অদৃষ্টের, মানে না-দেখার হাত এতোটাই লম্বা যে, মনে হইতে থাকে যা কিছু দেখাইলাম না, সেইসব কিছু যেন আর ঘটলোই না। অথচ যা ঘটে সেইটা ঘটনা না কখনোই, ঘটনাগুলা সবসময় আমাদের ভাবনার ভিতরেই ঘটতে থাকে। সিনেমা আসার পরে এই মনে-হওয়াগুলা এক্সপ্লয়টেড হইতে পারতেছে আরো।
বাংলা-সিনেমাগুলাতে এক ধরণের সিন আছিলো যে, নায়িকা খুবই কষ্ট পাইছে আর তখন সাইড-নায়ক তারে জড়ায়া ধইরা সাত্বনা দিতেছে, ওই সময় নায়ক আইসা দেইখা ফেলে। সে যেহেতু সবসময় (আসলে সবসময় তো না) কামভাবেই জড়ায়া ধরে নায়িকারে সে ভুলভাবে ভাবতে পারে যে, এই কামভাব-ই এইখানে আছে! পরে অবশ্য ভুলটুল ভাইঙা যায়, কারণ সিনেমার শেষ হইতে হয়। লাইফেরও শেষ হইতে হয়, তবে ভুল-টুল না ভাঙলেও লাইফের খুবএকটা সমস্যা হয় না। কিন্তু সিনেমার টুইস্ট’টা এইখানেই। আপনি আরো ১০জন’রে বলতে পারেন, ‘আই লাভ ইউ’, কিন্তু আপনি ত মিন করেন নাই; আর যেহেতু মিন করেন নাই, সেইটা এগজিস্টই করে না। মানে, সাইড-নায়কের ধোন যদি খাড়ায়ও একটু নায়িকার শরীরের স্পর্শে সেইখানে নায়িকার তো কিছু করার নাই। সাইড-নায়কের ধোন থাকলে এইখানে নায়িকার কি করার থাকতে পারে? আপনি যখন নায়ক তখন আপনারে নায়িকার এইসবকিছু না-বোঝাটারে বুঝতে হইবো। তা নাইলে আপনি কখনোই নায়ক না। নায়ক হইলো উঁচা টাইপের একটা জিনিস। বাইট্টা না কোনমতেই। বাইট্টা মানে আপনি আসলে একটা রিয়েল ভিলেন। এমনকি হিটলারও হইতে পারেন। এখন হিটলার’রে পছন্দ করলে কি তিনিও আর নায়িকা থাকতে পারবেন? Continue reading