এইটা নিয়া প্রথম কনশাসলি চমকাইছিলাম মনেহয় কলেজে পড়ার সময়ে। ঢাকা কলেজে সাউথ হোস্টেলে থাকি তখন। সাহিত্য নিয়া আলাপ করতে তো পছন্দ করতাম; তো, এক ফ্রেন্ড আইসা কইলো, শেক্সপীয়র যে তার আপন বইনরে বিয়া করছিল সেইটা তুই জানোস! আমি জাস্ট হা হয়া গেলাম, রিপ্লাই করবো কি! তারপর সে আরো আরো তথ্য দিতে শুরু করলো, রবীন্দ্রনাথ তার ভাতিঝিরে প্রেগনেন্ট কইরা ফেলছিলো… এইরকম আরো অনেক ফ্যামিলি ইনসেস্টের ঘটনা। সে ছিল মেট্রিক পরীক্ষায় স্ট্যান্ড করা। পান খাইতেছিল সে। অনেক সুন্দর কইরা চিবাইয়া চিবাইয়া পান খাইতো সে; এইটাতে তারে আরো বুদ্ধিমান লাগতো। আমি পুরা পাজলড। বাট যখন বাংলা-সাহিত্যের রেফারেন্সগুলি দিতেছিল, আমি প্রটেস্ট করলাম যে, আমি এইগুলা এটলিস্ট জানি, এইগুলা সত্যি না। তখন আমি তারে জিগাইলাম, কই পাইছে সে এই তথ্য? সে কইলো, বইয়ে। আমি জিগাইলাম, কোন বইয়ে? উত্তর দিতে হেসিটেট করতেছিল সে। বলে, যেহেতু বইয়ে লেখা, লেখা তো আর মিথ্যা না। লেখা জিনিস তো সবসময়ই সত্যি! শেষে সে কইলো, নীলক্ষেতের ফুটপাত থিকা কিনা বইয়ে সে এইগুলা পাইছে। আমি তখন হাসতে গিয়াও হাসতে পারলাম না; কারণ সে ছিল খুবই সিরিয়াস। আমি তারে বোঝানোর ট্রাই করলাম যে, এইগুলা তো চটি, রসময় গুপ্তের আরেকটা ক্যাটাগরি; ফ্যাক্ট হিসাবে লেখে নাই। নায়ক-নায়িকাদের মুখ কাইটা আরেকটা ছবির উপর বসাইয়া দেয়ার মতো এইগুলা লিখছে। এই ভুলগুলিরে ভুল বলাটাতে সে কষ্টই পাইতেছিল। এইরকম না যে এইগুলি ভুল না, কিন্তু সে যে সত্যি ভাবছিল – সেইটা তো আর ভুল না! প্রটেস্ট করার ট্রাইও করতেছিল, অন্য আরো রেফারেন্স পয়েণ্ট দিয়া। মানে, তার ভুলগুলি নিয়া সে ডাউটফুল থাকতেই চাইতেছিল। Continue reading
:: নীলক্ষেত ::
বইমেলা
বইমেলা চলতেছিল নীলক্ষেতে। তখন শুভ্র’র লগে দেখা, আমিনুল বারী। বলাকার পাশের ফুটপাত দিয়া হাঁটতেছিলাম। আমরা চা খাইতে যামু। মেলার সীমানা পার হইতেই সাজ্জাদ-এর লগে দেখা। সাজ্জাদ তো একজন প্রকাশকের এইখানে এডিটর হিসাবে কাজ করে জানতাম। কইলাম, কি রে ভাই, তোমরার দোকান তো দেখলাম না! সাজ্জাদ কয়, না না আছে তো! মাঝামাঝি জায়গায়। আমি অনুমান করলাম, মিডনাইট সান চাইনিজ দোকানটা যেইখানে, ওইরকম একটা জায়গাতে মনেহয়। তারপর আমি ওর সাথে গেলাম।[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
শুভ্র আর নাই তখন। দোকানে ঢোকার আগে দেখি অনেকগুলা খাবারের জিনিস; রোল, ব্রাউনি, নানান রকমের কেক, ব্রেড; আমি উল্টাইয়া পাল্টাইয়া দাম দেখি; অনেক দাম এক একটার। বিদেশ থিকা ইম্পোর্ট করা মনেহয়, ইনগ্রিডেন্সগুলা। কিছু নিবো কিনা ডিসাইড করতে পারি না; এমনিতে খাইতেও ইচ্ছা করতেছে একটু। বইয়ের দোকানে ঢুইকা খাওয়ার জিনিস কিনাটা কি ঠিক হইবো কিনা এইটা ডিসাইড করার আগেই দেখি সাজ্জাদ দোকানের ভিতরে ঢুকে গেছে। কি কি জানি দেখতেছে। অল্পকিছু বইও আছে, দোকানের ভিতর। কিন্তু কলম অনেক। নানান কালারের, নানান থিম-এর। গোলাপী, বাদামি, নীল। মনে হইলো একটা কালারের কলম নেই। তারপর পাখি’র, খোঁপার কাঁটা’র মতোন কলম।ব্রেসলেটেরও ছিল নাকি শিওর না; আমি একটা একটা কইরা অনেকগুলা কলম নিয়া নিলাম। সাজ্জাদের সাথেও জানি কি কি নিয়া কথা কইলাম। ও যেইরকমের পাবলিক, একটু ঠেস দিতে দিতে কথা কইলো। আমি গায়ে মাখলাম না। ক্যাশে যিনি বইসা ছিলেন, উনি-ই মনেহয় পাবলিশার। উনি কইলেন, খালি বই দিয়া তো ব্যবসা হয় না। তাই কলম-টলমও রাখতে হয়। বা উনি মনেহয় এইগুলা বলেন নাই, আমি-ই ভাইবা নিলাম। Continue reading