সিনেমার নায়িকারা হইলো সত্যিকারের নায়িকা

নটিংহিল হইলো আমার দেখা প্রথম হলিউডি সিনেমা যেইটা দেইখা ভালো লাগছিল। রোমান্টিক-কমেডি মুভি।

একটা সিনের কথা মনে আছে যেইখানে, নায়িকা’রে (সিনেমার নায়িকা বাই প্রফেশন নায়িকা) ফ্যামিলির লোকজনের সাথে পরিচয় করানোর লাইগা নায়ক নিয়া আসে। তখন তার বড়বইনের জামাই নায়করে জিগায় যে সে নায়িকার সাথে সেক্স করছে কিনা বা তারে মনে লইয়া মাস্টারবেট করছে কিনা। নায়ক অবশ্যই সাধারণ পুরুষ-মানুষ (আপনার আমার মতো, মানে আমরাই ধরেন), এইরকম বাজে কাজ করে না বা করলেও সে এইসব নিয়া বলাবলিটা পছন্দ করে না। সমাজে নায়িকার পারপাস কি এইগুলাই নাকি? যে তারে নিয়া খালি সেক্সের কথা চিন্তা করা যাইবো? এইটা যে যায় না, সেইটা অবশ্যই বলা হয়। কিন্তু এই যে বলা, এইটা দিয়া পারসেপশনটার (বা পারপাসটার) এগজিসটেন্সটাও রিভিল হয়া পড়ে।

এইটার চাইতেও ইন্টারেস্টিং হইলো নায়কের ছোট বইনের প্রেমিক যখন আসে, যে শেয়ার মার্কেটে কাজ করে। ভালোই টাকা-পয়সা, মানে যেইটা পায় সেইটা তার এক্সপেক্টশনের চাইতেও বেশি। সে যখন আসে তখন সে নায়িকারে নোটিস করতে পারে না, মনেহয়  তার টাকার লাইগাই। এইটা বোঝা যায় যখন সে তার পরিচয় দেয়। পরে নায়িকারে জিগায় যে শে কি করে আর যখন শুনে যে নায়িকা আসলে সিনেমায় নায়িকা-গিরি করে তখন খুচরা কিছু উপদেশ দেয়। তারপরে আসল কোশ্চেনটা করে। কত টাকা পায় শে, সিনেমা কইরা। যখন নায়িকা অংকটা বলে, তখন শেয়ার মার্কেটের রিয়েল ভ্যালু’টা সে বুঝতে পারে। এইটা অসাম একটা ব্যাপার। ডিরেক্টরও এই কমেডি সিনটাই ক্রিয়েট করতে চাইছিলেন। কালচারাল ইন্ড্রাষ্টির কাছে শেয়ার মার্কেট আসলেই কিচ্ছু না। শেয়ার মার্কেট ত কালাচারাল মার্কেটরে চালায় না, কালচারাল মার্কেটই শেয়ার মার্কেটরে চালায়। সাধারণ মানুষ যদি সিনেমার নায়িকারে না চিনতে পারে তাইলে সে আসলে সাধারণ পুরুষ-মানুষ হওয়ার যোগ্যতাও রাখে না। এর শাস্তি হিসাবে সিনেমার শেষে সেকেন্ড সাইড-নায়িকারেও সে পাইতে পারে না। Continue reading