ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা, বিশেষ করে ‘আমাদের’ জন্যে, যারা বাংলাদেশের জনগন, যারা দরিদ্র না হৈয়াও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্ন্তভুক্ত, তাদের প্রতিনিধিত্ব করি, তাদের জন্য; এমনকি অন্য অনেকের জন্যেই। আমার ধারণা প্রায় সবাই সেইটা অনুধাবন করতে পারতেছেন, এইটা নিয়া সংশয়ের কিছু নাই। এই ঘটনা অনেককিছুকে সিগনিফাই করে, অনেকগুলি বিষয়কে স্পষ্ট করে বলে। এই ঘটনাকে ইগনোর করার, ছোট করার কিছু নাই। এর তাৎপর্য বহুবিধ।
সবচেয়ে প্রথমে মনে হৈছে যে, কিছুদিন আগে যেমনটা কথা হচ্ছিল যে, ‘আমরা’ কী করি না করি বা কী ভাবি না ভাবি তা দিয়া ‘পশ্চিমাদের’ কিছু যায় আসে না; কিন্তু এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, এইটা সত্যি না। এইখানে চলমান ঘটনাসমুহে ‘পশ্চিমাদের’ আগ্রহ আছে, এক ধরণের সম্পৃত্ততা তারা অনুভব করেন বা চান; অর্থাৎ ‘আমরা’ আর বিচ্ছিন্ন কোন অস্তিত্ব না, পুঁজির সামগ্রিক চিন্তার অংশীদার ।