারো
হয়তো আমার না,
জমিদারের কাচারি ঘরের বাইরে
অন্য জুতার পাশে

যেহেতু অন্য কারো, হয়তো আমার না।

২৭.০১.২০১৪

 

জুতা আবিষ্কার

ঘুরতে বাইর হইয়া দেখলাম
তোমার অন্য জুতা

যেই জুতা চুরি হইছিল
যেই জুতা ছিলো আগে, নাই তারা

অন্য কোন জুতা বইলা
পা’গুলিরেই মনে হইতেছে
চিনি না

০১.০৭.২০১৬

 

জুতা আবিষ্কার

খাটের তলা থিকা এক জোড়া হাত আইসা
নিয়া যাইতেছে এক জোড়া কালা জুতা

হাত’টা দেখি খালি, চোর’টারে দেখি না

জুতা জোড়া খাটের তলা থিকা বাইর হয়া
চলে যাইতেছে দরজার দিকে

আমি দেখি আর বলতেও পারি না, কোন কথা

জুতা জোড়া চলে যাইতেছে আমার

আমার ঠ্যাংয়ের মেমোরি নিয়া…

১৩.১২.২০১৭

Continue reading

কবিতা: এপ্রিল, ২০১৮

কুত্তা আর বিলাইয়ের মতোন

কি সুন্দর সকাল,
রইদ আইসা চুপ কইরা বইসা আছে
কুত্তা আর বিলাইয়ের মতোন
মানুষের রাস্তায়…

রিকশাগুলি ঘুম ভাইঙ্গা হাত পা নাড়াইতেছে
মর্নিং ওয়াকে যাইতেছে কয়েকটা প্রাইভেট কার
নাই বাস, নাই সিএনজি,
উনারা মেবি গর্ভমেন্টের অফিসার আর ক্রিয়েটিভ মেন্টালিটি’র, একটু দেরি কইরা ঘুম ভাঙে
তারপরে জাগে,
যেইরকম বিউটিফুল থাকে মিলিটারির ব্যারাক আর পাবলিক ইউনির্ভাসিটিগুলির ক্যাম্পাস

একইরকম পলিটিক্যাল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে
বাইনারিগুলি মিলতে থাকে…

কি সুন্দর সকাল
বাতাসও আইসা কয়
অনেকগুলি হর্নের ভিতর চাপা পড়ার আগে…

 

মনেহয়

দুইটা মনে-হওয়ার ভিতর আমরা আটকায়া আছি,
আমার ভাষা তুমি বুঝতে পারতেছো না
আর তোমার ভাষায় আমার সন্দেহ থাকতেছেই

শব্দগুলি বিদায় কইরা দিতেছে আমাদের এগজিসটেন্স’রে
আমরা আলাদা আলাদা মিনিং যেন, একই কথার;
মুইছা যাইতেছি
শব্দগুলিও মারা যাইতেছে, ঘটনাগুলি
মোমেন্টের ভিতর তড়পাইতেছে

কই মাছগুলি যেমন
অদের শক্ত কাঁটাগুলি দিয়াও
সারভাইব করতে পারতেছে না,
কিছুই করার নাই,
কারণ এইটা তো আর পানি না এখন…

অনেকগুলি অচেনা গলির ভিতর দিয়া
চইলা যাইতে থাকা রিকশাও যেমন, সন্ধ্যায়
কই কই যে যাইতে থাকে,
তারপর মনেহয়
মিনিংয়ের মতোন কোন চায়ের দোকান
থাকতে তো পারে,
সামনে কোথাও…

‘ধরো থাকলোই,
তারপরও
দুইটা মনে-হওয়ার ভিতরই তো আমরা আটকায়া আছি’

 

লাইক অ্যা ট্রি

আমি দাঁড়ায়া থাকি, কিন্তু আমি ওয়েট করি না

লাইক অ্যা ট্রি
বাতাস আসে, আমার চুল আঁচড়ায়া দেয়;
হয়তো কোন ঝড় আইসা উপড়ায়া ফেলবে আমারে
অথবা কোন (একটা বাজে বাংলা-শব্দ) নগর-পরিকল্পনা’র প্ল্যান..

এইসব
আর আরো কতো কতো চিন্তা নিয়া

আমি দাঁড়ায়া থাকি, কিন্তু আমি ওয়েট করি না

Continue reading

কবিতা: ফেব্রুয়ারি, ২০১৮।

সন্ধ্যা

ইচ্ছা হয়,
অন্ধকার হইয়া বইসা থাকি
অন্ধকারের ভিতর…

 

অ্যা জার্নি বাই বাস

‘কেন সেই আমার মানুষেরা গান গাইলো না আর?’
– জিগাইতে গিয়া আমি আবার আটকাইলাম

গলার কাছ দিয়া সাপের মতোন উড়তেছিলো
বাতাসের দড়ি; আমি চুপ থাইকা কথা কইলাম,
শুনলাম কথা তাঁর; কতো কতো মানে যে কথার

‘কথাগুলি আসলে মিনিংলেস… খবরদার, তুমি ব্যাখ্যা
করবা না!’ – নিজে নিজে কথাগুলি তাদের ডালা
বন্ধ কইরা দেয়, নিইভা আসে কাহিনিগুলি তাঁর

ছবি দেখায়, ‘দেখো, আমার মানুষেরা গান গায়, ছাদে, সন্ধ্যাবেলায়…’

 

শুক্রবার

একটা শুক্রবার আইসা
আরেকটা শুক্রবার’রে বলে,

‘চলো যাই, একটা শুক্রবারের কাছে।’

Continue reading