বিস্ময়ে…

হাইস্কুলে থাকার সময় এবং দেরিদা পড়ার আগে থিকাই আমি টিভি প্রোগ্রামের সমালোচক। আমার ধারণা, আমার বয়সের অনেকেই বুঝতে পারছিলেন যে, বর্তমান টাইমে (মানে ওই সময়েই, এইটিইজে) রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্তের চাইতে টিভি নাটকের বা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের লোকজন জনসমাজে অনেকবেশি ইনফ্লুয়েন্সিয়াল, এমনকি কোন কবিতা না লিইখাই! এইটা একটা কারণ হইতে পারে, কিন্তু আমি বিরক্ত বোধ করতে চাইতাম এবং দেখামাত্র নানান বিষয়ে সমালোচনা শুরু কইরা দিতাম। এইটা এতোটাই বাজে পর্যায়ের ছিল যে, গালিগালাজ ত শুনতেই হইছে, মাইর-ধরও খাইতে হইছে কয়েকবার। চুপ থাকাটা আসলেই একটা কঠিন কাজ; বরং টিভি দেখাই কমাইয়া দিছি। কিন্তু মাঝে-মধ্যে ত টিভির সামনে বসা-ই হয়; তখন এই ঘটনাটা ঘটলো, কয়েকদিন আগের।

রাতের বেলা খাইতে খাইতে টিভি দেখতেছি। আমার বউ এবং মেয়েরা রবীন্দ্রনাথের গান পছন্দ করে এবং পশ্চিমবঙ্গের টিভি চ্যানেলগুলা; ত, এইরকম একটা চ্যানেলে ‘আকাশ-ভরা সূর্য তারা…’টা গাইতেছিলো ইয়া মোটা একজন গায়ক; লাইভ মনে হয়। বেশ দরদ দিয়া, এবং একটু টুইস্ট করতেছিলো ‘বিস্ময়’-এ আইসা; সব মিউজিক বন্ধ কইরা দিয়া পুট কইরা কয় ‘বিস্ময়ে…’। আমি আর নিজেরে ধইরা রাখতে পারলাম না; সমালোচনা কইরা ফেললাম। কইলাম যে, পুরা লিরিকসটা ডিপেন্ড করতেছে এই একটা শব্দের জোরের উপ্রে, সবকিছু আইতাছে এইখান থিকা, আর শালার পুতে এমনে উচ্চারণ করতেছে জানি, পাদ দিতাছে; আরে পাদ দিলেও ত এরচে জোরে আওয়াজ হওয়ার কথা! অ্যান্ড দ্যাট গ্লুমিনেস (অথবা পাদের গন্ধ) স্প্রেড অল ওভার দ্য রুম! Continue reading