তুমি চলে যাওয়ার পরে – গুস্তাভ ফ্লবেয়ার।

 

তুমি চাইছিলা আমি যাতে তোমারে সবকিছু বলি, আমরা একজন আরেকজনকে ছেড়ে যাওয়ার পরে আমি সেইটা করছিলাম।

তো, আমি খুব মন-মরা আছিলাম; এইটা এতো সুন্দর  আছিলো। যখন আমি তোমার পিছনটা দেখলাম হারাইয়া যাইতেছে ট্রেনের কর্ম্পাটমেন্টে, আমি ব্রীজে উঠে আসছিলাম, আমার নিচ দিয়া তোমার ট্রেনের চলে যাওয়াটারে দেখার লাইগা। আমি খালি এইটাই দেখছিলাম; তুমি ছিলা তার ভিতরে! যতক্ষণ দেখা যাইতেছিলো আমি তাকায়া ছিলাম ট্রেনটার দিকে, আর তার আওয়াজ শুনতেছিলাম। অন্য আরেকটা পাশে, রোউন-এর দিকে, আকাশটা ছিল লাল আর বেগুনি রঙের ফিতার স্ট্রাইপ দেয়া। আকাশটা ঘন অন্ধকার হয়া যাবে যখন আমি রোউন-এ পৌঁছাবো আর তুমি প্যারিসে পৌঁছাবা। আমি আরেকটা সিগ্রেট ধরাইলাম। কিছু সময়ের লাইগা সামনে পিছনে করলাম। তারপর, আমার এতো অসাড় আর ক্লান্ত লাগতেছিলো, আমি রাস্তার ওইপারে একটা ক্যাফে’তে গেলাম আর এক গ্লাস ক্রিচ খাইলাম।

আমার ট্রেন চইলা আসলো স্টেশনে, তুমি যেইদিকে গেছো তার অপজিট ডিরেকশনে। কর্ম্পাটমেন্টে, এমন একজনের সাথে দেখা হইছিলো যারে আমি স্কুলে পড়ার সময়ে চিনতাম। আমরা অনেকক্ষণ কথা বলছিলাম, রোউনে ফিরা আসার পুরা সময়টাতেই। Continue reading

বালু নদীর তীরে

 

বালু নদীর তীরে, সন্ধ্যা নামছে ধীরে। ছোট ছোট দেয়াল দেয়া প্লটগুলাতে ফুটে আছে শরতের কাশফুল। তার সাথে ফটো তুলতে আসছে অনেকে। অনেকে দেখতে আসছে নিজেদের জমি, জামাইয়ের সাথে, আরো অনেক জামাই আর বউ’রাও আছে। এই খোলামেলা জায়গাটা উনাদেরও ভাললাগে। বাতাস আর অন্য কোন সাউন্ড না-থাকা। সাইকেল চালায়া নিজে নিজে গান গাইয়া যাইতেছেন পৌঢ় যুবক, গলায় হেডফোন রাখা। ডায়াবেটিস নাই, কিন্তু হওয়ার আগেই তার এই সাবধানতা অথবা ইয়াং হয়া যাওয়া। আমি হাঁটতে হাঁটতে বালুর পাড়টাতে গিয়া বসি, যার পাশে এখনো গর্ত, বালুতে ভরা, কিন্তু ভরাট হইতে পারে নাই পুরাটা; মনেহয় নদী ছিল এইখানে অথবা নদী-কল্পনা সম্ভব হয়া উঠে এই সন্ধ্যাবেলা। যেইভাবে শি ছিল, এখন আর নাই অথবা থাকা আর না-থাকার কোন সিগনিফিকেন্স নাই আর। বসে আছে শে অন্য কোন জায়গায়, অন্য কোন সন্ধ্যাবেলায়। Continue reading