পকরিতি’র বর্ণনা

বারিধারায়, গাছের সবুজ পাতাগুলার ফাঁকে, হঠাৎ দেখি লাল, কৃষ্ণচূড়া… এপ্রিলে, অংসখ্য প্রজাপতি বসে আছে এক একটা গাছে, অথবা প্রিণ্টের লুঙ্গি ঝুলতেছে অনেকগুলা, জয়নালের; খুন কইরা পালাইয়া আসছিলো যে আমাদের শহরে, গাঞ্জা খাইয়া উল্টা-পাল্টা নাচতেছে, সকালবেলা… রং মানেই কল্পনা! কি করতাম আমি যদি না দেখতাম, যদি হরতালের দিনে রিকশার জ্যামে না আটকাইতাম, যদি বইসা থাকতাম ঘরে, লিখতাম নিয়তি-নির্ভর গল্পগুলা… রাস্তায় মানুষের ভীড়; ইউরোপের কোন কোন শহরে নাকি মানুষই নাই, ওরা প্রকৃতি দেখে আর হয়তো ভাবে, মানুষের কথাই; ওদের কল্পনার ভিতরেও ফুটে নিশ্চয় লাল কৃষ্ণচূড়া, চৈত্রের শেষে, বৈশাখের… এইখানে এপ্রিলে যেমন না দেইখা আর পারাই গেলো না, ছোপ ছোপ রক্তের মতো, মুর্গি-সভ্যতার রং, কাঁচাবাজারের এক কোণায় যে হত্যাদৃশ্য, তার স্মৃতি রিপিট করতেছে গাছেরা; বৃক্ষপ্রেমিকেরা বইসা ঝিমাইতেছে, নার্সারিতে; আবারো কি ঘুমাইয়া পড়বে নাকি, এই নিয়া চিন্তা নাই; হালকা বাতাস তার তীব্র রোদের গান গাইতেছে…[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

 

চৈত্র ২৭, ১৪১৯